আড়াই ঘণ্টার ব্যবধানে একই স্থানে ২ মৃত্যু
Published: 20th, June 2025 GMT
দিনাজপুরের চিরিরবন্দরে একই স্থানে আড়াই ঘণ্টার ব্যবধানে দুই ট্রেনে কাটা পড়ে এক নারীসহ দুইজন মারা গেছেন।
শুক্রবার (২০ জুন) সকাল সাড়ে ৯টার চিরিরবন্দর রেলস্টেশন প্ল্যাটফর্মের পশ্চিম পাশে রাস্তা পার হওয়ার সময় দোলনচাঁপা ট্রেনে কাটা পড়ে আনজুমান আরা (৬০) এবং একই স্থানে দুপুর ১২টার দিকে বাংলাবান্ধা এক্সপ্রেস ট্রেনের নিচে ঝাঁপ দিয়ে জিয়াবুর রহমান (৪৩) মারা যান।
চিরিরবন্দর থানার ওসি আব্দুল ওয়াদুদ দুইজনের মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
আরো পড়ুন:
ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় যুবকের গলাকাটা লাশ উদ্ধার
রেললাইনে বসে গল্প করছিলেন পাঁচ বন্ধু, কাটা পড়ে প্রাণ গেল ৩ জনের
নিহতদের মধ্যে আনজুমান আরা উপজেলার বাসুদেবপুর গ্রামের আফজাল হোসনের স্ত্রী। জিয়াবুর রহমান পশ্চিম সাইতাঁড়া গ্রামের গফুর শাহ পাড়ার এন্তাজুল হকের ছেলে।
স্থানীয়রা জানান, আজ সকালে বাসা থেকে মেয়ের বাসায় যাচ্ছিলেন আনজুমান। রেললাইন পার হওয়ার সময় সকাল সাড়ে ৯টার দিকে দোলনচাঁপা ট্রেনে কাটা পড়েন তিনি। ঘটনাস্থালেই মৃত্যু হয় তার।
একই স্থানে দুপুর ১২টার দিকে বাংলাবান্ধা এক্সপ্রেস ট্রেনের নিচে ঝাঁপ দিয়ে আত্মহত্যা করেন জিয়াবুর রহমান। এসময় ট্রেনটি চিরিরবন্দর রেলস্টেশনের প্লাটফর্মে প্রবেশ করছিল।
ঢাকা/মোসলেম/মাসুদ
.উৎস: Risingbd
কীওয়ার্ড: চ কর চ কর ন হত একই স থ ন
এছাড়াও পড়ুন:
আল-আকসা মসজিদ চত্বরে প্রার্থনা ইসরায়েলি কট্টরপন্থী মন্ত্রীর
নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে ইসরায়েলের কট্টরপন্থী নেতা ও জাতীয় নিরাপত্তামন্ত্রী ইতামার বেন গভির আল-আকসা মসজিদ চত্বরে প্রকাশ্য প্রার্থনায় নেতৃত্ব দিয়েছেন। গত রোববার কয়েক শ ইহুদি বসতিস্থাপনকারী তাঁর সঙ্গে প্রার্থনায় অংশ নেয়। তাঁরা কড়া পুলিশি পাহারায় উচ্চস্বরে ইহুদি রীতি অনুযায়ী প্রার্থনা করেন। এ সময় তাঁরা মুসলিমদের উসকানি দেওয়ার চেষ্টা করেন।
মিডল ইস্ট আই এ ঘটনার বেশ কিছু ভিডিও দেখেছে। ভিডিওতে শত শত বসতিস্থাপনকারীকে আল-আকসা মসজিদ চত্বরে অনুপ্রবেশ করতে দেখা গেছে। এ সময় কিছু লোককে নাচতে ও হৈহুল্লোড় করতে দেখা যায়। এ ধরনের কর্মকাণ্ড মসজিদের পবিত্রতা লঙ্ঘন করে।
ইসরায়েলের দখলে থাকা পূর্ব জেরুজালেমের ওল্ড সিটিতে আল-আকসা মসজিদ প্রাঙ্গণে ইহুদি ধর্মাবলম্বীদের প্রার্থনায় নিষেধাজ্ঞার বিষয়টি দীর্ঘদিন ধরে মেনে আসা হচ্ছিল। যদিও ইহুদি গোষ্ঠীগুলো গত শতকে বারবার এই ভঙ্গুর ব্যবস্থাপনা লঙ্ঘন করেছে। শুধু তাই নয়, ইসলাম ধর্মের অন্যতম পবিত্র স্থানটির ওপর নজিরবিহীন হামলা চালিয়েছে তারা।
জেরুজালেমের ওল্ড সিটির বাসিন্দারা জানান, বেন গভির আসার আগে ও পরে পুরো এলাকাটিকে ‘একটি সামরিক ঘাঁটির’ মতো মনে হচ্ছিল। সেখানে অসংখ্য তল্লাশিচৌকি বসানো হয়। ইসরায়েলি সেনারা নিরাপত্তাব্যবস্থা ব্যাপকভাবে জোরদার করেছিল।
স্থানীয় বাসিন্দারা আরও জানান, বেন গভিরের পরিদর্শনের সময় ইসরায়েলি বাহিনী ফিলিস্তিনিদের মসজিদে প্রবেশ কঠোরভাবে নিয়ন্ত্রণ করে। শুধু অল্পসংখ্যক স্থানীয় বাসিন্দাকে ওই স্থানে চলাচলের অনুমতি দেওয়া হয়।
পরিদর্শনের পর সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলার সময় বেন গভির বলেন, ‘টেম্পল মাউন্ট ইহুদিদের জন্য। আমরা চিরদিন এখানে থাকব।’
ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহুর সরকারের মন্ত্রী হওয়ার পর থেকে বেন গভির অন্তত ১১ বার আল-আকসা মসজিদ চত্বরে অনুপ্রবেশ করেন। এদিকে বেশ কয়েকজন কট্টর ডানপন্থী রাজনীতিবিদ আল-আকসা ধ্বংস করে সেখানে একটি ইহুদি উপাসনালয় নির্মাণের পক্ষে মত দিয়েছেন। তাদের দাবি অনুযায়ী, সেখানে একসময় ইহুদি উপাসনালয় ছিল।
রোববার আল আকসা পরিদর্শনের সময় ডানপন্থী লিকুদ পার্টির আইনপ্রণেতা আমিত হালেভিও উপস্থিত ছিলেন। তিনি গাজায় পানি, খাদ্য ও জ্বালানির সব উৎস ধ্বংস করতে বারবার ইসরায়েল সরকারের প্রতি আহ্বান জানিয়ে আসছেন।