দুর্যোগপূর্ণ আবহাওয়া, মোংলা বন্দরে চাল ও সার খালাস বন্ধ
Published: 18th, June 2025 GMT
টানা বৃষ্টি ও দুর্যোগপূর্ণ আবহাওয়ার কারণে মোংলা বন্দরে অবস্থান করা চারটি জাহাজ থেকে চাল ও সার খালাসের কার্যক্রম বন্ধ রয়েছে। জাহাজগুলোর মধ্যে এমভি হোয়াং-০৯ ও এমভি ট্রাংক-০৮ থেকে চাল এবং এমভি টিবিএস প্রিন্সেস ও এমভি ডিপ ব্লু থেকে সার খালাস বন্ধ রয়েছে। তবে বন্দরে অবস্থানরত অন্য নয়টি জাহাজে কয়লা, ক্লিংকার ও মেশিনারি পণ্যের আংশিক খালাস কাজ চলছে বলে জানিয়েছে বন্দর কর্তৃপক্ষ।
বন্দরের হারবার কন্ট্রোল রুম জানায়, বুধবার মোংলা বন্দরে ১১টি বিদেশি বাণিজ্যিক জাহাজের অবস্থান রয়েছে। এর মধ্যে সার ও চালবাহী চারটি জাহাজের পণ্য খালাস কাজ সম্পূর্ণ বন্ধ রয়েছে। এছাড়া বৃষ্টির কারণে মাল খালাস করতে না পারায় সময় মত বন্দর ত্যাগ করতে পারেনি সারবাহী জাহাজ এমভি টিবিএস প্রিন্সেস।
এদিকে টানা বৃষ্টিতে বিপাকে পড়েছেন নিম্ন আয়ের মানুষ। পর্যাপ্ত ড্রেনেজ ব্যবস্থা না থাকায় শহর ও শহরতলীর বিভিন্ন এলাকায় বৃষ্টির পানিতে তলিয়ে সৃষ্টি হয়েছে জলাবদ্ধতা।
মোংলার উপকূলজুড়ে দুর্যোগপূর্ণ আবহাওয়া বিরাজ করছে। টানা বৃষ্টিতে এখানকার স্বাভাবিক কাজকর্ম ব্যাহত ও জনজীবন বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে। মঙ্গলবার সকাল থেকে শুরু হওয়া টানা বৃষ্টিপাত বুধবারও অব্যাহত রয়েছে। গত ২৪ ঘণ্টায় মোংলায় বৃষ্টিপাত হয়েছে ৫৬ মিলিমিটার।
মোংলা আবহাওয়া অফিস ইনচার্জ হারুন অর রশিদ বলেন, এমন আবহাওয়া ও বৃষ্টিপাত আরও কয়েকদিন থাকবে। এছাড়া উপকূলীয় এলাকায় বৃষ্টির পাশাপাশি ঝড়ো হাওয়া বয়ে যাবে।
.উৎস: Samakal
কীওয়ার্ড: পণ য খ ল স
এছাড়াও পড়ুন:
বেরোবি উপাচার্য কলিমউল্লাহসহ ৫ জনের বিরুদ্ধে দুদকের মামলা
অর্থ আত্মসাৎ, ঠিকাদারকে অগ্রিম বিল প্রদানসহ নানা অভিযোগে বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের (বেরোবি) সাবেক দুই উপাচার্যসহ মোট পাঁচজনের বিরুদ্ধে মামলা করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।
বুধবার (১৮ জুন) গণমাধ্যমকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন দুদকের মহাপরিচালক আক্তার হোসেন।
মামলার আসামিরা হলেন বেরোবির সাবেক উপাচার্য ও প্রকল্প পরিচালক এ কে এম নূর-উন-নবী, সাবেক উপাচার্য নাজমুল আহসান কলিমউল্লাহ, সাবেক নির্বাহী প্রকৌশলী জাহাঙ্গীর আলম, ঠিকাদার আব্দুস সালাম বাচ্চু ও ঠিকাদার এমএম হাবিবুর রহমান।
আরো পড়ুন:
কিশোরগঞ্জে মাদক মামলায় নারীর যাবজ্জীবন
ঘরের দরজা ভেঙে বিধবাকে ধর্ষণ, থানায় মামলা
দুদক মহাপরিচালক আক্তার হোসেন বলেন, “পরস্পর যোগসাজশ, অপরাধজনক বিশ্বাসভঙ্গ, ক্ষমতার অপব্যবহার করে বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয় উন্নয়ন প্রকল্পের অনুমোদিত ডিপিপি উপেক্ষা করে নকশা পরিবর্তন, ৩০ কোটি টাকা মূল্যের ঊর্ধ্বের চুক্তি মন্ত্রণালয় বা বিভাগের অনুমোদন ব্যতিরেকে সম্পাদন, ঠিকাদারের রানিং বিল থেকে কর্তনকৃত নিরাপত্তা জামানতকে এফডিআর হিসেবে ব্যাংকে জমা রাখা এবং সেই এফডিআরকে লিয়েনে রেখে ঠিকাদারকে লোন প্রদান করার জন্য নো অবজেকশন সার্টিফিকেট অনুমোদন তথা গ্যারান্টর হয়ে বিশ্ববিদ্যালয় তথা সরকারের ৪ কোটি টাকা আত্মসাৎ, ঠিকাদারের সঙ্গে সম্পাদিত চুক্তিতে অগ্রিম অর্থ প্রদানের কোনো সংস্থান না থাকা সত্ত্বেও ঠিকাদারকে আর্থিক সহযোগিতার কারণ দেখিয়ে ব্যাংক গ্যারান্টি গ্রহণ করে অগ্রিম বিল প্রদান করা এবং অগ্রিম প্রদানকৃত বিল সমন্বয়ের পূর্বেই অগ্রিম বিলের বিপরীতে প্রদত্ত ব্যাংক গ্যারান্টিসমূহ অবমুক্ত করা, প্রথম পরামর্শক প্রতিষ্ঠান কর্তৃক প্রদানকৃত ড্রইং/ডিজাইন না মেনে সরকারি খাতে ক্রয় পদ্ধতির বিধিবর্হিভূতভাবে দ্বিতীয় পরামর্শক প্রতিষ্ঠান নিয়োগ প্রদান, অস্বাভাবিক হারে মূল্য দাখিল বা ফ্রন্ট লোডিং থাকা সত্ত্বেও পিপিআর ২০০৮-এর বিধান অনুযায়ী দরপত্র মূল্যায়ন সম্পন্ন না করার অভিযোগ রয়েছে।”
তিনি বলেন, “এগুলো দুর্নীতি প্রতিরোধ আইন, ১৯৪৭ এর ৫(২) ও দণ্ডবিধির ৪০৯, ১০৯ ধারায় ধারায় শাস্তিযোগ্য অপরাধ।”
ঢাকা/সাজ্জাদ/মেহেদী