কিশোরগঞ্জের ভৈরবে সেতু থেকে নদীতে লাফ দিয়ে গোসল করতে গিয়ে মো. জুম্মান মিয়া নামে এক কিশোরের মৃত্যু হয়েছে। শুক্রবার সকালে উপজেলার শিমুলকান্দি ইউনিয়নের গোছামারা স্টিল ব্রিজ এলাকায় কোদালকাটি নদীতে এ ঘটনা ঘটে। খবর পেয়ে ভৈরব নদী ফায়ার স্টেশনের ডুবুরিদল ১ ঘণ্টা চেষ্টা চালিয়ে জুম্মনের মরদেহ উদ্ধার করে।

জুম্মান মিয়া (১৭) শিমুলকান্দি ইউনিয়নের গোছামারা এলাকার মো.

আমানউল্লাহ মিয়ার ছেলে।

স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, জুম্মান মিয়া বাড়ির পাশে গোছামারা হাফেজিয়া দারুল উলুম মাদ্রাসা থেকে দুই মাস আগে কোরআনের হাফেজ হোন। শুক্রবার সকালে সহপাঠীদের নিয়ে মাদ্রাসা পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন করেন। পরে মাদ্রাসা মাঠেই সহপাঠীদের নিয়ে ফুটবল খেলে কোদালকাটি নদীতে গোসল করতে যান। এক পর্যায়ে নদীর ওপরের সেতু থেকে লাফিয়ে গোসল করতে গিয়ে প্রবল স্রোতে নদীতে ডুবে যান। এ সময় সহপাঠীরা তাকে খুঁজে না পেয়ে ফায়ার সার্ভিসকে খবর দেয়। পরে প্রায় ১ ঘণ্টা চেষ্টা চালিয়ে ডুবে যাওয়া স্থান থেকেই জুম্মনের মরদেহ উদ্ধার করেন ফায়ার সার্ভিসের ডুবুরিদল।

ভৈরব নদী ফায়ার স্টেশন লিডার তোফাজ্জল হোসেন জানান, সকাল ৯টা ৪৮ মিনিটে ৯৯৯ এর খবর পেয়ে তারা ১০টা ১০ মিনিটে ঘটনাস্থলে আসেন। ১১ টা ১০ মিনিটে নদী থেকে কিশোরের মরদেহ উদ্ধার করে পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।

ভৈরব থানার ওসি খন্দকার ফুয়াদ রুহানি বলেন, খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠানো হয়েছে। কিশোরের পরিবারের অভিযোগ পেলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: ক শ রগঞ জ ভ রব

এছাড়াও পড়ুন:

ছড়া-কবিতা

প্র জী ৎ   ঘো ষ 
কদম কেয়ার ফুল ফুটেছে

আষাঢ় এলো বাদল ধারা
ঝরছে ঝিরিঝিরি;
কালো মেঘে সারা আকাশ
রাখছে যেন ‘ঘিরি’। 

কদম কেয়ার ফুল ফুটেছে
ওই যে গাছে গাছে;
পাতার ফাঁকে উঁকি দিয়ে
টুনটুনিটা নাচে। 

আম কাঁঠালের গন্ধে আজো
মনটা উড়ু উড়ু;
এইতো হঠাৎ রোদের হাসি
আবার বৃষ্টি শুরু। 

কচুপাতা কলা পাতার
ছাতা মাথায় দিয়ে;
ইশকুলেতে যাওয়া-আসার
স্মৃতি রয় দাঁড়িয়ে!
 

 

আ ল ম গী র   ক বি র 
আঁকতে বসে

রংপেনসিল হাতে নিয়ে 
আঁকতে বসি আমি
আম্মু বলেন শুরু হলো 
ছেলেটার পাগলামি।

কি আঁকি আজ কি আঁকি আজ 
বসে ভাবতে থাকি,
একটা ফুলের গাছ আঁকলাম
সেই গাছে এক পাখি।
পাতার ফাঁকে ফুল আঁকলাম
পাপড়ি আঁকা বাকি।

ফুলটা তখন ফুটবে বলে
বায়না কেবল ধরে,
ফুলকে বলি আর কিছুক্ষণ 
ঘ্রাণ ছড়াবি পরে!

সম্পর্কিত নিবন্ধ