চার বছর আগে ঢাকার দক্ষিণ কেরাণীগঞ্জে মেয়েকে ধর্ষণের দায়ে তারই সৎ বাবাকে মৃত্যুদণ্ড ও এক লাখ টাকা অর্থদণ্ডের আদেশ দিয়েছেন আদালত। বুধবার সকালে এ রায় ঘোষণা করেন ঢাকার ৪ নম্বর নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের বিচারক মুন্সী মো. মশিয়ার রহমান।

দণ্ডপ্রাপ্ত আসামি হলেন ঢাকার কেরানীগঞ্জের মো. মোতাহার (৪১)। রায় ঘোষণার সময় আসামিকে কারাগার থেকে আদালতে উপস্থিত করা হয়। রায় ঘোষণা শেষে সাজা পরোয়ানা দিয়ে তাকে কারাগারে পাঠানো হয়। 

মামলার নথি সূত্রে জানা যায়, ভিকটিম তার মা ও সৎ বাবার সঙ্গে দক্ষিণ কেরানীগঞ্জে বাস করতো। পৃথক ঘরের ব্যবস্থা না থাকায় তারা একত্রে বসবাস করতেন। মোতাহার ভিকটিমকে বিভিন্ন সময় কুপ্রস্তাব দিতো। ২০২১ সালের ২০ জুন রাতে আসামি ভিকটিমকে ধর্ষণ করে। ঘটনার বিষয়ে কাউকে জানালে হত্যার হুমকি দেয়। এজন্য সে কাউকে কিছু জানায়নি। ২২ সেপ্টেম্বর রাতে আবারও তাকে ধর্ষণ করে। ভিকটিম পরদিন বিষয়টি তার মাকে জানায়। ঘটনা শুনে তার মা ও সৎ বাবা তাকে বাসা থেকে বের করে দেয়। ভিকটিম তার বাবার কাছে চলে যায়। ২৪ সেপ্টেম্বর ভিকটিম বাদী হয়ে কেরানীগঞ্জ মডেল থানায় মামলা করেন। সংশ্লিষ্ট থানার উপ-পরিদর্শক আবুল হাসান মামলাটি তদন্ত করে ২০২২ সালের ২৭ মে মোতাহারকে অভিযুক্ত করে আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করেন। এরপর আসামির বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করে বিচার শুরুর আদেশ দেন আদালত। 

মামলার বিচার চলাকালে আদালত ৮ জনের সাক্ষ্যগ্রহণ করেন। আসামির আত্মপক্ষ শুনানি, যুক্তিতর্ক উপস্থাপন শেষে আদালত আজ এ রায় দিলেন।

.

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: সৎ ব ব

এছাড়াও পড়ুন:

সোনারগাঁয়ে টেকসই বর্জ্য ব্যবস্থাপনার দাবিতে সংবাদ সম্মেলন

পরিবেশ সুরক্ষা ও টেকসই বর্জ্য ব্যবস্থাপনার দাবিতে এক জোরালো আহ্বান জানিয়েছে পরিবেশ রক্ষা ও উন্নয়ন সোসাইটি। বুধবার (১৮ জুন) সকালে উপজেলার মোগরাপাড়া চৌরাস্তার পরিবেশ রক্ষা ও উন্নয়ন সোসাইটির কার্যালয়ে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এসব দাবি তুলে ধরা হয়।

সংবাদ সম্মেলনে সভাপতিত্ব করেন সংগঠনের চেয়ারম্যান মোহাম্মদ হোসাইন। তিনি তার বক্তব্যে বলেন, সোনারগাঁ উপজেলা একটি ঐতিহাসিক ও শিল্পসমৃদ্ধ এলাকা।

এখানে রয়েছে দেশের শীর্ষস্থানীয় বহু শিল্পপ্রতিষ্ঠান, মিল-ফ্যাক্টরি, হাসপাতাল, শপিংমল, হাটবাজার ও ঘনবসতিপূর্ণ আবাসিক এলাকা। অথচ এত কিছুর পরেও নেই একটি নির্দিষ্ট বর্জ্য ফেলার স্থান বা ডাম্পিং জোন।

তিনি আরও বলেন, প্রতিদিন প্রচুর পরিমাণে গৃহস্থালি, বাণিজ্যিক ও হাসপাতালের বর্জ্য যত্রতত্র ফেলা হচ্ছে, যা সরাসরি প্রভাব ফেলছে আমাদের পরিবেশ ও জনস্বাস্থ্যের ওপর। ড্রেন ও খালগুলো বন্ধ হয়ে যাচ্ছে, দুর্গন্ধ ছড়াচ্ছে সর্বত্র, বাড়ছে রোগজীবাণুর বিস্তার। এভাবে চলতে থাকলে আগামী প্রজন্মের জন্য আমরা রেখে যাব এক বিষাক্ত সোনারগাঁ।

সংগঠনের পক্ষ থেকে দাবি করা হয়, সোনারগাঁয়ের ১টি পৌরসভা ও ১০টি ইউনিয়নের জন্য অবিলম্বে একটি বা একাধিক নির্দিষ্ট স্থান ডাম্পিং জোন হিসেবে নির্ধারণ করতে হবে। পাশাপাশি বর্জ্য ব্যবস্থাপনায় আধুনিক প্রযুক্তি ও জনসচেতনতা বৃদ্ধি কার্যক্রম চালু করার আহ্বান জানানো হয়।

সংবাদ সম্মেলনে আরও উপস্থিত ছিলেন স্থানীয় সুধীজন, পরিবেশবাদী কর্মী এবং গণমাধ্যমকর্মীরা। বক্তারা বলেন, উন্নয়নের জন্য শিল্প প্রয়োজন, তবে সে উন্নয়ন হতে হবে পরিবেশবান্ধব। প্রয়োজন হলে শিল্পপ্রতিষ্ঠানগুলোকে আইনের আওতায় এনে পরিবেশ রক্ষায় বাধ্য করতে হবে।

পরিবেশ রক্ষা ও উন্নয়ন সোসাইটি তাদের পক্ষ থেকে স্থানীয় প্রশাসনসহ সংশ্লিষ্ট সকল কর্তৃপক্ষকে অনুরোধ জানায়, যেন অবিলম্বে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করে সোনারগাঁয়ের পরিবেশ রক্ষা ও জনস্বাস্থ্যের নিরাপত্তা নিশ্চিত করা হয়।
 

সম্পর্কিত নিবন্ধ