পরিবেশ সুরক্ষা ও টেকসই বর্জ্য ব্যবস্থাপনার দাবিতে এক জোরালো আহ্বান জানিয়েছে পরিবেশ রক্ষা ও উন্নয়ন সোসাইটি। বুধবার (১৮ জুন) সকালে উপজেলার মোগরাপাড়া চৌরাস্তার পরিবেশ রক্ষা ও উন্নয়ন সোসাইটির কার্যালয়ে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এসব দাবি তুলে ধরা হয়।

সংবাদ সম্মেলনে সভাপতিত্ব করেন সংগঠনের চেয়ারম্যান মোহাম্মদ হোসাইন। তিনি তার বক্তব্যে বলেন, সোনারগাঁ উপজেলা একটি ঐতিহাসিক ও শিল্পসমৃদ্ধ এলাকা।

এখানে রয়েছে দেশের শীর্ষস্থানীয় বহু শিল্পপ্রতিষ্ঠান, মিল-ফ্যাক্টরি, হাসপাতাল, শপিংমল, হাটবাজার ও ঘনবসতিপূর্ণ আবাসিক এলাকা। অথচ এত কিছুর পরেও নেই একটি নির্দিষ্ট বর্জ্য ফেলার স্থান বা ডাম্পিং জোন।

তিনি আরও বলেন, প্রতিদিন প্রচুর পরিমাণে গৃহস্থালি, বাণিজ্যিক ও হাসপাতালের বর্জ্য যত্রতত্র ফেলা হচ্ছে, যা সরাসরি প্রভাব ফেলছে আমাদের পরিবেশ ও জনস্বাস্থ্যের ওপর। ড্রেন ও খালগুলো বন্ধ হয়ে যাচ্ছে, দুর্গন্ধ ছড়াচ্ছে সর্বত্র, বাড়ছে রোগজীবাণুর বিস্তার। এভাবে চলতে থাকলে আগামী প্রজন্মের জন্য আমরা রেখে যাব এক বিষাক্ত সোনারগাঁ।

সংগঠনের পক্ষ থেকে দাবি করা হয়, সোনারগাঁয়ের ১টি পৌরসভা ও ১০টি ইউনিয়নের জন্য অবিলম্বে একটি বা একাধিক নির্দিষ্ট স্থান ডাম্পিং জোন হিসেবে নির্ধারণ করতে হবে। পাশাপাশি বর্জ্য ব্যবস্থাপনায় আধুনিক প্রযুক্তি ও জনসচেতনতা বৃদ্ধি কার্যক্রম চালু করার আহ্বান জানানো হয়।

সংবাদ সম্মেলনে আরও উপস্থিত ছিলেন স্থানীয় সুধীজন, পরিবেশবাদী কর্মী এবং গণমাধ্যমকর্মীরা। বক্তারা বলেন, উন্নয়নের জন্য শিল্প প্রয়োজন, তবে সে উন্নয়ন হতে হবে পরিবেশবান্ধব। প্রয়োজন হলে শিল্পপ্রতিষ্ঠানগুলোকে আইনের আওতায় এনে পরিবেশ রক্ষায় বাধ্য করতে হবে।

পরিবেশ রক্ষা ও উন্নয়ন সোসাইটি তাদের পক্ষ থেকে স্থানীয় প্রশাসনসহ সংশ্লিষ্ট সকল কর্তৃপক্ষকে অনুরোধ জানায়, যেন অবিলম্বে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করে সোনারগাঁয়ের পরিবেশ রক্ষা ও জনস্বাস্থ্যের নিরাপত্তা নিশ্চিত করা হয়।
 

.

উৎস: Narayanganj Times

কীওয়ার্ড: স ন রগ ও ন র য়ণগঞ জ ব যবস থ স ন রগ বর জ য

এছাড়াও পড়ুন:

রাষ্ট্রপতি নির্বাচনে ইলেকটোরাল কলেজব্যবস্থা সম্পূর্ণ অগ্রহণযোগ্য: সালাহউদ্দিন আহমদ

রাষ্ট্রপতি নির্বাচনে জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের প্রস্তাবিত ইলেক্টোরাল কলেজব্যবস্থাকে সম্পূর্ণ অগ্রহণযোগ্য বলেছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহউদ্দিন আহমদ। তিনি বলেন, ‘জনগণের ভোটাধিকার হরণে এ ব্যবস্থাকে আরেকটি ছলচাতুরী হিসেবে দেখা হচ্ছে।’

বুধবার রাজধানীর ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সঙ্গে রাজনৈতিক দলগুলোর দ্বিতীয় পর্যায়ের তৃতীয় বৈঠকের আলোচনা শেষে বিকেলে সাংবাদিকদের এসব কথা বলেন সালহাউদ্দিন আহমদ।

বর্তমান সংসদীয় ব্যবস্থায় জাতীয় সংসদের সদস্যদের ভোটেই রাষ্ট্রপতি নির্বাচন হওয়া উচিত বলে মনে করেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির এই সদস্য। তিনি বলেন, ৭০ হাজার স্থানীয় সরকার জনপ্রতিনিধিকে ভোটার করে নির্বাচন করার প্রস্তাব তাদের কাছে এখনই গ্রহণযোগ্য নয়। ভবিষ্যতে যদি সংসদীয় আলোচনার মাধ্যমে এ বিষয়ে সমঝোতা হয়, তখন তা বিবেচনার বিষয় হতে পারে।

তত্ত্বাবধায়ক সরকারব্যবস্থা পুনর্বহালের বিষয়টি উল্লেখ করে সালাহউদ্দিন আহমদ বলেন, তত্ত্বাবধায়ক সরকারব্যবস্থা থাকলে অতীতের অনেক নির্বাচনের অনিয়ম রোধ করা যেত। তত্ত্বাবধায়ক সরকার ও স্বাধীন নির্বাচন কমিশন থাকলেই নির্বাহী বিভাগ ও সংসদের মধ্যে ক্ষমতার ভারসাম্য আনা সম্ভব।

নির্বাচন কমিশনের বিষয়ে সালাহউদ্দিন আহমদ বলেন, বর্তমানে নির্বাচন কমিশন গঠন নিয়ে যে আইন রয়েছে, সেটি দুর্বল এবং অবাধ ও নিরপেক্ষ নির্বাচন আয়োজনে অনুপযুক্ত। সার্চ কমিটির মাধ্যমে নির্বাচন কমিশন গঠন এখন কার্যকর হলেও ভবিষ্যতের জন্য শক্তিশালী আইন প্রণয়ন দরকার।

নির্বাচন কমিশনের জবাবদিহি আইনের মাধ্যমে নিশ্চিত করার প্রস্তাব করেন সালাহউদ্দিন আহমদ। তিনি বলেন, সুপ্রিম জুডিশিয়াল কাউন্সিলের মাধ্যমে কমিশনারদের অপসারণের বিধান থাকলেও আরও কিছু খুঁটিনাটি আইন তৈরি করতে হবে, যেন মিসকন্ডাক্ট বা অপব্যবহারের শাস্তি নিশ্চিত করা যায়।

এ ছাড়া মানবাধিকার কমিশন, দুর্নীতি দমন কমিশনসহ অন্যান্য সাংবিধানিক ও আধা স্বায়ত্তশাসিত প্রতিষ্ঠানের জন্যও শক্তিশালী, স্বচ্ছ ও কার্যকর আইন প্রণয়নের প্রয়োজনীয়তা তুলে ধরেন সালাহউদ্দিন আহমদ।

আরও পড়ুনকিছু ভিন্নমতসহ এনসিসির পক্ষে জামায়াত-এনসিপি, বিপক্ষে বিএনপিসহ বিভিন্ন দল৫ ঘণ্টা আগে

সম্পর্কিত নিবন্ধ