গ্ল্যামার, বিতর্ক আর ব্যস্ততার জগৎ থেকে নিজেকে সরিয়ে এবার আত্মশুদ্ধির পথে হাঁটলেন বলিউড অভিনেত্রী জ্যাকুলিন ফার্নান্ডেজ। সদ্য মুক্তিপ্রাপ্ত ছবি ‘হাউসফুল ফাইভ’-এর প্রচারে ব্যস্ত থাকার মাঝেও অভিনেত্রীর এই বদলে যাওয়া অনেককেই চমকে দিয়েছে।

চর্চিত প্রেমিক সুকেশ চন্দ্রশেখরের সঙ্গে আর্থিক কেলেঙ্কারির ঘটনার পর থেকেই বারবার সংবাদ শিরোনামে এসেছেন জ্যাকুলিন। সেই অধ্যায় যেন এখন অতীত। এবার জীবনের নতুন দিশা খুঁজতে তিনি আশ্রয় নিয়েছেন আধ্যাত্মিকতার আশীর্বাদে।

জানা গেছে, পার্থিব প্রলোভন ও বিতর্ক থেকে নিজেকে গুটিয়ে নিয়ে জ্যাকুলিন সম্প্রতি পাড়ি দিয়েছেন বেঙ্গালুরুতে। সেখানে পৌঁছে আশ্রয় নিয়েছেন বিশ্ববিখ্যাত আধ্যাত্মিক গুরু শ্রী শ্রী রবি শঙ্করের আশ্রমে। গুরুর সঙ্গে সাক্ষাৎ করে শান্তি ও আলোর সন্ধান পেয়েছেন বলে জানিয়েছেন এই অভিনেত্রী।

সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে আশ্রমে কাটানো কিছু বিশেষ মুহূর্তের ছবি শেয়ার করেছেন জ্যাকুলিন। ছবির ক্যাপশনে লিখেছেন, “আমার হৃদয় পরিপূর্ণ হয়ে উঠেছে। গুরুদেব, আলোর পথ দেখানোর জন্য আপনাকে ধন্যবাদ। আমি আজীবন কৃতজ্ঞ থাকব।”

ছবিগুলোতে দেখা যায়, জ্যাকুলিনের পরনে গোলাপি সালোয়ার-কামিজ। নেই গ্ল্যামার বা প্রসাধনের ঝলক। একেবারে সাদামাটা লুকে তিনি উপস্থিত হয়েছেন গুরুর দর্শনে, পুরোটা সময় ছিলেন মনোযোগী ও শান্তচেতা।

আশ্রমে শুধু আধ্যাত্মিক চর্চাই নয়, প্রাণীদের সঙ্গেও সময় কাটিয়েছেন তিনি। বাছুর, ঘোড়া, হাতি, এমনকি ষাঁড়ের সঙ্গেও তাঁকে দেখা গেছে আনন্দঘন মুহূর্তে। পাশাপাশি আশ্রমের শিক্ষার্থীদের সঙ্গে হাসিমুখে ছবি তুলেছেন, যেগুলো অনুরাগীদের মনে প্রশান্তি ছড়িয়েছে।

ব্যক্তিগত জীবনের ঝড় পেরিয়ে জ্যাকুলিনের এই নতুন যাত্রা যেন নিজেকে ফিরে পাওয়ার এক নিঃশব্দ প্রতিবাদ। বলিউডের আলোঝলমেলা জগতের বাইরে এমন এক সাদা-ধবধবে বাস্তবতা, যা দর্শকদের সামনে তুলে ধরছে এক ভিন্নতর জ্যাকুলিন ফার্নান্ডেজকে।

.

উৎস: Samakal

এছাড়াও পড়ুন:

রাজবাড়ীতে পদ্মার এক ইলিশের দাম ১২ হাজার ৬০০ টাকা

রাজবাড়ীর গোয়ালন্দ উপজেলার দৌলতদিয়ায় আজ শনিবার পদ্মা নদী থেকে ধরা ২ কেজি ৪৩০ গ্রাম ওজনের একটি ইলিশ বিক্রি হয়েছে ১২ হাজার ৬০০ টাকায়। স্থানীয় এক মাছ ব্যবসায়ী জেলেদের কাছ থেকে ইলিশটি কিনে ঠাকুরগাঁওয়ে বিক্রি করেন।

স্থানীয় মৎস্যজীবীরা জানান, শনিবার সকালে গোয়ালন্দ উপজেলার উজানচর ইউনিয়নের চর মজলিশপুর এলাকার জেলে বাচ্চু হালদারসহ কয়েকজন পদ্মা নদীতে মাছ শিকারে যান। তাঁরা দৌলতদিয়ার চর করনেশনা এলাকায় জাল ফেলেন। সকালে তাঁরা জাল গুছিয়ে নৌকায় তুলেই দেখতে পান বড় এক ইলিশ ধরা পড়েছে। এ ছাড়া তাঁদের জালে কয়েক দফায় আরও তিনটি ইলিশ ধরা পড়ে। ইলিশ চারটি তাঁরা দৌলতদিয়া ফেরিঘাট এলাকার মাছ ব্যবসায়ী শাহজাহান শেখের কাছে বিক্রি করেন।

দৌলতদিয়ার ৫ নম্বর ফেরিঘাট এলাকার মাছ ব্যবসায়ী শাহজাহান শেখ বলেন, এর মধ্যে একটির ওজন ছিল ২ কেজি ৪৩০ গ্রাম এবং অন্য তিন ইলিশের মোট ওজন ছিল প্রায় ৩ কেজি ১০০ গ্রাম। ২ কেজি ৪৩০ গ্রাম ওজনের ইলিশটি ৫ হাজার টাকা কেজি দরে ১২ হাজার ১৫০ টাকা দিয়ে কেনেন। এ ছাড়া ৩ কেজি ১০০ গ্রাম ওজনের অন্য তিনটি ইলিশ ৮ হাজার টাকায় কেনেন।

শাহজাহান শেখ ইলিশগুলো বিক্রির জন্য পরিচিত ব্যক্তিদের সঙ্গে যোগাযোগ করেন। এ ছাড়া তাঁর ফেসবুক পেজে পোস্ট করেন। পরে ঠাকুরগাঁওয়ের এক চাল ব্যবসায়ী কেনার আগ্রহ দেখালে বড় ইলিশটি ১২ হাজার ৬০০ টাকায় বিক্রি করেন। অন্য তিনটি ইলিশও তাঁর কাছে ২ হাজার ৭০০ টাকা কেজি দরে ৮ হাজার ৪০০ টাকায় বিক্রি করেন।

সম্পর্কিত নিবন্ধ