নিকোর সঙ্গে চুক্তির বিষয়ে বার্সার সমঝোতা
Published: 17th, June 2025 GMT
এস্পানিওল থেকে তরুণ স্প্যানিশ গোলরক্ষক হুয়ান গার্সিয়াকে কিনেছে বার্সেলোনা। তার দাম পড়েছে ২৫ মিলিয়ন ইউরো। যদিও কাতালানরা এখনো তাকে নিবন্ধন করাতে পারেনি। এর মধ্যে সংবাদ মাধ্যম ফুটমার্কেতো জানিয়েছে, তরুণ স্প্যানিশ উইঙ্গার নিকো উইলিয়ামসের সঙ্গে চুক্তির বিষয়ে সমঝোতা হয়ে গেছে বার্সার।
আগামী মৌসুমের জন্য বার্সা একজন লেফট উইঙ্গার খুঁজছে। গত মৌসুমে থেকেই বার্সায় যোগ দেওয়ার আলোচনায় ছিলেন নিকো। মৌসুম শেষে পুনরায় ওই আলোচনা শুরু হয়। তাকে দলে নেওয়ার লড়াইয়ে ছিল চেলসি, বায়ার্ন মিউনিখ ও আর্সেনাল।
তবে বার্সা শেষ পর্যন্ত নিকোকে দলে নেওয়ার বিষয়ে সমঝোতায় পৌঁছে গেছে। ছয় বছরের চুক্তি হতে যাচ্ছে দুই পক্ষের মধ্যে। যার অর্থ ২০৩১ সাল পর্যন্ত কাতালান শিবিরে থাকবেন তিনি। চুক্তির অর্থের বিষয়ে অ্যাথলেটিকো বিলবাও অবশ্য আগেই পরিষ্কার বার্তা দিয়ে রেখেছে।
নিকোর রিলিজ ক্লজ ৫৮ মিলিয়ন ইউরো। এর এক পয়সা কমে তরুণ এই উইঙ্গারকে ছাড়বে না তারা। বার্সা ওই রিলিজ ক্লজ দিয়েই স্প্যানিশ তরুণকে দলে নিচ্ছে। চুক্তি যদি ঠিকঠাক সম্পন্ন হয় বার্সা থেকে মৌসুমে ১২ মিলিয়ন ইউরোর মতো বেতন পাবেন নিকো।
বার্সার তরুণ তারকা লামিনে ইয়ামালের ভালো বন্ধু নিকো। তাকে ক্যাম্প ন্যুতে ভেড়াতে লামিনে বড় ভূমিকা রেখেছেন বলে সংবাদ মাধ্যম দাবি করেছে। তবে নিকোর সঙ্গে চুক্তি সম্পন্ন করে নিবন্ধন করাতে হলে বার্সার কয়েকজনকে বিক্রি করে বা ধারে অন্য ক্লাবে পাঠিয়ে আর্থিক কাঠামো অর্জন করতে হবে।
.উৎস: Samakal
কীওয়ার্ড: ফ টবল দলবদল
এছাড়াও পড়ুন:
বীর মুক্তিযোদ্ধা সখিনা বেগম মারা গেছেন
কিশোরগঞ্জের বীর মুক্তিযোদ্ধা সখিনা বেগম মারা গেছেন (ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন)। বার্ধক্যজনিত কারণে মঙ্গলবার বাজিতপুর উপজেলার হিলচিয়া ইউনিয়নের বড়মাইপাড়া এলাকায় তাঁর মৃত্যু হয়। সখিনা বেগমের বয়স হয়েছিল ৯২ বছর।
তাঁর ভাগনি ফাইরুন্নেছা আক্তার বলেন, নিকলী উপজেলার গুরুই গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন সখিনা বেগম। তিনি নিঃসন্তান। মুক্তিযুদ্ধের আগেই তাঁর স্বামী কিতাব আলীর মৃত্যু হয়। ১৯৭১ সালে মুক্তিযুদ্ধ শুরুর পর সখিনা বেগম সশস্ত্র যুদ্ধে নামেন। নিকলীতে তাঁকে দেখভাল করার কেউ না থাকায় বাজিতপুর উপজেলার হিলচিয়ার বড়মাইপাড়া এলাকায় ভাগনি ফাইরুন্নেছার সঙ্গে থাকতেন।
নিকলী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা রেহানা মজুমদার মুক্তি জানান, বিকেলে রাষ্ট্রীয় মর্যাদায় বীর মুক্তিযোদ্ধা সখিনা বেগমকে গুরুই এলাকার কবরস্থানে দাফন করা হয়েছে।
স্থানীয় মুক্তিযোদ্ধা ও মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক কয়েকটি বইয়ের লেখা থেকে জানা যায়, ১৯৭১ সালে সখিনা বেগমের ভাগনে মতিউর রহমান সম্মুখযুদ্ধে অংশ নিয়ে পাকিস্তানি সেনা ও রাজাকারের হাতে শহীদ হন। ওই সময় সখিনা গুরুই এলাকায় বসু বাহিনীর নেতৃত্বাধীন মুক্তিযোদ্ধাদের ক্যাম্পে রাঁধুনির কাজ করতেন। কাজের ফাঁকে রাজাকারদের গতিবিধির বিভিন্ন খবর সংগ্রহ করে মুক্তিযোদ্ধাদের জানাতেন। এক পর্যায়ে তিনি পাকিস্তানি বাহিনীর হাতে ধরা পড়েন। পরে সেখান থেকে পালিয়ে যান। ধারালো দা দিয়ে নিকলীর পাঁচ রাজাকারকে কুপিয়ে হত্যা করেন সখিনা বেগম। ওই দা ঢাকার মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘরে সংরক্ষিত।