উৎপত্তি সেন্ট্রাল আমেরিকায় হলেও বাণিজ্যিকভাবে ড্রাগন ফলের সর্বাধিক চাষ হয় ভিয়েতনাম ও চায়নায়। ভিয়েতনামের সাথে বাংলাদেশের মাটি ও জলবায়ুর সাদৃশ্যের কারণে দিন দিন বাংলাদেশেও জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে ড্রাগন চাষ। 

এর মধ্যে সাতক্ষীরায় ড্রাগন ফল চাষ করে সাড়া ফেলেছেন তালা উপজেলার মাগুরা গ্রামের তরুণ উদ্যোক্তা শেখ আব্দুল্লাহ আল মাসুম। 

জেলা কৃষি বিভাগ জানায়, অল্প খরচে লাভ বেশি হওয়ায় বিদেশি এই ফল চাষে আগ্রহী হয়ে উঠেছে অনেকে।

তালা উপজেলার মাগুরা ইউনিয়নের পশ্চিম পাশে উদ্যোক্তা শেখ আব্দুল্লাহ আল মাসুমের ড্রাগনের ক্ষেত।

মাসুম বলেন, “প্রায় ৪০ লাখ টাকা খরচ করে ৭ বিঘা জমিতে অত্যাধুনিক পাইপ লাইনে বসিয়ে চাষাবাদ শুরু করি। ১৭ হাজার ড্রাগনের চারা লাগানো হয়েছে আমার ক্ষেতে। বিভিন্ন দেশ থেকে আনা পাঁচ প্রকারের ড্রাগনের জাত রয়েছে এখানে।”

জাত গুলো হলে- পিং রোজ, ইয়োলো, মরক্কান রেড, আমেরিকান ও দেশী। চলতি বছর ৩০ লাখ টাকার ফল বিক্রি হবে প্রত্যাশা মাসুমের। মে থেকে শুরু করে নভেম্বর মাস পর্যন্ত টানা ফল মেলে গাছ থেকে।

মাসুম আরও বলেন, “আমার ড্রাগন ক্ষেতে কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা হয়েছে অনেকের। তাছাড়া আমার বাগান দেখে অনেকে আগ্রহী হচ্ছেন ড্রাগন ফলের বাগান করতে। ড্রাগনের রোগ-বালাই কম হয় এবং রাসায়নিক সার কম লাগে। তাই লাভবান হওয়ার সম্ভাবনা থাকে বেশি।”

সাতক্ষীরা জেলা কৃষি সম্প্রসারণ বিভাগের উপ-পরিচালক মো.

সাইফুল ইসলাম বলেন, “সাতক্ষীরা জেলায় অল্প খরচে লাভ বেশি হওয়ায় বিদেশি এই ফল চাষে কৃষকরা আগ্রহী হয়ে উঠছেন। ড্রাগন ফলের চাষ বাড়ছে।”

তিনি আরও বলেন, “এই ফল চাষে সরকারি সহযোগিতা পেলে চাষিরা আরো বেশি আগ্রহী হবেন।”

সাতক্ষীরা জেলা কৃষি বিভাগের তথ্য মতে, প্রতি বছর জেলায় বিভিন্ন উপজেলায় ড্রাগন ফলের চাষ বাড়ছে চলতি বছর ২২ হেক্টর জামিতে ড্রাগন ফলের চাষ করা হয়েছে।

ড্রাগন একটি পুষ্টিকর ফল। এতে বিভিন্ন স্বাস্থ্য উপকারিতা রয়েছে। প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন, খনিজ এবং অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট রয়েছে এই ফলে।

এটি রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করে, হজমে সহায়তা করে, হাড় মজবুত করে, অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট সমৃদ্ধ হওয়ায় ত্বককে বার্ধক্যের ছাপ থেকে রক্ষা করে।

ফলটি ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করে, হার্টের স্বাস্থ্য ভালো রাখে, ক্যানসার প্রতিরোধে সহায়ক, রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে সহায়ক, দৃষ্টিশক্তি ভালো রাখে এবং এতে থাকা ভিটামিন বি, ফোলেট এবং আয়রন গর্ভাবস্থায় মায়ের এবং শিশুর স্বাস্থ্যের জন্য প্রয়োজনীয়।

ঢাকা/এস

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর ফল চ ষ

এছাড়াও পড়ুন:

প্রাক্তন স্ত্রী দেবশ্রীর সঙ্গে প্রেমের সিনেমা করতে চান প্রসেনজিৎ

ভারতীয় বাংলা সিনেমার তারকা জুটি প্রসেনজিৎ চ্যাটার্জি ও দেবশ্রী রায়। পর্দায় এ জুটির রোমান্স দেখে মুগ্ধ হয়েছেন অসংখ্য ভক্ত। রুপালি পর্দার রোমান্স ব্যক্তিগত জীবনেও গড়ায়। ভালোবেসে দেবশ্রী রায়কে বিয়ে করেন প্রসেনজিৎ। কিন্তু কয়েক বছর পরই এ বিয়ে ভেঙে যায়। তারপর দুজনের পথ আলাদা হয়ে যায়। 

সংসার ভাঙার পাশাপাশি দর্শক হারান রুপালি পর্দার জনপ্রিয় এই জুটিকে। এরপর আর কোনো সিনেমায় একসঙ্গে দেখা যায়নি তাদের। অবশেষে দূরত্ব কমিয়ে দেবশ্রীর সঙ্গে সিনেমা করার অভিপ্রায় ব্যক্ত করলেন প্রসেনজিৎ।  

আরো পড়ুন:

নিজেকে তৈরি করে খোলামেলা দৃশ্যে অভিনয় করব: স্বস্তিকা

ছেলের বন্ধুরা ‘দিদি’ বলে ডাকে: শ্রাবন্তী

কিছুদিন আগে ‘আমি যখন হেমা মালিনী’ সিনেমার প্রচারে চিরঞ্জিত চক্রবর্তী বলেছিলেন—“দেব-শুভশ্রী জুটির পর আমি চাই আবার প্রসেনজিৎ-দেবশ্রী জুটি ফিরুক, এই জুটিটা ফেরার অত্যন্ত প্রয়োজন।” ‘দেবী চৌধুরানী’ সিনেমার প্রচারে চিরঞ্জিতের এই বক্তব্য প্রসেনজিৎকে জানানো হয়। 

এ বিষয়ে প্রসেনজিৎ বলেন, “আমি তো চাই দীপকদা একটা স্ক্রিপ্ট লিখুক আমাদের জন্য, আমার বহুদিনের ইচ্ছা ছিল এবং আমি অনেকবার দীপকদাকে বলেছি যে, আমি তোমার পরিচালনায় একটা কাজ করতে চাই। দীপকদা, আমাদের জন্য যদি পরিচালনা করেন তাহলে অবশ্যই আমি সিনেমা করতে চাই। আর আমি নিজেও ব্যক্তিগতভাবে দেবশ্রীর সঙ্গে আবারো একটা পরিণত প্রেমের সিনেমা করতে চাই।” 

তাহলে কী পুরোনো তিক্ততা ভুলে গেছেন প্রসেনজিৎ? জবাবে এই নায়ক বলেন, “আমার কারো সঙ্গে কোনো তিক্ততা নেই। যে আমার সঙ্গে হাসিমুখে কথা বলবে, আমি সব সময় তাদের জন্য আছি। আর কোনো তিক্ততা নিয়ে বাঁচতে চাই না, যে কটা দিন আছি সবার সঙ্গে ভালো সম্পর্ক নিয়েই থাকতে চাই।” 

এক সময় দেবশ্রীকে নিয়ে কথা বলতে খুব একটা স্বাচ্ছন্দ বোধ করতেন না প্রসেনজিৎ। তবে অভিমান ভুলে কাজের ক্ষেত্রে আবার এক হওয়ার কথা বললেন তিনি। বর্তমানকে ভালোবেসে যেমন এগিয়ে যান, ঠিক তেমনই কি অতীতকেও আঁকড়ে বাঁচেন?  

এ প্রশ্নের জবাবে প্রসেনজিৎ বলেন, “নিজের অতীতকে কখনো উপেক্ষা করা যায় না। মাঝেমাঝেই আমি আমার অতীতে ফিরে যাই; সেই সময়গুলোর জন্যই আজকের আমি। অতীত আমাকে অনেক ভালোবাসা, রাগ-দুঃখ-ক্ষোভ দিয়েছে। আমার ক্ষেত্রে যেটা অল্প কিন্তু তবু আছে সেটা হলো—ঘৃণা। সেটাও পেয়েছি, তবে অতীত যেমনই হোক না কেন, তাকে কখনো ফেলে দেওয়া যায় না। আমরা সবাই মাঝে মাঝে অতীতে ফিরে যাই।” 

সময়ের সঙ্গে অনেক কিছু বদলে গেছে। বর্তমান প্রজন্মের সঙ্গে তাল মিলিয়ে চলতেও দ্বিধাবোধ করেন না প্রসেনজিৎ।তার ভাষায়—“এই বদলগুলোকে মেনে না নিলে আমাকে পিছিয়ে পড়তে হবে। আমি প্রচুর বদল দেখেছি, তবে যেই সময় যেটা এসেছে, তার সঙ্গে খাপ খাইয়ে নিয়েছি, এটাই তো করা উচিত। না হলে বর্তমান প্রজন্ম থেকে দূরে সরে যেতে হবে।”

ঢাকা/শান্ত

সম্পর্কিত নিবন্ধ