নরসিংদী শহরের ভাগদী এলাকায় পারিবারিক কলহের জেরে স্ত্রীকে বালিশ চাপা দিয়ে হত্যার অভিযোগ উঠেছে স্বামীর বিরুদ্ধে। বৃহস্পতিবার (২০ জুন) ভোরে এ ঘটনা ঘটে।

নিহত ওই গৃহবধূর নাম তাসনিম (২৬)। তিনি ভাগদী মীর বাড়ির ইনছেন আলীর মেয়ে। ঘটনার পর থেকে অভিযুক্ত স্বামী নয়ন মিয়া (৩২) পলাতক রয়েছেন।

স্থানীয়রা জানায়, পারিবারিক কলহের জেরে স্ত্রী তাসনিমকে বালিশ চাপা দিয়ে হত্যা করেন নয়ন। পরে পালিয়ে যান তিনি। বাড়ির অন্য সদস্যরা বিষয়টি টের পেয়ে থানায় খবর দেন।

আরো পড়ুন:

‘জুলাই সনদ’ ঘোষণার দাবিতে সাতক্ষীরায় এনসিপির মানববন্ধন

শিশু সন্তানকে হত্যার পর মেঝেতে পুঁতে রাখে বাবা

নরসিংদী সদর মডেল থানার ওসি (তদন্ত) সামিউল হক বলেন, “খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে মরদেহ উদ্ধার করে। ধারণা করা হচ্ছে, শ্বাসরোধে ওই নারীকে হত্যা করা হয়েছে। নিহতের গলায় ও মুখে আঘাতের চিহ্ন রয়েছে। মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য মর্গে পাঠানো হয়েছে।”

তিনি আরো বলেন, “অভিযুক্ত নয়ন মিয়াকে ধরতে পুলিশের একাধিক টিম মাঠে কাজ করছে। এ ঘটনায় মামলা কার্যক্রম প্রক্রিয়াধীন।’’

ঢাকা/হৃদয়/রাজীব

.

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর হত য মরদ হ

এছাড়াও পড়ুন:

সাতজনকে ঠেলে পাঠাল বিএসএফ, দু’জনকে হস্তান্তর

ঠাকুরগাঁওয়ের হরিপুর উপজেলার চাপসার সীমান্ত দিয়ে শুক্রবার ভোরে সাতজনকে ঠেলে পাঠিয়েছে ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনী (বিএসএফ)। পরে তাদের আটক করেছে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি)। 

এর আগে বৃহস্পতিবার লালমনিরহাট সীমান্তে দুই নাগরিককে হস্তান্তর করেছে উভয় দেশের সীমান্তরক্ষীরা। এ নিয়ে গত ৪ মে থেকে ১ হাজার ৫২৩ জনকে ঠেলে পাঠাল বিএসএফ।

ঠাকুরগাঁওয়ে বিজিবির হাতে আটকদের মধ্যে চারজন নারী এবং এক শিশু রয়েছে। ৪২ বিজিবি সংবাদ বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে এ তথ্য জানিয়েছে।

প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে আটকরা জানিয়েছেন, তারা ২০-২৫ বছর আগে কাজের সন্ধানে দালালের মাধ্যমে ভারতের মুম্বাই গিয়েছিলেন। ৬-৭ দিন আগে মুম্বাই পুলিশ তাদের গ্রেপ্তার করে এবং গত বুধবার সীমান্ত এলাকায় নিয়ে আসে। আত্মীয়স্বজনের মাধ্যমে তাদের জাতীয় পরিচয়পত্র এবং জন্মনিবন্ধন সনদ যাচাই-বাছাই করা হয়েছে। নাগরিকত্ব সঠিক হওয়ায় তাদের হরিপুর থানায় হস্তান্তরের কার্যক্রম প্রক্রিয়াধীন। এ ঘটনার প্রতিবাদে শুক্রবার বিজিবি-বিএসএফ কোম্পানি কমান্ডার পর্যায়ে পতাকা বৈঠক হয়েছে।

এদিকে লালমনিরহাট সীমান্তে আমিনুল ইসলাম নামে এক ভারতীয় নাগরিককে স্থানীয়রা আটক করে বিজিবির হাতে তুলে দেয়। তিনি সীমান্ত অতিক্রম করে বাংলাদেশে ঢুকেছিলেন। তাঁর আটকের খবরে সীমান্তের ভারতীয় নাগরিকরা সিরাজুল হক নামে এক বাংলাদেশি যুবককে তুলে নিয়ে বিএসএফের কাছে সোপর্দ করে। পরে পতাকা বৈঠকের মাধ্যমে উভয় দেশের নাগরিককে হস্তান্তর করা হয়।

বৃহস্পতিবার বিকেলে লালমনিরহাটের আদিতমারী উপজেলার মোগলহাট সীমান্তে এ ঘটনা ঘটে।

লালমনিরহাট ১৫ বিজিবি ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক লে. কর্নেল মেহেদী ইমাম সমকালকে বলেন, বাংলাদেশে প্রবেশ করে কাউকে তুলে নেওয়ার মতো ঘটনা ঘটেনি। তবে তারা দু’জনই সীমান্ত আইন লঙ্ঘন করেছেন। এ ঘটনায় বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা সাড়ে ৭টায় বিজিবি ও বিএসএফের কোম্পানি কমান্ডার পর্যায়ে পতাকা বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। এর পর উভয় দেশের নাগরিকের পরিচয় নিশ্চিত হওয়ার পর তাদের হস্তান্তর করা হয়।

সম্পর্কিত নিবন্ধ