ঈশ্বরের সঙ্গে যুবরাজের চুক্তি, ‘বিশ্বকাপটা দাও, বিনিময়ে যা খুশি নাও’
Published: 22nd, June 2025 GMT
যুবরাজ সিং। ভারতের ২০১১ বিশ্বকাপ জয়ের নায়ক। টি-টোয়েন্টিতে এক ওভারে ছয় ছক্কা মারা প্রথম ব্যাটসম্যান। দুর্দান্ত অলরাউন্ডার এবং লড়াকু এক চরিত্র। শুধু ক্রিকেট মাঠে নয়, যুবরাজ জয়ী হয়েছেন ক্যানসারের সঙ্গে লড়াই করেও। সেই লড়াই আর জয়ী হওয়ার গল্প আছে যুবরাজের আত্মজীবনী দ্য টেস্ট অব মাই লাইফ: ফ্রম ক্রিকেট টু ক্যানসার অ্যান্ড ব্যাক বইয়ে।কী লিখেছেন যুবরাজ
২০১১ সাল। স্বপ্নের এক বছর ছিল আমার জন্য। ভারতীয় ক্রিকেটার হিসেবে আমার তৃতীয় বিশ্বকাপ ছিল সেটা। আর কী ভাগ্য, আমরা সেই বিশ্বকাপ জিতে গেলাম! সে এক অসাধারণ অনুভূতি। টুর্নামেন্টটা হয়েছিল উপমহাদেশেই, ফাইনাল আমাদের ঘরের মাঠে। দেশের লাখ লাখ দর্শকের সামনে বিশ্বকাপ জেতা, এর চেয়ে ভালো চিত্রনাট্য আর কী হতে পারে!
টুর্নামেন্ট শুরুর আগে অবশ্য আমাকে নিয়ে অনেকে অনেক বাঁকা কথা বলছিল। আমার ওজন নিয়ে, দলে জায়গা পাওয়া নিয়ে, এমনকি চোট থেকে সেরে ওঠার পর আমার ‘খারাপ ফর্ম’ নিয়েও। কিন্তু এসব আমাকে দমাতে পারেনি।
টুর্নামেন্ট যত এগোচ্ছিল, আমাদের দলটা তত অপ্রতিরোধ্য হয়ে উঠছিল। একটা হার আর একটা ড্র ছাড়া বাকি সব ম্যাচই আমরা জিতেছিলাম। যদি দক্ষিণ আফ্রিকার কাছে না হারতাম, তাহলে অপরাজিত থেকে বিশ্বকাপ জেতা অস্ট্রেলিয়ার দুর্দান্ত রেকর্ড ছুঁয়ে ফেলতাম।
২০১১ বিশ্বকাপের ম্যান অব দ্য টুর্নামেন্ট হয়েছিলেন যুবরাজ.উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: ব শ বক প জ য বর জ
এছাড়াও পড়ুন:
স্টিভ জবসের পথেই রয়েছেন টিম কুক
অ্যাপল কম্পিউটারের সহপ্রতিষ্ঠাতা স্টিভ জবসের পর ২০১১ সাল থেকে অ্যাপলকে বেশ ভালোভাবে নেতৃত্ব দিচ্ছেন প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) টিম কুক। তাঁর নেতৃত্বেই অ্যাপল বর্তমানে প্রায় চার লাখ কোটি মার্কিন ডলারের প্রতিষ্ঠানে পরিণত হয়েছে। প্রযুক্তি দুনিয়ার শীর্ষ তিন প্রতিষ্ঠানের একটি হিসেবে পরিচিত অ্যাপল নিত্যনতুন প্রযুক্তি উদ্ভাবনেও পিছিয়ে নেই।
টিম কুকের জন্ম ১৯৬০ সালের ১ নভেম্বর যুক্তরাষ্ট্রের আলাবামা অঙ্গরাজ্যের মোবাইল শহরে। অবার্ন বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ইন্ডাস্ট্রিয়াল ইঞ্জিনিয়ারিংয়ে স্নাতক এবং ডিউক বিশ্ববিদ্যালয় থেকে এমবিএ করার পর তিনি প্রযুক্তিশিল্পে কর্মজীবন শুরু করেন। অ্যাপলে যোগদানের আগে তিনি আইবিএমের পার্সোনাল কম্পিউটার ব্যবসায় ১২ বছর কাজ করেন। পরবর্তী সময়ে ইন্টেলিজেন্ট ইলেকট্রনিকস ও কম্প্যাকের মতো প্রতিষ্ঠানে গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব পালন করেন।
১৯৯৮ সালে স্টিভ জবসের আমন্ত্রণে অ্যাপলে সিনিয়র ভাইস প্রেসিডেন্ট অব ওয়ার্ল্ডওয়াইড অপারেশনস পদে যোগ দেন টিম কুক। দ্রুতই অ্যাপলের সরবরাহ শৃঙ্খল ও উৎপাদনব্যবস্থাকে ঢেলে সাজানোর পাশাপাশি অ্যাপলের কারখানা বন্ধ করে চুক্তিবদ্ধ প্রতিষ্ঠানের মাধ্যমে বিভিন্ন প্রযুক্তিপণ্য তৈরি শুরু করেন তিনি। ফলে অ্যাপলের উৎপাদন খরচও কমে আসে। ২০০৫ সালে তিনি অ্যাপলের চিফ অপারেটিং অফিসার পদে পদোন্নতি পান। স্টিভ জবসের অসুস্থতার সময় তিনি একাধিকবার অ্যাপলের অন্তর্বর্তীকালীন প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন টিম কুক।
জবসের মৃত্যুর কয়েক মাস আগে ২০১১ সালের আগস্ট মাসে টিম কুক আনুষ্ঠানিকভাবে অ্যাপলের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তার দায়িত্ব গ্রহণ করেন। এর পর থেকেই স্টিভ জবসের উদ্ভাবনী জাদুকরের ভাবমূর্তি থেকে বেরিয়ে এসে টিম কুক অ্যাপলকে দক্ষভাবে পরিচালনা করছেন। তাঁর নেতৃত্বেই অ্যাপল বিশ্বের প্রথম ট্রিলিয়ন বা এক লাখ কোটি মার্কিন ডলারের প্রতিষ্ঠানে পরিণত হয়।
অ্যাপল ইকোসিস্টেমকে শক্তিশালী করার জন্যও আলোচিত টিম কুক। তাঁর নেতৃত্বেই অ্যাপল ওয়াচ ও এয়ারপডসের মতো সফল পণ্য বাজারে আসে এবং ইন্টেলের পরিবর্তে নিজস্ব চিপ এম১ প্রসেসর ব্যবহার শুরু করে অ্যাপল, যা অ্যাপলের অন্যতম সাহসী ও সফল কৌশলগত পদক্ষেপ হিসেবে ধরা হয়। বর্তমানে প্রযুক্তিশিল্পের অন্যতম প্রভাবশালী ব্যক্তি হিসেবে পরিচিতি পেলেও স্টিভ জবসের গড়ে তোলা আইফোন আর ম্যাকের মতো প্রযুক্তিপণ্যের উদ্ভাবনের ধারাকে অব্যাহত রেখেছেন টিম কুক।
সূত্র: অ্যাপল