পর্দায় আসছে সুশান্ত সিং-রিয়ার প্রেমকাহিনী, কে হচ্ছেন নায়ক
Published: 18th, June 2025 GMT
মৃত্যুর পাঁচ বছর কেটে গেলেও বলিউড সিনেমাপ্রেমীদের স্মৃতিতে উজ্জ্বল সুশান্ত সিং রাজপুত। এবার রুপালি পর্দায় দেখা যাবে ধোনির বায়োপিকে অভিনয় করে সাড়া ফেলা সুশান্তের বায়োপিক! এমনটাই দাবি করেছেন বলিউডের জনপ্রিয় চিত্রনাট্য রচয়িতা ও পরিচালক রুমি জাফরি।
এরই মধ্যে তিনি সুশান্ত ও তার বান্ধবী রিয়া চক্রবর্তী প্রেমকাহিনীর চিত্রনাট্য নিয়ে কাজ করছেন। প্রয়াত অভিনেতার চরিত্রে ‘জিগরা’ ছবির বেদাঙ্গ রায়না আছেন নির্মাতার প্রথম পছন্দের তালিকায়।
২০২০ সালের ১৪ জুন সুশান্ত সিং রাজপুতের অস্বাভাবিক মৃত্যু হয়। সেই ঘটনায় উত্তাল হয়েছিল গোটা ভারত। সেই বছরের আগস্ট মাসে তদন্তভার যায় সিবিআইয়ের হাতে। এই মামলার তদন্তে বিভিন্ন ব্যক্তিকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছিল। গ্রেপ্তার করা হয় অনেককে। যাদের মধ্যে ছিলেন অভিনেতার বান্ধবী রিয়া চক্রবর্তী ও তার ভাই। সেই থেকেই চর্চায় ছিল রিয়া-সুশান্তের প্রেম। সেই প্রেমকাহিনিই এবার পর্দায় ‘জীবন্ত’ করতে চাইছেন রুমি।
সম্প্রতি এক সম্মেলনে রুমি বলেন, ‘আমার এখনও মনে হয় সুশান্ত বুঝি আমার আশপাশেই রয়েছে। ওর সঙ্গটাই ছিল আনন্দে ভরা ও জীবনরসে পরিপূর্ণ। ও এতটাই ছটফটে ছিল বলার নয়। এক মিনিটও চুপ করে বসতে পারত না! ও সারাক্ষণ কথা বলত। রিয়া ওর পাশে পাশে হাঁটত, ওকে থামানোর চেষ্টা করত। সুশান্ত জীবিত থাকার সময় থেকেই আমার ইচ্ছে করত ওদের প্রেমকাহিনি নিয়ে সিনেমা করি। রিয়ার জন্য সুশান্তের প্রেম সাধারণ কোনও ভালোবাসা নয়। অন্যদিকে রিয়া সুশান্তের জন্য প্রাণও দিতে পারত।’
রুমি জানিয়েছেন, ‘জিগরা’ ছবির বেদাঙ্গ রায়নাকেই তিনি চাইছেন প্রয়াত অভিনেতার ভূমিকায়। শেষপর্যন্ত এই সিনেমা নির্মাণ হলে তা টিনসেল টাউনের নতুন জোয়ার আনবে।
.উৎস: Samakal
এছাড়াও পড়ুন:
২৫০ টাকা আয়ে চারজনের সংসার চালায় কিশোর তোফাজ্জল
একটি ভাঙাচোরা বাইসাইকেলই তার ভরসা। এ সাইকেল চালিয়ে ১৫ কিলোমিটার দূরের খাসিয়াপুঞ্জিতে কাজ করে কিশোর তোফাজ্জল। ১৩ বছর বয়সেই তাকে চারজনের সংসারের হাল ধরতে হয়েছে। প্রতিদিন মাত্র দুই-আড়াইশ টাকা উপার্জনে পরিবারের তিন অসুস্থ সদস্যকে নিয়ে সংসার চালাতে হচ্ছে তোফাজ্জলকে। কমলগঞ্জ উপজেলার ইসলামপুর ইউনিয়নের কাঁঠালকান্দী গ্রামের আলী আহমেদের (৬৫) ছেলে তোফাজ্জল হোসেন।
সমকালের সঙ্গে আলাপে তোফাজ্জল জানায়, তার পরিবারের তিনজন অসুস্থ। বাবা দীর্ঘদিন ধরে হৃদরোগে আক্রান্ত, বোন আয়েশা খাতুন (২৫) মানসিক ভারসাম্যহীন। এছাড়া বয়োবৃদ্ধ দাদি সমিতা বিবিও (৮২) দীর্ঘদিন ধরে অসুস্থ হয়ে শয্যাশায়ী। স্থানীয় খাসিয়াপুঞ্জিতে কাজ করে প্রতিদিন যা রোজগার হয় তাতে দু’বেলা ঠিকমতো খাবার জোটে না তাদের। মাঝেমধ্যে প্রতিবেশীদের সামান্য সহযোগিতাই তাদের একমাত্র ভরসা।
প্রতিবেশী ফজল মিয়া ও আবু শহীদ জানান, তোফাজ্জলদের পরিবার খুব অসহায় ও মানবেতর জীবন কাটাচ্ছে। পরিবারের তিনজনই অসুস্থ। তাদের সাহায্য করার মতো আত্মীয়স্বজন তেমন কেউ নেই। প্রতিবেশীরা মাঝেমধ্যে তাদের সাহায্য করেন।
মঙ্গলবার তোফাজ্জলদের বাড়িতে গিয়ে দেখা যায়, সরকারি আবাসন প্রকল্পের ছোট্ট একটি ঘরে মেঝেতে জরাজীর্ণ কাঁথায় শুয়ে আছেন সমিতা বিবি। ঠিকমতো কথা বলতে পারছেন না। পা ভেঙে এক বছর ধরে শয্যাশায়ী।
বাবা আলী আহমেদ জানালেন, তিনি হার্টের রোগী। দীর্ঘদিন ধরে কোনো কাজকর্ম করতে পারেন না। ছেলে তোফাজ্জলই তাঁর একমাত্র ভরসা। প্রতিদিন তোফাজ্জল খাসিয়াপুঞ্জিতে (খাসিয়া গ্রাম) কাজ করতে যায়। ছেলের সামান্য আয়ে কোনোভাবে সংসার চলে যাচ্ছে। কখনও কখনও দুই বেলা খাবার জোটানোই কঠিন হয়ে পড়ে।
সমিতা বিবি বলেন, ‘ক্ষুধায় রাতে ঘুম আসে না। ১৩-১৪ বছরের নাতি আর কিইবা করবে। তবু যা করছে আল্লাহর কাছে শুকরিয়া। চাল-ডাল আনলে ওষুধ আনতে পারে না। প্রায়ই অনাহারে থাকতে হয়। মাঝেমধ্যে প্রতিবেশীরা কেউ খাবার দেয়, কেউ সামান্য টাকা-পয়সা দেয়। এইভাবেই টিকে আছি।’
ইসলামপুর ইউনিয়নের স্থানীয় ইউপি সদস্য ফারুক আহমেদ বলেন, ‘পরিবারটি এতটাই অসহায় যে, একসময় তাদের মাথাগোঁজার ঠাঁই ছিল না। কয়েক বছর আগে সরকারি আবাসন প্রকল্পের মাধ্যমে এ পরিবারের জন্য একটি ঘরের ব্যবস্থা করা হয়েছে।’ পরিবারটির অসুস্থদের চিকিৎসা ও তাদের আত্মনির্ভরশীল করতে সরকারি সহায়তার দাবি জানান তিনি।