গাজায় ইসরায়েলের হামলার বিবিসির সংবাদ পক্ষপাতদুষ্ট
Published: 17th, June 2025 GMT
গাজায় ইসরায়েলের সামরিক অভিযান নিয়ে প্রতিবেদন করতে গিয়ে পদ্ধতিগতভাবে ফিলিস্তিনিদের প্রতি পক্ষপাতদুষ্ট আচরণ করেছে ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসি। ব্যাপক হতাহতের পরও তারা ফিলিস্তিনিদের উপেক্ষা করে ইসরায়েলের দাবিকেই প্রাধান্য দিয়েছে।
ইসলাম নিয়ে সংবাদ প্রকাশ করা বিশেষায়িত ব্রিটিশ প্রতিষ্ঠান সেন্টার ফর মিডিয়া মনিটরিংয়ের (সিএফএমএম) নতুন এক গবেষণা প্রতিবেদনে এ চিত্র ফুটে উঠেছে। এতে ২০২৩ সালের ৭ অক্টোবর থেকে ২০২৪ সালের ৬ অক্টোবর পর্যন্ত বিবিসির করা ৩৫ হাজারেরও বেশি সংবাদ প্রতিবেদন ও সম্প্রচার বিশ্লেষণ করা হয়েছে।
প্রতিবেদন অনুযায়ী, বিবিসি প্রত্যেক ইসরায়েলি মৃত্যুকে ফিলিস্তিনি মৃত্যুর তুলনায় ৩৩ গুণ বেশি কভারেজ দিয়েছে। অথচ এই সময়ের মধ্যে ইসরায়েলে নিহতের সংখ্যা ছিল ১ হাজার ২৪৬ জন, যেখানে গাজায় নিহত হয়েছিলেন অন্তত ৪২ হাজার ১০ জন, অর্থাৎ ৩৪ গুণ বেশি। সেখানে মানবিক বা ভুক্তভোগীদের জীবনগল্প তুলে ধরা হয়েছে ২৭৯ ফিলিস্তিনি ও ২০১ ইসরায়েলির, যা প্রায় সমান সংখ্যাই।
গবেষণায় উঠে আসে, বিবিসি ‘গণহত্যা’ শব্দটি ইসরায়েলি হতাহতের ক্ষেত্রে ১৮ গুণ বেশি প্রয়োগ করেছে এবং ‘হত্যা’ শব্দটি ২২০ বার ইসরায়েলিদের ক্ষেত্রে, অথচ মাত্র একবার ব্যবহার হয়েছে ফিলিস্তিনিদের ক্ষেত্রে।
.উৎস: Samakal
এছাড়াও পড়ুন:
বীর মুক্তিযোদ্ধা সখিনা বেগম মারা গেছেন
কিশোরগঞ্জের বীর মুক্তিযোদ্ধা সখিনা বেগম মারা গেছেন (ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন)। বার্ধক্যজনিত কারণে মঙ্গলবার বাজিতপুর উপজেলার হিলচিয়া ইউনিয়নের বড়মাইপাড়া এলাকায় তাঁর মৃত্যু হয়। সখিনা বেগমের বয়স হয়েছিল ৯২ বছর।
তাঁর ভাগনি ফাইরুন্নেছা আক্তার বলেন, নিকলী উপজেলার গুরুই গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন সখিনা বেগম। তিনি নিঃসন্তান। মুক্তিযুদ্ধের আগেই তাঁর স্বামী কিতাব আলীর মৃত্যু হয়। ১৯৭১ সালে মুক্তিযুদ্ধ শুরুর পর সখিনা বেগম সশস্ত্র যুদ্ধে নামেন। নিকলীতে তাঁকে দেখভাল করার কেউ না থাকায় বাজিতপুর উপজেলার হিলচিয়ার বড়মাইপাড়া এলাকায় ভাগনি ফাইরুন্নেছার সঙ্গে থাকতেন।
নিকলী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা রেহানা মজুমদার মুক্তি জানান, বিকেলে রাষ্ট্রীয় মর্যাদায় বীর মুক্তিযোদ্ধা সখিনা বেগমকে গুরুই এলাকার কবরস্থানে দাফন করা হয়েছে।
স্থানীয় মুক্তিযোদ্ধা ও মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক কয়েকটি বইয়ের লেখা থেকে জানা যায়, ১৯৭১ সালে সখিনা বেগমের ভাগনে মতিউর রহমান সম্মুখযুদ্ধে অংশ নিয়ে পাকিস্তানি সেনা ও রাজাকারের হাতে শহীদ হন। ওই সময় সখিনা গুরুই এলাকায় বসু বাহিনীর নেতৃত্বাধীন মুক্তিযোদ্ধাদের ক্যাম্পে রাঁধুনির কাজ করতেন। কাজের ফাঁকে রাজাকারদের গতিবিধির বিভিন্ন খবর সংগ্রহ করে মুক্তিযোদ্ধাদের জানাতেন। এক পর্যায়ে তিনি পাকিস্তানি বাহিনীর হাতে ধরা পড়েন। পরে সেখান থেকে পালিয়ে যান। ধারালো দা দিয়ে নিকলীর পাঁচ রাজাকারকে কুপিয়ে হত্যা করেন সখিনা বেগম। ওই দা ঢাকার মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘরে সংরক্ষিত।