কিশোরগঞ্জের ভৈরবে নদীতে গোসলে নেমে পানিতে ডুবে জুম্মান নামের এক মাদ্রাসাছাত্রের মৃত্যু হয়েছে। শুক্রবার (২০ জুন) উপজেলার শিমুলকান্দি ইউনিয়নের গুছামারা এলাকার কোদালকাটি নদী থেকে মরদেহটি উদ্ধার করা হয়।

নিহত জুম্মান ওই গ্রামের আমান উল্লাহর ছেলে ও পূর্বপাড়া হাফিজিয়া মাদ্রাসার শিক্ষার্থী ছিলেন। ভৈরব নৌ ফায়ার সার্ভিসের স্টেশন ইনচার্জ আজিজুল হক রাজন এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

তিনি বলেন, ‘‘শুক্রবার মাদ্রাসা বন্ধের দিন থাকায় জুম্মান বন্ধুদের সঙ্গে নদীতে গোসলে যায়। একপর্যায়ে পানিতে তলিয়ে নিখোঁজ হয় সে। খবর পেয়ে ফায়ার সার্ভিসের ডুবুরি দলের সদস্যরা প্রায় দুই ঘণ্টার চেষ্টায় নদীর তলদেশ থেকে জুম্মানের মরদেহ উদ্ধার করে।’’

আরো পড়ুন:

যশোরে করোনায় আরো একজনের মৃত্যু

কুষ্টিয়ায় বিদ্যুৎস্পৃষ্টে নারীর মৃত্যু

ঢাকা/রুমন/রাজীব

.

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর

এছাড়াও পড়ুন:

সাহিত্য রাজনৈতিক বিভাজন ভেঙে দেয়: ফরহাদ মজহার 

সাহিত্য রাজনৈতিক বিভাজন ভেঙে দেয় বলে মন্তব্য করেছেন কবি ও দার্শনিক ফরহাদ মজহার। তিনি বলেন, সাহিত্য সবসময়ই রাজনৈতিক শক্তির বাইরে দাঁড়িয়ে থাকে। কারণ সাহিত্য বিভাজনকে ভেঙে দেয়, নতুন সম্বন্ধ তৈরি করে। ফলে সাহিত্য কখনো সরাসরি রাজনীতির হাতিয়ার হয়ে উঠলেও, তা রাজনীতিকে চ্যালেঞ্জ করেই টিকে থাকে। রাজনীতি বুঝলে সাহিত্যও বোঝা যাবে। সাহিত্য শুধু জাতীয়তাবাদী বয়ান নয় বরং সার্বজনীনতার আকাঙ্ক্ষাও।

শুক্রবার বিকেল সাড়ে ৪টায় রাজধানীর সংস্কৃতি বিকাশ কেন্দ্রে মোহাম্মদ রোমেলের প্রকাশিত কাব্যগ্রন্থ ‘অধরা শহীদি মিছিল’–এর ওপর পাঠ, আবৃত্তি ও পর্যালোচনা সভায় তিনি এসব কথা বলেন।

সাহিত্য ও চিন্তাশীলতার এই আয়োজনে উপস্থিত বাংলা একাডেমীর মহাপরিচালক মোহাম্মদ আজম, গবেষক কুদরত-ই-হুদা এবং কবি ও ‘বিবিধ’ পত্রিকার সম্পাদক ইকতিজা হাসান। সঞ্চালনায় ছিলেন লেখক ও চিন্তক উদয় হাসান। আয়োজক ছিল ‘বায়োস্কোপ আড্ডা’।

বই প্রসঙ্গে ফরহাদ মজহার বলেন, শহীদি মিছিল শুধু একটি বই নয়, এটি একটি রাজনৈতিক অভিব্যক্তি। বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের স্মৃতি বহন করে এই নাম। বইয়েই কবিতাগুলো ২০১৩ সাল থেকে লেখা হয়েছে, যার ভেতরে আছে বাংলাদেশ রাষ্ট্র ও রাজনীতিকে নতুনভাবে দেখার আকাঙ্ক্ষা।

কবি সম্পর্কে তিনি বলেন, রোমেল এখনো বাইনারি থেকে সম্পূর্ণ মুক্ত নন। তাঁর কবিতায় গ্রাম বনাম শহর, নাগরিকতা বনাম প্রকৃতি, আবেগ বনাম যুক্তির দ্বন্দ্ব প্রকট। তবে তিনি এই দ্বৈততার ভেতর থেকেও নতুন ভাষা নির্মাণের সম্ভাবনা তৈরি করছেন। 

আলোচনায় মোহাম্মদ আজম বলেন, রোমেল প্রচলিত কাব্যধারায় কবিতা লেখেননি। তাঁর কবিতায় বাংলার ভাব, কৃষি, নাগরিক সংকট, রাজনৈতিক ভাষ্য ও একান্ত ব্যক্তিগত অনুভব একত্রে ধরা পড়ে। এইসব উপাদানে ফরহাদ মজহারের ছায়া লক্ষ্য করা যায়।

তিনি আরও বলেন, রোমেলের কবিতা শরীরকে একটি কেন্দ্রীয় মেটাফোর হিসেবে ব্যবহার করেছে। প্রেম, আবেগ, ভালোবাসা সবই সেখানে শরীরের ভেতর দিয়ে প্রকাশিত।

সম্পর্কিত নিবন্ধ