বিনোদন সাংবাদিকদের সঙ্গে প্রযোজনা প্রতিষ্ঠান চরকির অসৌজন্যমূলক আচরণের তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছে বাংলাদেশ চলচ্চিত্র সাংবাদিক সমিতি(বাচসাস)।

শুক্রবার (২০ জুন) বাচসাস সভাপতি কামরুল হাসান দর্পণ ও সাধারণ সম্পাদক রাহাত সাইফুল প্রযোজনা প্রতিষ্ঠান চরকির ন্যাক্কার ও ধিক্কারজনক আচরণের জন্য কার্যনির্বাহী কমিটির পক্ষ থেকে নিন্দা ও প্রতিবাদ জানান।

কিছুদিন আগে মুক্তি পেয়েছে চরকি প্রযোজিত ‘উৎসব’ সিনেমা। কয়েক দিন আগে বিনোদন সাংবাদিকদের জন্য সিনেমাটির বিশেষ প্রদর্শনীর আয়োজন করে প্রযোজনা প্রতিষ্ঠানটি। নির্ধারিত দিনে আমন্ত্রিত বিনোদন সাংবাদিকরা প্রদর্শনীতে হাজির হলেও তাদের জন্য সিনেমা হলে কোনো আসন রাখা হয়নি। এতে আপমানিত হয়ে ফিরে আসেন দায়িত্বপ্রাপ্ত সাংবাদিকরা। 

আরো পড়ুন:

আম ব্যবসায় ওমর সানী

একসঙ্গে দেখা দিলেন প্রাক্তন প্রেমিক যুগল দেব-শুভশ্রী

আমন্ত্রণ জানিয়ে চরকির এ ধরনের আচরণ পুরো বিনোদন সাংবাদিক সমাজকে অবমাননা ও অপমান করা হয়েছে বলে বাংলাদেশ চলচ্চিত্র সাংবাদিক সমিতি (বাচসাস) মনে করে। চরকির এমন অশোভন, অভব্য ও শিষ্টাচার বর্হিভূত আচরণের তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছে বাচসাস। 

বাচসাসের দপ্তর সম্পাদক রুহুল আমিন ভূঁইয়া সাক্ষরিত বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, দেশের চলচ্চিত্রের সূচনালগ্ন থেকে চলচ্চিত্র সাংবাদিকরা চলচ্চিত্রের উন্নয়ন, বিকাশ ও প্রসারে নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছে। বাচসাস চলচ্চিত্রসহ সাংস্কৃতিক অঙ্গণে সেতুবন্ধন রচনা করেছে। আমরা উদ্বেগের সঙ্গে লক্ষ্য করছি, সাম্প্রতিক সময়ে বিনোদন সাংবাদিকদের সঙ্গে কোনো কোনো সিনেমা নির্মাতা প্রতিষ্ঠান, প্রযোজক, পরিচালক, শিল্পীর অসৌজন্য ও জবরদস্তিমূলক আচরণ সাংবাদিকদের স্বাধীনভাবে কাজ করার ক্ষেত্রে বাধা সৃষ্টি করছে, যা কোনোভাবেই কাম্য নয়।

আমরা মনে করি, দেশের সংস্কৃতির উন্নয়ন ও এগিয়ে নিতে নির্মাতা, প্রযোজক, শিল্পী, কলাকুশলী ও সাংবাদিকরা একে অপরের পরিপূরক হিসেবে কাজ করে। এমতাবস্থায়, পারস্পরিক সহযোগিতামূলক আচরণ কাম্য। আমরা আশা করি, চরকি সাংবাদিকদের সঙ্গে যে অশোভন ও অপমানজনক আচরণ করেছে, তার পুনরাবৃত্তি হবে না। প্রত্যেকের কাছ থেকে পারস্পরিক সহযোগিতামূলক আচরণ প্রত্যাশা করেন বলেও বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়ছে।

ঢাকা/শান্ত

.

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর চলচ চ ত র চলচ চ ত র ব দ কর চরক র

এছাড়াও পড়ুন:

পুরোপুরি বিলুপ্তির পর উগান্ডায় আবার ফিরল গন্ডার

উগান্ডার মধ্যাঞ্চলে প্রায় ২৭ বর্গমাইল (৭০ বর্গকিলোমিটার) এলাকায় বিস্তৃত জিওয়া র‍্যাঞ্চ নামে খামারে রয়েছে প্রচুর সবুজ ঘাস, জলাভূমি, বনাঞ্চল। সেই খামারে সাত হাজার গরু ঘুরে বেড়াত। এখন আর সেখানে গরু নেই। এর জায়গায় ঘাস খায় গন্ডার। উগান্ডায় এখন কেবল এখানেই রয়েছে গন্ডার। নিজেদের প্রাকৃতিক আবাসে বসবাস করছে এসব বন্য প্রাণী।

আফ্রিকার দেশ উগান্ডায় ৪০ বছর আগে গন্ডার একেবারেই বিলুপ্ত হয়ে গিয়েছিল। তবে একজন খামারির হাত ধরে আবার দেশটিতে ফিরে এসেছে বন্য এ প্রাণী। সেখানকার বেসরকারি খামার জিওয়া র‍্যাঞ্চে এখন গন্ডার আছে প্রায় অর্ধশত। কীভাবে গন্ডারদের সেই দেশে ফিরিয়ে আনা হলো, বলা যাক সেই গল্প।

একসময় ধূসর ও সাদা গন্ডারের আবাসস্থল ছিল উগান্ডা। ১৯৮০-এর দশকে শিকার, চোরাচালান ও রাজনৈতিক অস্থিরতায় দেশটি থেকে গন্ডার সম্পূর্ণ বিলুপ্ত হয়ে যায়। একসময় সেখানে প্রায় ৭০০টি গন্ডার থাকলেও সে সংখ্যা শূন্যে নেমে আসে।

এর এক দশক পর জিওয়া র‍্যাঞ্চের মালিক ক্যাপ্টেন জোসেফ চার্লস রয়ের কাছে গন্ডার ফিরিয়ে আনার প্রস্তাব দেয় ‘রাইনো ফান্ড উগান্ডা’। জোসেফ এ প্রস্তাবে সম্মত হন এবং ২০০৫-০৬ সালে কেনিয়া ও যুক্তরাষ্ট্রের ফ্লোরিডা থেকে ছয়টি গন্ডার নিয়ে আসেন। খামারটিতে বংশবৃদ্ধির মাধ্যমে সেই গন্ডারের সংখ্যা এখন দাঁড়িয়েছে ৪৮–এ।

৪৮টি গন্ডারের মধ্যে জিওয়া র‍্যাঞ্চে গত তিন মাসে জন্মেছে পাঁচটি শাবক। খামারের শান্তিপূর্ণ পরিবেশ ও সার্বক্ষণিক নিরাপত্তা এই সাফল্যের মূল কারণ বলে ধরা হয়। সেখানে কর্তব্যরত রেঞ্জাররা প্রতিটি ‘গন্ডার পরিবারকে’ সার্বক্ষণিক নজরে রাখেন। গন্ডারগুলো যাতে চোরাচালানের শিকার না হয়, সে জন্য রয়েছে নিশ্ছিদ্র সীমানা পাহারার ব্যবস্থা।

জিওয়া র‍্যাঞ্চে যেসব ব্যক্তি রেঞ্জার হিসেবে কাজ করেন, তাঁদের একজন শরিফ নসুবাগা। তিনি খামারটিতে ১০ বছরের বেশি সময় ধরে কাজ করছেন।

শরিফ নসুবাগা বলেন, প্রতি ঘণ্টায় তাঁরা গন্ডারদের কার্যকলাপ এবং তাদের আচরণ, যেমন খাওয়া, মলমূত্র ত্যাগ, বিশ্রাম নেওয়া রেকর্ড করেন। তিনি বলেন, এই কাজ করতে গিয়ে তাঁদের সঙ্গে গন্ডারদের ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক গড়ে উঠেছে। কোন গন্ডারের আচরণ কেমন, কোনটি শান্ত আর কোনটি আক্রমণাত্মক, তা তাঁরা জেনে গেছেন।

জিওয়া র‍্যাঞ্চে গন্ডারের বাইরে চিতাবাঘ, জিরাফ, জেব্রাসহ ৩০০টির বেশি প্রজাতির পাখি দেখা যায়। পর্যটকেরা এখানে এসে বন্য প্রাণীগুলো দেখতে পারেন। পর্যটকদের থেকে পাওয়া অর্থ প্রাণীগুলোর সংরক্ষণে ব্যয় হয়।

জিওয়া কর্তৃপক্ষ জানায়, র‍্যাঞ্চের মূল লক্ষ্য হলো পর্যাপ্ত গন্ডার প্রজনন করে তাদের উগান্ডার জাতীয় উদ্যানগুলোতে স্থানান্তর করা। এ খামারে ৮০টি পর্যন্ত গন্ডার রাখা যেতে পারে। গন্ডারের প্রজাতিতে বৈচিত্র্য আনতে আফ্রিকার অন্যান্য দেশ থেকে শিগগিরই আরও আটটি গন্ডার আনার সিদ্ধান্ত নিয়েছে জিওয়া কর্তৃপক্ষ।

সার্বিক বিষয়ে উগান্ডায় গরিলা সংরক্ষণে বিপ্লব ঘটানো প্রাণিচিকিৎসক গ্ল্যাডিস কালেমা-জিকুসোকা বলেন, জাতীয় উদ্যানগুলোতে গন্ডার স্থানান্তর একটি গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ। তবে এ জন্য পর্যাপ্ত বিনিয়োগ ও পর্যাপ্ত রেঞ্জার অপরিহার্য।

জিকুসোকা বলেন, ইদি আমিনের শাসনামলে উগান্ডা থেকে গন্ডার সম্পূর্ণ বিলুপ্ত হয়ে গিয়েছিল। সেই গন্ডার ফিরিয়ে আনার মাধ্যমে প্রমাণিত হচ্ছে, উগান্ডা আবার স্থিতিশীল হয়েছে।

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • এআই এজেন্ট উন্মুক্ত করল অ্যাডোবি
  • নতুন প্রজাতির তৃণভোজী ডাইনোসরের জীবাশ্ম আবিষ্কার
  • চাকসু নির্বাচনে ছাত্রদলের প্যানেল ঘোষণা
  • আগামী সরকারের মন্ত্রীদের জন্য গাড়ি কেনার অতি আগ্রহের কারণ কী, প্রশ্ন টিআইবির
  • মুসলিম পরিবারে শিশুর নিরাপত্তা
  • পুরোপুরি বিলুপ্তির পর উগান্ডায় আবার ফিরল গন্ডার