দ্বিতীয় ওয়ানডে থেকে ছুটি নিলেন হেড কোচ সিমন্স
Published: 4th, July 2025 GMT
শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে চলমান সিরিজের দ্বিতীয় ওয়ানডে থেকে ছুটি নিয়েছেন বাংলাদেশ জাতীয় দলের হেড কোচ ফিল সিমন্স। ব্যক্তিগত কারণে তিনি দু’দিনের ছুটি নিয়েছেন বলে বিসিবির পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে।
বাংলাদেশ জাতীয় দলের টিম ম্যানেজার নাফিজ ইকবাল এক বার্তায় বলেন, ‘ফিল সিমন্স দু’দিনের জন্য ব্যক্তিগত কারণে যুক্তরাজ্য যাচ্ছেন। সেখানে তিনি চিকিৎসকের থেকে সময় নিয়ে রেখেছেন। আজ (শুক্রবার) যাচ্ছেন এবং ৭ জুলাই ফিরে আসবেন।’
শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে বাংলাদেশ ৫ জুলাই সিরিজের দ্বিতীয় ওয়ানডে খেলবে। ওই ম্যাচে তিনি দলের সঙ্গে থাকতে পারবেন না। তবে তৃতীয় ও শেষ ওয়ানডের আগে দলের সঙ্গে যোগ দেবেন ক্যারিবীয় কোচ। বাংলাদেশ শেষ ম্যাচটি খেলবে ৮ জুলাই।
বিসিবির পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, সিমন্সের গত ফেব্রুয়ারিতে চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির সময় ডাক্তার দেখানোর কথা ছিল। কিন্তু টুর্নামেন্ট হওয়ায় তখন ডাক্তারের সময় নিয়েও তা পিছিয়ে দিয়েছিলেন। এবারো তিনি কিছুটা দেরিতে ডাক্তার দেখানো যায় কনা সেই চেষ্টা করছিলেন। সেটা সম্ভব না হওয়ায় দু’দিনের ছুটি নিয়েছেন।
সাবেক ওয়েস্ট ইন্ডিজ ক্রিকেটার এবং ওয়েস্ট ইন্ডিজ, আফগানিস্তানের সাবেক কোচ ফিল সিমন্স ইংল্যান্ডে বসবাস করেন। সেখানে তার পরিবার থাকে। ইংল্যান্ডে পরিবারের সঙ্গে থেকেই ডাক্তারের পরামর্শ নেবেন তিনি।
.উৎস: Samakal
কীওয়ার্ড: ফ ল স মন স স মন স
এছাড়াও পড়ুন:
কিশোরগঞ্জ জেলা বিএনপির সম্মেলন ‘এক নেতা এক পদ’ নীতির বাস্তবায়ন দাবি এক নেতার
কিশোরগঞ্জ জেলা বিএনপির সম্মেলন অনুষ্ঠিত হবে ২০ সেপ্টেম্বর। এ উপলক্ষে চলছে শেষ মুহূর্তের প্রস্তুতি। সভাপতি পদে লড়ছেন দুজন, সাধারণ সম্পাদক পদে চারজন। ইতিমধ্যে প্রতীক নিয়ে ভোটের প্রচারণায় নেমেছেন প্রার্থীরা।
সম্মেলনে সভাপতি পদপ্রার্থী ও বর্তমান জেলা বিএনপির সহসভাপতি রুহুল হোসাইন আজ বৃহস্পতিবার দুপুরে শহরের খরমপট্টি এলাকার সমবায় কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলনে ‘এক নেতা এক পদ’ নীতি বাস্তবায়নের দাবি তোলেন। তিনি বলেন, দলীয় গঠনতন্ত্রের ১৫ ধারা বাস্তবায়ন না হওয়ায় নেতৃত্বের বিকাশ ব্যাহত হচ্ছে। এ সম্মেলনের মধ্য দিয়ে তা কার্যকর করার সুযোগ এসেছে।
রুহুল হোসাইন বলেন, বিভিন্ন ইউনিটের কাউন্সিলরদের কাছ থেকে ইতিমধ্যে দলের ভেতরে নানা অনিয়ম, অগঠনতান্ত্রিক বিষয়গুলো আলোচনায় আসায় তা থেকে বের হওয়ার সুযোগ সৃষ্টি হয়েছে। প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী বর্তমান জেলা সভাপতি ও কেন্দ্রীয় বিএনপির ময়মনসিংহ বিভাগীয় সাংগঠনিক সম্পাদক মো. শরীফুল আলমের উদ্দেশে তিনি বলেন, সাত জেলার দায়িত্বে থাকা একজন কেন্দ্রীয় পদধারী নেতার একই সঙ্গে জেলা সভাপতির দায়িত্ব পালন করা অনিয়ম ও বিভক্তি তৈরি করছে। বলয়কেন্দ্রিক রাজনীতিতে অনেক বর্ষীয়ান ও সম্ভাবনাময় নেতারা অবজ্ঞার শিকার হয়েছেন।
জেলা বিএনপির সহসভাপতি আরও বলেন, সভাপতি পরিবর্তন হলে কিশোরগঞ্জে অনিয়ম কমবে। সদর থেকে সভাপতি নির্বাচিত হলে জেলার বিভিন্ন দাপ্তরিক কার্যক্রমের সঙ্গে ঘনিষ্ঠ সম্পৃক্ততা থাকবে। জেলা–উপজেলার নেতা-কর্মীরা নজরে থাকবেন। এতে অনিয়ম কম হবে, যা দলের ইতিবাচক ভাবমূর্তি গড়ে তুলতে সাহায্য করবে।
জেলা বিএনপির সভাপতি ও কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক মো. শরীফুল আলম বলেন, দলীয় গঠনতন্ত্র মেনেই তিনি প্রার্থী হয়েছেন। কেন্দ্রীয় নেতৃত্বের আস্থা থাকার কারণেই একাধিক পদে দায়িত্ব পালন করছেন। শুধু তিনি নন, আরও অনেক নেতা কেন্দ্রীয় পদে থেকেও জেলায় নেতৃত্ব দিচ্ছেন।
জেলা বিএনপি জানিয়েছে, প্রায় ৯ বছর পর এবার জেলা বিএনপির সম্মেলন হতে যাচ্ছে। এ উপলক্ষে পুরাতন স্টেডিয়ামে মঞ্চ, প্যান্ডেলসহ শহরে শতাধিক তোরণ নির্মাণ করা হয়েছে। সম্মেলনে প্রধান অতিথি হিসেবে ভার্চ্যুয়ালি বক্তব্য দেবেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান। উদ্বোধন করবেন দলের মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।
সম্মেলনে সভাপতি পদে লড়ছেন রুহুল হোসাইন (ছাতা) ও মো. শরীফুল আলম (আনারস)। সাধারণ সম্পাদক পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন খালেদ সাইফুল্লাহ সোহেল (ফুটবল), মাজহারুল ইসলাম (রিকশা), শফিকুল আলম রাজন (মাছ) ও সাজ্জাদুল হক (গোলাপ ফুল)।