অভ্যন্তরীণ কোন্দলে গত ১০ মাসে বিএনপির ১২৭ জন নিহতের তথ্য উল্লেখ করে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের নায়েবে আমির মুফতি সৈয়দ মুহাম্মদ ফজলুল করীম বলেছেন, দলটির কাছে নিজের নেতাকর্মীও নিরাপদ নন। তাহলে কীভাবে নাগরিকরা নিরাপত্তা পাবেন? শুক্রবার বিকেলে রংপুর পাবলিক লাইব্রেরি মাঠে সমাবেশে এসব কথা বলেন চরমোনাই পীরের দলের এ নেতা।

ইসলামী আন্দোলন রংপুর মহানগর কমিটির সমাবেশে ফজলুল করীম বলেন, ‘যারা নিজেরা নির্বাচনের তারিখ ঘোষণা দেন, তাদের কাছে আইন নিরাপদ নয়। যারা জোর করে পক্ষে রায় নিয়ে মেয়রের চেয়ারে বসেন, তাদের কাছে মানুষের সম্মান বলে কিছু থাকবে না।’

তিনি বলেন, ‘অনেকেই ভাবছেন আগামীতে অমুক দল আসবে, সে আশায় গুড়েবালি। বাংলাদেশের ৩৮ ভাগ নতুন ভোটার ধানের শীষ কী জানেই না। তারা জিয়াউর রহমানকেও চেনে না।’

ফজলুল করীম আরও বলেন, ‘আবু সাঈদ কতবার জন্ম নেবেন? আপনারা কতবার রক্ত দেবেন? আমরা বলতে চাই, অবৈধ কোনো সরকার বা ব্যক্তিকে ক্ষমতায় আনতে, চাঁদাবাজকে ক্ষমতায় আনতে আর একবিন্দু রক্তও আমরা দিতে চাই না। আমরা ক্ষমতায় এলে এমন পরিবেশ তৈরি হবে, যেখানে কেউ অবৈধ কিছু চিন্তাই করবে না।’

ইসলামী আন্দোলন রংপুর মহানগর সভাপতি আমিরুজ্জামান পিয়ালের সভাপতিত্বে সমাবেশে বক্তব্য দেন প্রেসিডিয়াম সদস্য আশরাফ আলী আকন্দ। পরে আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনে রংপুর-১ আসনে এ টি এম গোলাম মোস্তফা বাবু, রংপুর-২ মাওলানা আশরাফ আলী, রংপুর-৩ আমিরুজ্জামান পিয়াল, রংপুর-৪ জাহিদ হোসেন ও রংপুর-৫ আসনে অধ্যক্ষ গোলজার হোসেনকে দলীয় প্রার্থী ঘোষণা করেন সৈয়দ ফজলুল করীম।

.

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: ব এনপ

এছাড়াও পড়ুন:

ঢাকার রাস্তায় টেসলা, রোলস–রয়েস, পোরশেসহ ২৫০০ বিলাসবহুল গাড়ি

রাজধানী ঢাকার রাস্তায় চলে বিশ্বের আলোচিত টেসলা গাড়ি। ইতিমধ্যে বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষ (বিআরটিএ) থেকে ছয়টি টেসলা গাড়ির নিবন্ধন নেওয়া হয়েছে। শুধু টেসলা নয়; রোলস-রয়েস, ফেরারি, বেন্টলি, পোরশের মতো বিলাসবহুল অভিজাত গাড়ি এখন ঢাকার রাস্তার বুক চিড়ে চড়ে বেড়ায়।

অন্যদিকে রেঞ্জ রোভার, বিএমডব্লিউ, মার্সিডিজ বেঞ্জের মতো অভিজাত গাড়িও ঢাকার রাস্তায় অহরহ দেখা যায়। এ গাড়িগুলো যেন দেশের ধনীদের আভিজাত্যের প্রতীক হয়ে গেছে।

সব মিলিয়ে দেশে এখন আড়াই হাজারের বেশি এমন বিলাসবহুল ও দামি গাড়ি আছে। এই গাড়িগুলোর দাম ১ কোটি থেকে ১২ কোটি টাকা। দেশের একশ্রেণির অতিধনী ব্যবসায়ীরা এসব বিলাসবহুল গাড়ি চালান।

গাড়ি ব্যবসায়ীরা জানান, এমন বিলাসবহুল দামি গাড়ির গ্রাহকের সংখ্যা দেড় থেকে দুই হাজারের মতো। কেউ কেউ একাধিক বিলাসবহুল গাড়ি কিনেছেন।

দেশে বিলাসবহুল গাড়ির মধ্যে সবচেয়ে বেশি বিক্রি হয় মার্সিডিজ বেঞ্জ, বিএমডব্লিউ ও আউডি (অনেকে অডি বলেন) ব্র্যান্ডের গাড়ি। রাজধানীর ঢাকার পাশাপাশি চট্টগ্রামের রাস্তায় এমন দামি গাড়ি মাঝেমধ্যে দেখা যায়।

এক দশক আগেও রাস্তায় বিলাসবহুল গাড়ি অনেক কম দেখা যেত। গুলশান, বনানী, ধানমন্ডি, বারিধারা ও বসুন্ধরার মতো অভিজাত এলাকায় এখন প্রায়ই দেখা মিলে রেঞ্জ রোভার, মার্সিডিজ ও বিএমডব্লিউর মতো বিলাসবহুল গাড়ি। সাধারণত রাতের দিকে অভিজাত এলাকায় এমন গাড়ির আনাগোনা বেড়ে যায়। সব মিলিয়ে গত ১০ বছরে আড়াই হাজারের বেশি বিলাসবহুল গাড়ি আমদানি হয়েছে।

জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) সূত্রে জানা গেছে, গত ১০ বছরে দেশে শুধু রোলস-রয়েস ব্র্যান্ডের গাড়ি আমদানি হয়েছে ১২টি। আর গত পাঁচ বছরে বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষে (বিআরটিএ) ৮টি রোলস-রয়েস নিবন্ধিত হয়েছে।

গত জুলাই মাসে রাজধানীর পূর্বাচলের ৩০০ ফিট সড়কে দুর্ঘটনার কবলে পরে রোলস-রয়েসের ‘স্পেক্টার’ মডেলের গাড়ি। যার দাম ফিচারভেদে প্রায় ১১ থেকে ১২ কোটি টাকা। তখন এই দামি গাড়ি নিয়ে বেশ আলোচনা হয়।

টেসলা ব্র্যান্ডের ‘মডেল এস’ গাড়ি

সম্পর্কিত নিবন্ধ