বিএনপি বায়বীয় আশ্বাসে বিশ্বাসী নয়: নার্গিস বেগম
Published: 18th, June 2025 GMT
বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান অধ্যাপক নার্গিস বেগম বলেছেন, বিএনপি বায়বীয় আশ্বাসে বিশ্বাসী নয়। জনগণের ওপর নির্ভরশীল বলেই দেশের সবচেয়ে জনপ্রিয় দল বিএনপি। বুধবার দুপুরে যশোর শিল্পকলা একাডেমি মিলনায়তনে ‘রাষ্ট্র মেরামতের ৩১ দফা এবং শিক্ষকদের ভূমিকা’ শীর্ষক মতবিনিময় সভায় প্রধান অতিথির বক্তৃতায় তিনি এ কথা বলেন। তিনি বলেন, তরুণদের জন্য নিরাপদ বাংলাদেশ নির্মাণের স্বপ্ন দেখছি আমরা। এটা তারেক রহমানের স্বপ্ন।
শিক্ষকদের সমালোচনা করে বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান বলেন, গত ১৬ বছর বিএনপির হাজার হাজার নেতাকর্মী গুম খুন নির্যাতনের শিকার হয়েছে। বিগত আন্দোলনে আমরা শিক্ষক সমাজের সক্রিয় সমর্থন কম পেয়েছি। আপনারা ভয় পেয়েছেন। এখন রাজপথে নেমে যাদের কাছে নানা দাবি উঠাচ্ছেন, তারা কিন্তু ভয় পায়নি। আপনারা শিক্ষার্থীদের শুধু পুঁথিগত বিদ্যা শেখাবেন না, তাদের ন্যায় অন্যায় শেখাবেন। চোখ কান খোলা রেখে ছাত্রদের সচেতন করুন। আমাদের সিন্ধান্ত, সমস্ত পেশাজীবী মানুষের সঙ্গে নিয়ে বিএনপির ঘোষিত রাষ্ট্র মেরামতের ৩১ দফার আলোকে জ্ঞানভিত্তিক গণতান্ত্রিক মানবিক বাংলাদেশ গড়ার।
যশোরে বিএনপির সমমনা শিক্ষক জোট আয়োজিত এ সেমিনারে প্রধান আলোচক ছিলেন বিএনপি ভারপ্রাপ্ত সাংগঠনিক সম্পাদক অনিন্দ্য ইসলাম অমিত। তিনি বলেন, শেখ হাসিনা শিক্ষকদের মর্যাদাকে সর্বনিম্ন পর্যায়ে এনে নামিয়েছিলেন। তাদের দিয়ে নির্বাচনে ব্যালট পেপারে জোর করে সিল মেরে বাক্সে ঢুকাতে বাধ্য করেছিলেন। সেই শিক্ষকদের শিক্ষা ছাত্র-ছাত্রীদের হৃদয়ে কতটুকু দাগ কাটবে সেটিই ভাববার বিষয়। আমরা মনে করি, এই রাষ্ট্র সংস্কারে শিক্ষক সমাজ অলোকবর্তিতা হয়ে কাজ করবে।
কলেজ শিক্ষক সমিতি যশোরের সভাপতি অধ্যক্ষ মকবুল হোসেনের সভাপতিত্বে আরও বক্তব্য রাখেন কেন্দ্রীয় কৃষক দলের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক টিএস আইয়ুব, জেলা বিএনপির সভাপতি সৈয়দ সাবেরুল হক সাবু, কলেজ শিক্ষক সমিতির সাংগঠনিক সম্পাদক আসাদুজ্জামান শাহীন, আমিনুর রহমান পিন্টু, আমিনুর রহমান মধু প্রমুখ।
উৎস: Samakal
কীওয়ার্ড: ব এনপ যশ র শ ক ষকদ র ব এনপ র
এছাড়াও পড়ুন:
ইসরায়েলি সামরিক নীতির প্রতিফলন ইরানযুদ্ধ
ইসরায়েলের সবচেয়ে বড় শত্রু ইরান। প্রায় দুই দশক ধরে দেশটির সঙ্গে সর্বাত্মক যুদ্ধ এড়িয়ে চলেছে তেল আবিব। ইসরায়েলি চোখ রাঙানির মধ্যেই ফিলিস্তিনের গাজায় সশস্ত্র সংগঠন হামাস সরকার গঠন করে। দক্ষিণ লেবাননে ইরানসমর্থিত হিজবুল্লাহ শক্তিশালী হয়ে ওঠে।
দুই সংগঠনের সঙ্গে ইসরায়েলের অস্বস্তিকর সম্পর্ক চলতে থাকে। কিন্তু ২০২৩ সালের ৭ অক্টোবর হামাসের নজিরবিহীন হামলার ঘটনার পর থেকে তারা কঠোর পদক্ষেপ নিতে শুরু করে। এর মাধ্যমে মধ্যপ্রাচ্যে যুদ্ধের গতিপ্রকৃতি তাদের হাতে চলে আসে। একের পর এক হামলা করে হামাস ও হিজবুল্লাহকে দুর্বল করে ফেলা হয়। এর মাধ্যমে মধ্যপ্রাচ্যে ইসরায়েলি সামরিক নীতি (মিলিটারি ডকট্রিন) প্রতিষ্ঠা পায়। তা হলো, যুদ্ধে ধ্বংসাত্মক পন্থা অবলম্বন করার নীতি।
গত সোমবার বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু ঘোষণা করেন, ‘আমরা মধ্যপ্রাচ্যের চেহারা বদলে দিচ্ছি। এর ফলে ইরানের ভেতরেই সুদূরপ্রসারী পরিবর্তন আসতে পারে।’ তবে আপাতত দ্বিতীয় দাবিটি অপ্রমাণিত। কারণ, ইসরায়েলের হামলায় ইরান দুর্বল হলেও পারমাণবিক কর্মসূচিতে দেশটি পরিবর্তন আনবে বলে মনে হয় না। তাছাড়া সরকার পরিবর্তনের পরিকল্পনাও পূরণ হওয়ার নয়। তবে ধ্বংসাত্মক পন্থায় নেতানিয়াহু হামাস ও হিজবুল্লাহর ক্ষমতা খর্ব করে দেখিয়েছেন। সিরিয়ায় ইরানসমর্থিত আসাদ সরকারের পতনেও একই কৌশল কাজে দিয়েছে। এই অবস্থায় মধ্যপ্রাচ্যে ইসরায়েল আরও শক্তিশালী হয়েছে, যা এই অঞ্চলে ব্যাপক পরিবর্তনের ইঙ্গিত দেয়।
ইসরায়েলি সামরিক গোয়েন্দা বিভাগের সাবেক প্রধান মেজর জেনারেল আমোস ইয়াদলিন মনে করেন, ‘হামাসের ওই হামলার আগের ২০ বছর বাইরের হুমকিকে গুরুত্ব দিইনি আমরা। এতে আমাদের গোয়েন্দা সংস্থা সঠিক গোয়েন্দা তথ্য সরবরাহ করতে পারেনি। হামাসের ওই হামলা আমাদের মানসিকতাকে সম্পূর্ণ বদলে দিয়েছে। অতীতে যে ঝুঁকি আমরা নিতে ভয় করতাম, এখন তা অনায়াসে করছি। কারও আক্রমণের জন্য ইসরায়েল আর অপেক্ষা করবে না।
ইসরায়েল পলিসি ফোরামের ফেলো নিমরোদ নোভিক বলেন, গাজার মতো ইরানেও খেলা দ্রুত শেষ করতে হবে। সময়ই বলে দেবে পরিস্থিতি কোন দিকে গড়াবে।