সরকার নির্বাচন এড়িয়ে যাওয়ার ষড়যন্ত্র করছে বলে অভিযোগ করেছেন বিএনপির জাতীয় স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস। 

তিনি বলেন, ‍“নানা ফন্দি-ফিকির করে সরকার ক্ষমতায় টিকে থাকতে চায়। তবে, বিএনপি আবারো আন্দোলনে নামবে এবং দেশের মানুষের ভোটাধিকার ফিরিয়ে আনবে।”

সোমবার (৭ জুলাই) দুপুরে সিলেট নগরের পাঠানটুলায় সানরাইজ কমিউনিটি সেন্টারে বিএনপি আয়োজিত এক দোয়া মাহফিলে প্রধান বক্তা হিসেবে এসব কথা বলেন তিনি।

আরো পড়ুন:

গাজীপুরে চাঁদাবাজির অভিযোগে বিএনপির ৪ নেতা বহিষ্কার

‘এমন কোনো জায়গা নেই, যেখানে বিএনপি চাঁদা তোলে না’

শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানের রুহের মাগফিরাত এবং বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার সুস্থতা কামনায় এ মাহফিলের আয়োজন করা হয়।

খালেদা জিয়ার চিকিৎসা ইস্যু তুলে ধরে মির্জা আব্বাস বলেন, “বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়াকে মিথ্যা মামলায় ফাঁসিয়ে ‘স্লো পয়জনিংয়ের’ মাধ্যমে পরিকল্পিতভাবে অসুস্থ করা হয়েছে। যখন বিদেশে নেওয়ার প্রয়োজন ছিল, তখন সরকার ইচ্ছাকৃতভাবে তা আটকে দেয়। এটা শুধু খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধেই নয়, এটি ছিল দেশের স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্ব হরণের এক গভীর ষড়যন্ত্র।”

বর্তমান রাজনৈতিক পরিস্থিতিতে সরকার নির্বাচন এড়াতে চায় বলে দাবি করেন তিনি। বিএনপির এই নেতা বলেন, “তারা একবার বলছে এখনই নির্বাচন নয়, আবার বলছে, পিআর পদ্ধতিতে নির্বাচন হবে। তারা নিজেরাই জানে না পিআর পদ্ধতি কী। বিশ্বে ৮০টির মতো দেশে এই পদ্ধতি থাকলেও, প্রতিটি দেশের প্রক্রিয়া ভিন্ন। আমাদের দেশে পূর্বপুরুষদের প্রচলিত পদ্ধতিতেই সুষ্ঠুভাবে নির্বাচন হলে কোনো সমস্যা নেই।”

মির্জা আব্বাস বলেন, “গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠার জন্যই খালেদা জিয়া জেলে গেছেন। তারেক রহমান আজও বিদেশে অসুস্থ অবস্থায় আছেন। সরকারিভাবে থাকা আমলারা এমনভাবে কাজ করছে, যেন এই সরকার আর নির্বাচন দিতে না পারে। কিন্তু আমরা সব চক্রান্ত প্রতিহত করব।”

ঢাকা/নূর/মাসুদ

.

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর ব এনপ সরক র ব এনপ

এছাড়াও পড়ুন:

কারিগরি শিক্ষার্থীদের অবরোধের ঘোষণা সহিংস আন্দোলনের উসকানি: সংবাদ সম্মেলনে বুয়েট শিক্ষার্থীরা

কারিগরি শিক্ষার্থীদের গাজীপুরে রেলপথ অবরোধের ঘোষণাকে ‘সহিংস আন্দোলনের উসকানি ও গভীর ষড়যন্ত্র’ হিসেবে দেখছেন বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) শিক্ষার্থীরা। তাঁরা বলছেন, আলোচনার টেবিল ছেড়ে অবরোধ কোনো যৌক্তিক সমাধান হতে পারে না।

আজ মঙ্গলবার দুপুর ১২টার পরে বুয়েট ক্যাফেটেরিয়া প্রাঙ্গণে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এসব কথা বলেন বুয়েট শিক্ষার্থীরা। ‘প্রকৌশল অধিকার আন্দোলন’ ব্যানারে এই সংবাদ সম্মেলন করা হয়।

সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন বুয়েট শিক্ষার্থী জুবায়ের আহমেদ। লিখিত বক্তব্যে বলা হয়, প্রকৌশল শিক্ষার্থীদের তিন দফা দাবির পরিপ্রেক্ষিতে সংশ্লিষ্ট প্রশাসন আলোচনায় বসে। দাবির যৌক্তিকতা পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে তারা প্রকৌশলী ও ডিপ্লোমাধারী—উভয় পক্ষকে আলোচনার টেবিলে ডাকে। সবার যুক্তিতর্ক সমানভাবে উপস্থাপনের সুযোগ করে দেয়, যাতে কারও প্রতি কোনোরূপ বৈষম্য না হয়।

লিখিত বক্তব্যে বুয়েট শিক্ষার্থীরা অভিযোগ করেন, আলোচনার টেবিলে সমাধানের সুযোগ থাকা সত্ত্বেও আজ গাজীপুরে রেলপথ অবরোধের ঘোষণা দেওয়া হয়েছে কারিগরি শিক্ষার্থীদের পক্ষ থেকে। ডিপ্লোমাধারীদের পক্ষ থেকে যে প্রতিনিধিরা আলোচনায় অংশ নিয়েছিলেন, তাঁরাই অবরোধ ডেকে সহিংস আন্দোলনের জন্য ক্রমাগত উসকানি দিয়ে যাচ্ছেন।

আলোচনার টেবিল ছেড়ে কেন জনদুর্ভোগ করে অবরোধের উসকানি দেওয়া হচ্ছে—এমন প্রশ্ন রাখেন বুয়েট শিক্ষার্থীরা।

আলোচনার টেবিল ছেড়ে অবরোধ কোনো যৌক্তিক সমাধান হতে পারে না বলে উল্লেখ করা হয় লিখিত বক্তব্যে। এতে বলা হয়, এগুলো শুধুই বিশৃঙ্খলা তৈরির পাঁয়তারা ও গভীর ষড়যন্ত্র, যা প্রথাগত আন্দোলনকে ভিন্ন পথে নিয়ে যাচ্ছে।

লিখিত বক্তব্যে বলা হয়, আলোচনার টেবিল ছেড়ে যাঁরা অবরোধ করে দেশে নৈরাজ্য তৈরির উসকানি দিচ্ছেন, তাঁদের আসল উদ্দেশ্য ও এজেন্ডা খতিয়ে দেখা দরকার।

বুয়েট শিক্ষার্থীরা বলেন, যৌক্তিক দাবি আদায়ের জন্য গায়ের জোর খাটিয়ে সাধারণ মানুষকে জিম্মি করে অবরোধের প্রয়োজন নেই। যৌক্তিক দাবি জানালে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ নিজ উদ্যোগে তা আমলে নিয়ে ব্যবস্থা নেবে।

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • ‘স্বৈরাচারের পতন হলেও ষড়যন্ত্রের অবসান হয়নি’
  • কারিগরি শিক্ষার্থীদের অবরোধের ঘোষণা সহিংস আন্দোলনের উসকানি: সংবাদ সম্মেলনে বুয়েট শিক্ষার্থীরা