চিকিৎসকের বিরুদ্ধে ‘মিথ্যা’ মামলা প্রত্যাহার দাবি
Published: 20th, June 2025 GMT
দেবিদ্বারে সমাজসেবক ও চিকিৎসক এটিএম আব্দুর রহমান তাহেরের বিরুদ্ধে ‘ষড়যন্ত্রমূলক’ মামলা প্রত্যাহারের দাবিতে মানববন্ধন করেছেন এলাকাবাসী। শুক্রবার সকাল ১০টার দিকে ফতেহাবাদ ইউনিয়ন পরিষদের সামনে এই মানববন্ধন করা হয়েছে।
গৃহবধূকে অপহরণ মামলায় গত ১৬ জুন এটিএম আব্দুর রহমান তাহেরকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। গত বৃহস্পতিবার জামিনে মুক্তি পেয়েছেন তিনি। তবে এখনও উদ্ধার হয়নি ভুক্তভোগী নারী।
তবে তার বিরুদ্ধে দায়ের মামলাটিকে ‘ষড়যন্ত্রমূলক’ বলে দাবি করেছেন মানববন্ধনকারীরা। তারা বলেন, ‘গরিবের চিকিৎসক’ খ্যাত ডা.
মানববন্ধনে বক্তব্য দেন কুমিল্লা সম্মিলিত হোমিওপ্যাথি ডক্টরস ফোরামের সদস্য ডা. মনির হোসেন, ডা. জিয়াউল হক, ডা. দেলোয়ার হোসেন, হাবিবুর রহমান, মসজিদের ইমাম আব্দুল্লাহ আল মামুন, হোমিওপ্যাথি চিকিৎসক শারমিন প্রমুখ।
তবে মামলার বাদী জানান, তার স্ত্রীকে নানাভাবে উত্ত্যক্ত করতেন আবদুর রহমান। ১১ জুন সকালে কয়েকজন সহযোগী সঙ্গে নিয়ে তাঁর স্ত্রীকে অপহরণ করে। এ বিষয়ে থানায় মামলা করা হয়েছে।
থানার ওসি শামসুদ্দিন মোহাম্মদ ইলিয়াস বলেন, অভিযোগ পেয়ে আবদুর রহমানকে গ্রেপ্তার করে গত ১৬ জুন আদালতে পাঠানো হয়েছে। ভুক্তভোগীকে উদ্ধারে অভিযান অব্যাহত রয়েছে।
উৎস: Samakal
কীওয়ার্ড: দ র রহম ন চ ক ৎসক ম নববন
এছাড়াও পড়ুন:
বেরোবি শিক্ষক মাহামুদুল হাসানের মুক্তি দাবি
রংপুরের বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের (বেরোবি) গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের সহকারী অধ্যাপক মো. মাহামুদুল হকের নিঃশর্ত মুক্তির দাবিতে মানববন্ধন ও বিক্ষোভ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়েছে।
শুক্রবার দুপুরে বিশ্ববিদ্যালয়ের মিডিয়া চত্বরে বিভাগের উদ্যোগে মানববন্ধন কর্মসূচি পালিত হয়। এতে বিভাগের শিক্ষক-শিক্ষার্থী ছাড়াও বিভিন্ন শ্রেণির মানুষ অংশ নেয়।
সমাবেশে ২৪ ঘণ্টার মধ্যে শিক্ষক মাহমুদুল হকের মুক্তি, ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে তদন্ত কমিটি গঠন করে তিন কার্যদিবসের মধ্যে তদন্ত প্রতিবেদন দাখিল এবং তাকে গ্রেপ্তারের সঙ্গে জড়িতদের চিহ্নিত করে বিচারের আওতায় আনার দাবিতে আল্টিমেটাম ঘোষণা করেছেন শিক্ষার্থীরা।
সেইসঙ্গে শিক্ষক মাহমুদুল হকের মুক্তি না দেওয়া পর্যন্ত গণযোগযোগ সাংবাদিকতা বিভাগের সকল ক্লাস বর্জন অব্যাহত রাখারও ঘোষণা দেন শিক্ষার্থীরা।
মানববন্ধনে শিক্ষার্থী শাহীন বলেন, যথাযথ আইনি প্রক্রিয়া অনুসরণ না করে শিক্ষককে গ্রেপ্তার করে সরাসরি আদালতে পাঠানো হয়েছে। গ্রেপ্তারের স্থানও সংশ্লিষ্ট থানার আওতাধীন ছিল না, যা একটি সুপরিকল্পিত ষড়যন্ত্রের ইঙ্গিত দেয়।
মাহামুদুল হকের স্ত্রী বলেন, ‘একজন বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক জাতির সম্পদ। তার প্রতি যে অবমাননা করা হয়েছে, তা অত্যন্ত দুঃখজনক। এ ঘটনার সুষ্ঠু তদন্ত ও দ্রুত মুক্তি চাই।’
গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের শিক্ষক অধ্যাপক নজরুল ইসলাম বলেন, মাহামুদুল হক মামলার সর্বশেষ আসামি হলেও তাকে সবার আগে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। এটি একটি পরিকল্পিত হয়রানি ছাড়া কিছু নয়।
উল্লেখ্য, গত বছরের জুলাই আন্দোলনের সময় শিক্ষক মাহামুদুল হক আবু সাঈদ হত্যায় পুলিশি তদন্তের বিরোধিতা করে সর্বপ্রথম বিচারবিভাগীয় তদন্তের দাবি জানিয়েছিলেন। আন্দোলন-পরবর্তী ১০ মাস পর জুলাই আন্দোলনের একটি মামলায় তাকে গ্রেপ্তার করা হয় যা শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের মধ্যে তীব্র ক্ষোভের জন্ম দিয়েছে।