ফেনীর পরশুরামে ঘুষ লেনদেনের একটি সিসিটিভি ফুটেজ সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ভাইরাল হওয়ার পর উপ-পরিদর্শক (এসআই) আবু ছৈয়দকে ক্লোজড করা হয়েছে। 

বুধবার (২ জুলাই) রাতে তাকে পুলিশ লাইনে সংযুক্ত (ক্লোজড) করা হয়।

বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন পরশুরাম মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. নুরুল হাকিম। তিনি বলেন, “ভিডিওটি ভাইরাল হওয়ার পর পুলিশ প্রশাসনের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন হয়েছে। প্রাথমিকভাবে তাকে ক্লোজড করে তদন্তের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। অভিযোগ প্রমাণিত হলে বিভাগীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”

জানা গেছে, উপজেলার দক্ষিণ কোলাপাড়া এলাকার প্রাণিসম্পদ হাসপাতালের পাশে আবদুস সাত্তার নামে এক ব্যক্তির বাড়িতে গিয়ে ঘুষ নেওয়ার এ ঘটনা ঘটে। জমি সংক্রান্ত বিরোধে থানায় অভিযোগ করার পর এসআই ছৈয়দ সেখানে তদন্তে যান। সেখানে গিয়ে অভিযোগকারীর কাছ থেকে অর্থ গ্রহণ করেন। সেই দৃশ্য ধরা পড়ে বাড়ির সিসিটিভি ক্যামেরায়।

ভাইরাল হওয়া ভিডিওতে দেখা যায়, অভিযোগকারী আবদুস সাত্তার পুলিশ কর্মকর্তার হাতে টাকা তুলে দিচ্ছেন। এসআই তা নিয়ে হাতে গুনে দেখছেন।

তবে অভিযোগ অস্বীকার করেছেন এসআই আবু ছৈয়দ। তার দাবি, তিনি কোনো অর্থ গ্রহণ করেননি। তিনি বলেন, “আমি তার বাড়িতে আগে গিয়েছি, জানি সেখানে সিসিক্যামেরা রয়েছে। অভিযোগকারী চা-নাস্তার জন্য টাকা দিতে চাইলে আমি পকেট থেকে নিজের টাকা বের করে বলেছি- আমার কাছে আছে, তোমারটা লাগবে না। ভিডিওটি খতিয়ে দেখলে বিষয়টি পরিষ্কার হবে।”

তবে, ঘটনার বিষয়ে জানতে একাধিকবার কল করা হলেও অভিযোগকারী আবদুস সাত্তারের সঙ্গে যোগাযোগ সম্ভব হয়নি।

ঢাকা/সাহাব উদ্দিন/এস

.

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর

এছাড়াও পড়ুন:

মুরাদনগরে ধর্ষণের মামলা: চার আসামির তিন দিন করে রিমান্ড মঞ্জুর

কুমিল্লার মুরাদনগরে আলোচিত ধর্ষণ মামলায় চার আসামির তিন দিন করে রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত। আজ বৃহস্পতিবার দুপুর ১২টার দিকে কুমিল্লার সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের বিচারক মমিনুল হক শুনানি শেষে এ বিষয়ে আদেশ দেন।

এর আগে গত সোমবার গ্রেপ্তার চারজনকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য সাত দিনের রিমান্ড আবেদন করেন মামলার তদন্ত কর্মকর্তা। পরে আদালত আজ রিমান্ড শুনানির তারিখ ধার্য করেন। আজ শুনানির সময় চার আসামি আদালতে উপস্থিত ছিলেন।

কুমিল্লা আদালত পুলিশের পরিদর্শক সাদিকুর রহমান বলেন, আসামিরা মুরাদনগর থানায় দায়ের হওয়া নারী নির্যাতন ও পর্নোগ্রাফি আইনের মামলায় কারাগারে ছিলেন। আজ শুনানি শেষে আদালত তাঁদের তিন দিন করে রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন।

মামলার তদন্ত কর্মকর্তা মুরাদনগর থানার উপপরিদর্শক (এসআই) রুহুল আমীন প্রথম আলোকে বলেন, ‘মামলাটি আমরা সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিয়ে তদন্ত করছি। আশা করছি, আগামী শনিবারের মধ্যে আসামিদের জিজ্ঞাসাবাদের জন্য নেওয়া হবে। আজ রিমান্ড শুনানি শেষে আসামিদের আবার কুমিল্লা কেন্দ্রীয় কারাগারে পাঠানো হয়েছে।’

আরও পড়ুনলোকজনের ভিড়, সাক্ষাৎকারের ‘চাপ’—বাড়ি ছাড়লেন মুরাদনগরের সেই নারী০১ জুলাই ২০২৫

নতুন করে কেউ গ্রেপ্তার না হওয়া প্রসঙ্গে জানতে চাইলে এসআই রুহুল আমীন বলেন, ‘আমরা এরই মধ্যে যাঁদের শনাক্ত করেছি, তাঁরা এলাকা থেকে পলাতক। তবে তাঁদের ধরতে পুলিশের অভিযান অব্যাহত রয়েছে। এই চার আসামির জিজ্ঞাসাবাদ শেষ হলে তাঁদের কাছ থেকে গুরুত্বপূর্ণ তথ্য পাওয়া যাবে। আশা করছি, দ্রুত সময়ের মধ্যে জড়িত সবাই আইনের আওতায় আসবেন।’

আরও পড়ুনপ্রধান আসামির দলীয় পরিচয় নিয়ে ঠেলাঠেলি, ‘নোংরা রাজনীতি’ বলছেন স্থানীয় বাসিন্দারা৩০ জুন ২০২৫

গত ২৬ জুন দিবাগত রাতে মুরাদনগর উপজেলার একটি গ্রামে বসতঘরের দরজা ভেঙে এক নারীকে (২৫) ধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে ফজর আলী নামের এক ব্যক্তির বিরুদ্ধে। ধর্ষণের বিষয়টি টের পেয়ে আশপাশ থেকে কিছু লোক এসে ফজর আলীকে পেটাতে থাকেন। এ সময় ওই নারীকেও বিবস্ত্র অবস্থায় মারধর করেন স্থানীয় কয়েকজন যুবক। যার ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়লে সমালোচনার ঝড় ওঠে। এরই মধ্যে ধর্ষণ ও বিবস্ত্র করে নির্যাতনের ভিডিও ছড়িয়ে দেওয়ার ঘটনায় থানায় দুটি মামলা হয়েছে। দুই মামলায় ফজর আলীসহ পাঁচজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। অসুস্থ ফজর আলী পুলিশ পাহারায় হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।

আরও পড়ুনমুরাদনগরে দরজা ভেঙে এক নারীকে ধর্ষণের অভিযোগ, থানায় মামলা২৮ জুন ২০২৫

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • বিয়ের তথ্য গোপন করে এসআই, নিয়োগ বাতিল
  • ভিডিও ভাইরালের পর পরশুরাম থানার এসআই বললেন, ‘পকেট থেকে টাকা বের করে দেখিয়েছি’
  • মুরাদনগরে ধর্ষণের মামলা: চার আসামির তিন দিন করে রিমান্ড মঞ্জুর