Prothomalo:
2025-06-20@09:13:46 GMT

শুভ ভাই আমার ক্রাশ...

Published: 20th, June 2025 GMT

প্রথম আলো:

আরিফিন শুভর সঙ্গে কাজ করে কেমন লাগল?

মন্দিরা চক্রবর্তী : খুব ভালো। ভীষণ আন্তরিক মানুষ। একই সঙ্গে খুবই পরিশ্রমী ও সহযোগিতাপরায়ণ। তা ছাড়া শুভ ভাই আমার ক্রাশ। যেহেতু তিনি আমার পছন্দের মানুষ, তাই শুটিংয়ের শুরুতে একটু নার্ভাস ছিলাম। ভাবছিলাম, অভিনয়ে পেরে উঠব কি না। দিন শেষে অভিনয়ের প্রশংসা প্রচুর পেয়েছি। ছবি মুক্তির পর দর্শক অভিনয়ের জন্য আমাকে যে ভালোবাসা দিয়েছেন, তা মাথায় তুলে রাখতে চাই।

প্রথম আলো:

ছবিতে আপনি নাচের শিক্ষক। আপনি তো নিজেও নাচেন.

..

মন্দিরা চক্রবর্তী : নাচের মেয়ে হওয়াটা আমার জন্য দারুণ সহায়ক হয়েছে। নাচ না জানলে এই চরিত্রটা হয়তো করতেই পারতাম না বা পরিচালক আমাকে হয়তো কাস্ট–ই করতেন না। যেহেতু নাচের শিক্ষক হিসেবে দেখানো হয়েছে, আমিও নিজে চরিত্রটি ঠিকঠাক ফুটিয়ে তুলতে পেরেছি। আমি নিজেও নাচের শিক্ষকতা করেছি, তাই রাইমা চরিত্রে সংযোগ স্থাপন করাটা অনেক সহজ হয়েছে। আমার কাছে কঠিন বলে মনে হয়নি।

আরিফিন শুভ ও মন্দিরা চক্রবর্তী

উৎস: Prothomalo

এছাড়াও পড়ুন:

অ্যাওয়ে ‘অভিষেকে’ নাঈমের ফাইফার

২০১৮ সালে নাঈম হাসানের টেস্ট অভিষেক। ঘরের মাঠে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে সাদা পোশাকে পথচলা শুরু। সাত বছর পর নাঈমের দীর্ঘ এক অপেক্ষা ফুরাল। দেশের বাইরে প্রথম টেস্ট ম্যাচে বোলিংয়ের সুযোগ পেলেন তিনি। একটু ঘুরিয়ে হলেও বলা যায় অ্যাওয়ে ‘অভিষেক’। যেখানে ৫ উইকেট নিয়ে নাঈম নিজেকে প্রমাণ করেছেন।

একটু ঘুরিয়ে কেন সেটা খোলাসার প্রয়োজন। ২০১৯ সালে ইডেনে নাঈমের খেলার সুযোগ হয়েছিল। একাদশে থেকে প্রথম ইনিংসে ব্যাটিং করে ১৯ রান করেছিলেন। কিন্তু ২২ গজে হাত ঘোরানো হয়নি। ফিল্ডিংয়ে চোট পাওয়ায় নাঈম ছিটকে যান। ফলে তার অ্যাওয়ে ম্যাচে বোলিংয়ের অভিষেকের অপেক্ষা দীর্ঘ হয়। টেস্ট ক্যাপ পাওয়ার সাত বছর পর দেশের বাইরে প্রথম টেস্ট খেলেই বাজিমাত করলেন। ক্যারিয়ারের চতুর্থ ফাইফারের স্বাদ পেলেন। ৪৩.২ ওভার হাত ঘুরিয়ে ১২১ রানে ৫ উইকেট নেন এই অফস্পিনার।

আরো পড়ুন:

শ্রীলঙ্কার কড়া জবাব

ভারতের বিপক্ষে ইংল্যান্ডের একাদশ ঘোষণা

এর আগে তিনবার ফাইফার পেয়েছেন। শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে চট্টগ্রামে ৬ উইকেট পেয়েছিলেন যা তার ক্যারিয়ার সেরা। এছাড়া ওয়েস্ট ইন্ডিজ ও জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে আছে ৫ উইকেট পাওয়ার কীর্তি। সাত বছরের লম্বা ক্যারিয়ারে নাঈম ঘরের মাঠেও খুব বেশি ম্যাচ খেলেননি। এই ম্যাচের আগে তার টেস্টের সংখ্যা ছিল ১২টি। সব মিলিয়ে ১৩ টেস্টে তার উইকেট ৪৪টি।

এই ম্যাচেও তার খেলা হতো কিনা সেটাও বিরাট প্রশ্নের। দেশের মাটিতে বাংলাদেশ দুই ডান হাতি অফস্পিনার খেলানোর চিন্তা করতে পারে টিম ম্যানেজমেন্ট। মিরাজ ও নাঈম একই সঙ্গে খেলতে পারেন। দেশের বাইরে সেই পরিকল্পনা থেকে সরে আসে। ব্যাটিংয়ে এগিয়ে থাকায় মিরাজ হয়ে যান অটোমেটিক চয়েজ। ফলে নাঈমকে থাকতে হয় ডাগআউটে। থাকতে হয় সুযোগের অপেক্ষায়। এই টেস্টের আগে হঠাৎ মিরাজের জ্বর আসায় নাঈমের ভাগ্য খুলে যায়। অফস্পিনারের সুযোগ হয় হাত ঘুরানোর। সুযোগটি দারুণভাবে কাজে লাগিয়ে ফাইফারের স্বাদ পেয়ে গেলেন অ্যাওয়ে অভিষেকেই।

উইকেট ফ্ল্যাট। বল বিরতি দিয়ে ঘুরছে। সমান বাউন্সের উইকেট থেকে বাড়তি টার্ন ও বাউন্স পাওয়ায় নাঈমের বোলিং ছিল ধ্রুপদী। বাংলাদেশ ১০ রানের লিড পেয়েছে। নাঈমের ফাইফারের সুবাদেই মিলেছে এই সাফল্য। এই টেস্টে ফল পেতে হলে দ্বিতীয় ইনিংসেও অভাবনীয় পারফর্ম করতে হবে বোলারদের।

তার সঙ্গে তাইজুল ও মুমিনুল ১টি করে উইকেট পেয়েছেন। হাসান মাহমুদের পকেটে গেছে ৩ উইকেট।

ঢাকা/ইয়াসিন/আমিনুল

সম্পর্কিত নিবন্ধ