অবৈধ অনুপ্রবেশের দায়ে ভারতে আটকের পর দিনাজপুরের হিলি সীমান্ত দিয়ে আল আমিন হোসেন (১৬) নামের এক বাংলাদেশি কিশোরকে ফেরত দিয়েছে ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনী (বিএসএফ)।
মঙ্গলবার (১৭ জুন) রাত ১০টায় সীমান্তের ২৮৪ নম্বর পিলার এলাকায় পতাকা বৈঠকের মাধ্যমে ওই কিশোরকে ফেরত দেওয়া হয়।
ফেরত আসা কিশোর আল আমিন হোসেন হবিগঞ্জ সদর থানাধীন কালিগাছতলা এলাকার মোহাম্মদ আলীর ছেলে।
বিষয়টি নিশ্চিত করে হিলি সিপি ক্যাম্পের কোম্পানি কমান্ডার সুবেদার অসীম মারাক বলেছেন, গত ১৪ জুন সিলেটের জাফলং সীমান্ত দিয়ে অবৈধভাবে ভারতে প্রবেশ করে ওই কিশোর। গতকাল পশ্চিমবঙ্গের বালুরঘাট হয়ে (ভারত হিলি) সীমান্ত দিয়ে আবারও বাংলাদেশে প্রবেশের চেষ্টা করে সে। এ সময় সীমান্তের পিলার ২৮৫/৫ এস থেকে আনুমানিক ১০ গজ ভারতের অভ্যন্তরে দক্ষিণপাড়া হিলি নামক স্থান থেকে তাকে আটক করে বিএসএফ। রাত ১০টার দিকে বিজিবি ও বিএসএফ কোম্পানি কমান্ডার পর্যায়ে পতাকা বৈঠকের মাধ্যমে বিএসএফ তাকে বিজিবির কাছে হস্তান্তর করে।
তিনি আরো বলেন, ওই কিশোরের বিরুদ্ধে অবৈধ সীমান্ত অতিক্রমের দায়ে প্রয়োজনীয় আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে। অবৈধ অনুপ্রবেশ ও পুশইন ঠেকাতে বিজিবি তৎপর আছে।
ঢাকা/মোসলেম/রফিক
.উৎস: Risingbd
কীওয়ার্ড: চ কর চ কর ব এসএফ প রব শ
এছাড়াও পড়ুন:
সুন্দরবনের ভারতীয় অংশের বিএসএফের হাতে আটক ১৯ বাংলাদেশি মৎস্যজীবী
অবৈধভাবে ভারতীয় জলসীমায় প্রবেশের অভিযোগে ১৯ জন বাংলাদেশি মৎস্যজীবীকে গ্রেপ্তার করেছে ভারতের সীমান্তরক্ষী বাহিনী বিএসএফ।
বিএসএফ সূত্রে জানানো হয়েছে, সুন্দরবনের ভারতীয় অংশের উত্তাল নদীতে দীর্ঘক্ষণ ধাওয়া করে তাদের আটক করা হয়। ধৃত মৎসজীবীরা বাংলাদেশের বরিশাল বিভাগের ভোলা জেলার পুরালিয়া গ্রামের বাসিন্দা। মাছ ধরার ট্রলার ও জালসহ তাদেরকে আটক করা হয়।
আরো পড়ুন:
কলকাতায় সম্মিলিত সেনা সম্মেলন উদ্বোধন নরেন্দ্র মোদির
অবৈধ অভিবাসীদের প্রতি নরম হওয়ার দিন শেষ: ট্রাম্প
বিএসএফ জানায়, রবিবার সীমান্তের সুন্দরবন অংশে রুটিন টহল দেয়ার সময় গোসাবা রেঞ্জের বাঘমারি জঙ্গল এলাকায় বাংলাদেশি অবৈধ ট্রলারের উপস্থিতি নজরে আসে বিএসএফ জওয়ানদের। বিএসএফ জওয়ানদের পেট্রোল বোট ট্রলারটির কাছে যাওয়ার চেষ্টা করতেই ট্রলারটি পালিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করে। দ্রুততার সঙ্গে ট্রলারের পিছু ধাওয়া করা হয়। দীর্ঘক্ষণ ধাওয়া করে পরবর্তীতে পাকড়াও করা হয় বাংলাদেশি ট্রলারটিকে। অবৈধ অনুপ্রবেশ এর অভিযোগে আটক করা হয় এতে থাকা ১৯ জন বাংলাদেশি মৎস্যজীবীকে। বাজেয়াপ্ত করা হয় ট্রলারটি।
বিএসএফ আরো জানায়, আটকের পর দীর্ঘ জিজ্ঞাসাবাদে অভিযুক্তরা অবৈধ অনুপ্রবেশের অভিযোগের বিপরীতে কোনো যুক্তিসঙ্গত কারণ দেখাতে পারেনি। ফলে জিজ্ঞাসাবাদের পরে তাদের স্থানীয় সুন্দরবন কোস্টাল থানার পুলিশের হাতে তুলে দেওয়া হয়। আজ সোমবার তাদের আলিপুর আদালতে তোলা হবে।
ঢাকা/সুচরিতা/ফিরোজ