‘এটা আপনার জন্য নয়’: ইসরায়েলে ক্ষেপণাস্ত্র হামলার সময় আশ্রয়কেন্দ্রে ফিলিস্তিনিদের ঢুকতে বাধা
Published: 18th, June 2025 GMT
সামার আল-রাশেদের বয়স ২৯ বছর। পাঁচ বছরের মেয়েকে একাই বড় করছেন তিনি। থাকেন ইসরায়েলের একর এলাকার কাছে একটি অ্যাপার্টমেন্ট কমপ্লেক্সে। তাঁর প্রতিবেশীদের অধিকাংশই ইহুদি।
গত শুক্রবার ইরানের সম্ভাব্য ক্ষেপণাস্ত্র হামলার সতর্কতা হিসেবে যখন তীব্র শব্দে সাইরেন বাজছিল, তখন বাড়িতেই ছিলেন সামার ও তাঁর মেয়ে জিহান।
সাইরেন বাজা শুরু হলে আতঙ্কিত সামার মেয়ের হাত ধরে ভবনের আশ্রয়কেন্দ্রের (বাংকার) দিকে দৌড়াতে শুরু করেন। অন্য বাসিন্দারাও সেদিকে ছুটছিলেন তখন।
ওই সময়ের কথা মনে করে সামার বলেন, ‘আমি কিছু গুছিয়ে নেওয়ার সময় পাইনি। শুধু পানি, আমাদের ফোন ও মেয়ের হাত ধরে ছুটতে থাকি।’
আরও পড়ুনইরান ও ইসরায়েল: আক্রমণ ও প্রতিরক্ষা সক্ষমতায় কে এগিয়ে১৩ জুন ২০২৫আতঙ্কিত সামার নিজের ভয় লুকিয়ে রেখে মেয়েকে শান্ত রাখার চেষ্টা করছিলেন। নরম গলায় আরবি ভাষায় মেয়েকে ধৈর্য ধরতে বলছিলেন, যেন তাঁরা একসঙ্গে দ্রুতপায়ে আশ্রয়কেন্দ্রের দিকে এগোতে পারেন—ঠিক যেভাবে প্রতিবেশীরাও সিঁড়ি বেয়ে নিচে নামছিল।
আতঙ্কিত সামার নিজের ভয় লুকিয়ে রেখে মেয়েকে শান্ত রাখার চেষ্টা করছিলেন। নরম গলায় আরবি ভাষায় মেয়েকে ধৈর্য ধরতে বলছিলেন, যেন তাঁরা একসঙ্গে দ্রুতপায়ে আশ্রয়কেন্দ্রে যেতে পারেন—ঠিক যেভাবে অন্য প্রতিবেশীরা সিঁড়ি বেয়ে নিচে নামছিলেন।ইসরায়েলের আকাশ সুরক্ষাব্যবস্থা ইরানের নিক্ষেপ করা ক্ষেপণাস্ত্র তেল আবিবের আকাশেই ধ্বংস করছে। আকাশজুড়ে সেসব বিস্ফোরণের আলোক ঝলকানি.উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: ইসর য় ল
এছাড়াও পড়ুন:
ভেড়ামারায় বিএনপির দুই পক্ষের সংঘর্ষ–গুলি, আহত ৩
কুষ্টিয়ার ভেড়ামারায় সার্চ কমিটির বৈঠককে কেন্দ্র করে বিএনপির দুই পক্ষের নেতা-কর্মীদের মধ্যে সংঘর্ষ ও গোলাগুলির ঘটনা ঘটেছে। এতে উভয় পক্ষের অন্তত তিন কর্মী আহত হয়েছেন।
মঙ্গলবার (১৭ জুন) রাত ১০টা থেকে প্রায় ১২টা পর্যন্ত উপজেলার ধরমপুর ইউনিয়ন পরিষদ–সংলগ্ন গরুর হাট এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
আহত ব্যক্তিরা হলেন- বিএনপির স্থানীয় কর্মী হামিদুল, আরিফ ও টিপু। তাদের ভেড়ামারা উপজেলা স্বাস্থ্যকেন্দ্রে ভর্তি করা হয়েছে। চিকিৎসকেরা জানিয়েছেন, একজনের মাথায় ও অন্যজনের কনুইয়ে গুলির চিহ্ন রয়েছে।
আরো পড়ুন:
নরসিংদীতে বিএনপি-ছাত্রদল সংঘর্ষ, গুলিবিদ্ধসহ আহত ৩
ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় ২ পক্ষের সংঘর্ষ, আহত ২০
পুলিশ ও বিএনপির স্থানীয় নেতা-কর্মীদের সূত্রে জানা গেছে, মঙ্গলবার ইউনিয়ন বিএনপির ওয়ার্ড কমিটি গঠনে সার্চ কমিটির বৈঠক চলছিল। সন্ধ্যা থেকে রাত সাড়ে ৯টা পর্যন্ত সভা হয়।
বৈঠকে সার্চ কমিটির সদস্য রবিউল ইসলাম সরকার, আসাদুজ্জামান মিঠু ও শামসুল ইসলামসহ অন্যান্য সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন। একপর্যায়ে শামসুলের সঙ্গে অপর পক্ষের বাকবিতণ্ডা ও উত্তেজনা তৈরি হয়।
শেষ মুহূর্তে হঠাৎ গুলির শব্দে চারপাশে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। দুই পক্ষই পাল্টাপাল্টি অবস্থান নেয়। খবর পেয়ে প্রথমে পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছায়। কিন্তু, পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে না এলে সেনাবাহিনীর একটি দল গিয়ে পরিস্থিতি স্বাভাবিক করে। রাত ১২টার পর পরিস্থিতি পুরোপুরি শান্ত হয়।
ধরমপুর ইউনিয়ন বিএনপির সাবেক সাধারণ সম্পাদক আসাদুজ্জামান মিঠু অভিযোগ করে বলেন, ‘‘সভা শেষে চলে যাওয়ার মুহূর্তে শামসুল ও তার লোকজন হামলা চালিয়ে গুলি করে। এতে আরিফ ও হামিদুল গুলিবিদ্ধ হন।’’
তবে, অভিযোগ নাকচ করেছেন সার্চ কমিটির সদস্য শামসুল ইসলাম। তিনি বলেন, ‘‘সভা শেষে চলে যাওয়ার পরই পরিকল্পিতভাবে এ ঘটনা ঘটানো হয়েছে।’’ এ ঘটনার বিচার দাবি করেন তিনি।
ভেড়ামারা থানার ওসি (তদন্ত) রাকিবুল ইসলাম বলেন, ‘‘খবর পেয়ে পুলিশের একটি দল ঘটনাস্থলে পৌঁছে পাঁচটি গুলির খোসা ও চারটি তাজা গুলি উদ্ধার করেছে। তবে, এ ঘটনায় এখনো কেউ থানায় অভিযোগ করেনি। বর্তমানে পরিস্থিতি স্বাভাবিক রয়েছে। ঘটনাস্থলে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।’’
ঢাকা/কাঞ্চন/রাজীব