বিএনপির চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়াকে উপহার দেওয়ার জন্য কক্সবাজারের উখিয়ায় তৈরি হচ্ছে সেগুন কাঠের ৭ ফুট ৩ ইঞ্চি উচ্চতার একটি রাজকীয় চেয়ার। পুরো চেয়ারে ফুটিয়ে তোলা হচ্ছে দৃষ্টিনন্দন কারুকাজ। এই চেয়ারের সঙ্গে আরো তিনটি চেয়ার তৈরি হচ্ছে বিএনপির শীর্ষ তিন নেতা তারেক রহমান, মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর এবং সালাহউদ্দিন আহমদের জন্য।

চেয়ারগুলো তৈরি করাচ্ছেন উখিয়ার পালংখালী ইউনিয়নের থাইংখালী বাজারের বাসিন্দা ও স্থানীয় ৫ নম্বর ওয়ার্ড বিএনপির সভাপতি জয়নাল আবেদীন। তিনি জানান, দীর্ঘদিনের রাজনৈতিক ভালোবাসা থেকেই তার এ উদ্যোগ। 

জয়নাল আবেদীন বলেন, “২০১৭ সালে খালেদা জিয়া যখন রোহিঙ্গাদের দেখতে উখিয়ায় আসেন, তখন কাছ থেকে তাকে দেখার সুযোগ পাই। তখনই সিদ্ধান্ত নেই, তাকে একটি চেয়ার উপহার দেব। পরে আরো তিন নেতাকে চেয়ার উপহার দেওয়ার চিন্তা করি।”

আরো পড়ুন:

দুই বছর ধরে নেতৃত্বহীন বরগুনা জেলা বিএনপি

বিএনপির সঙ্গে কোনো দলের দ্বন্দ্ব নেই: ফকির মাহবুব 

চেয়ারগুলোর কাঠামো তৈরি করা হচ্ছে উচ্চমানের সেগুন কাঠ দিয়ে। বড় চেয়ারে খরচ হচ্ছে প্রায় ৪ লাখ টাকা, বাকি তিনটির প্রতিটিতে প্রায় ৮০ হাজার টাকা করে খরচ হচ্ছে। ইতোমধ্যে কাঠ ও খোদাইয়ের কাজ প্রায় শেষ। রঙের কাজ শুরু হবে কিছুদিনের মধ্যেই। চেয়ার তৈরিতে সাতজন কারিগর কাজ করেছেন, যাদের মধ্যে তিনজনকে চট্টগ্রাম থেকে আনা হয়েছে কারুকাজের জন্য।

চেয়ারগুলো আগামী আগস্ট মাসে ট্রাকে করে ঢাকায় পাঠানো হবে বলে জানান জয়নাল। তবে খালেদা জিয়া উপহার গ্রহণ না করলে তিনি চেয়ারের গায়ে হাত দেবেন না, নিজের বাসায় তা সংরক্ষণ করবেন বলেও জানান তিনি।

উখিয়া উপজেলা বিএনপির আহ্বায়ক সরওয়ার জাহান চৌধুরী বলেন, “জয়নাল আবেদীন দলের একজন ত্যাগী নেতা। আওয়ামী লীগের আমলে ১২টি মামলায় কারাভোগ করেছেন। ভালোবাসা থেকেই তিনি চেয়ারগুলো তৈরি করছেন।”

ঢাকা/তারেকুর/মাসুদ

.

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর ব এনপ চ য় রগ ল ব এনপ র উপহ র দ জয়ন ল

এছাড়াও পড়ুন:

পবিত্র আশুরা আজ

আজ ১০ মহররম, পবিত্র আশুরা। ইসলাম ধর্মাবলম্বীদের কাছে দিনটি শোকের। ৬১ হিজরির এই দিনে ফোরাত নদী-তীরবর্তী কারবালার ময়দানে শহীদ হন মহানবী হজরত মুহাম্মদ (সা.)-এর প্রিয় দৌহিত্র ইমাম হোসেন (রা.)। তিনি হজরত আলী (রা.) ও হজরত ফাতেমার (রা.) পুত্র। হজরত আলীর মৃত্যুর পর খলিফা হন হজরত মুয়াবিয়া (রা.)। জীবদ্দশাতেই তিনি পুত্র ইয়াজিদকে উত্তরাধিকার মনোনীত করেন।

তবে ইয়াজিদের কাছে বায়াত নিতে অস্বীকৃতি জানান ইমাম হোসেন (রা.)। প্রতিবাদে মদিনা ছেড়ে কুফায় হিজরতের জন্য যাত্রা করেন তিনি। পরে কারবালা ময়দানে সঙ্গীদের নিয়ে যাত্রাবিরতি করেন। ইমাম হোসেন (রা.) ও তাঁর অনুসারীদের আটক করে মদিনায় ফিরিয়ে নিতে ইয়াজিদের নির্দেশে উমর ইবনে সাদ বিন আবি ওক্কাসের নেতৃত্বে চার হাজার সৈন্য কারবালায় প্রবেশ করে।

আত্মসমর্পণে বাধ্য করতে ইমাম হোসেনের শিবিরে পানি সরবরাহ বন্ধ করে দেয় তারা। পানির অভাবে কাফেলার নারী-শিশুরা তৃষ্ণায় কাতর হয়ে পড়লেও ইমাম হোসেন আত্মসমর্পণে অস্বীকৃতি জানান। ১০ মহররম অবরোধের বিরুদ্ধে অসম এক যুদ্ধে ইমাম হোসেন ও তাঁর ৭২ সঙ্গী শহীদ হন। শিমার ইবনে জিলজুশান কণ্ঠদেশে ছুরি চালিয়ে ইমাম হোসেনকে হত্যা করে।

ইসলাম ধর্মমতে, ১০ মহররম আশুরার দিনেই কেয়ামত হবে। আবু হুরায়রা (রা.) বর্ণিত হাদিসে এসেছে, মহানবী (সা.) এই দিনে রোজা রাখতেন।

কারবালার শোকাবহ স্মরণ ছাড়াও মুসলমানদের কাছে ১০ মহররম গুরুত্বপূর্ণ দিন। শিয়া মতাবলম্বীরা ইমাম হোসেনের শোকে এ দিনে মাতম করেন। রাজধানীসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে হয় তাজিয়া মিছিল।

আশুরা উপলক্ষে এক বাণীতে প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস বলেন, পবিত্র আশুরা জুলুম ও অবিচারের বিপরীতে সত্য ও ন্যায় প্রতিষ্ঠায় মানবজাতিকে শক্তি ও সাহস জোগাবে। তিনি সমাজে সাম্য, ন্যায় ও শান্তি প্রতিষ্ঠার পাশাপাশি মুসলিম উম্মার ঐক্য, সংহতি ও অব্যাহত অগ্রগতি কামনা করেন।

সম্পর্কিত নিবন্ধ