জট কাটিয়ে শুরু হচ্ছে শুভ-সোহিনীর ‘লহু’
Published: 7th, July 2025 GMT
আরিফিন শুভ ও কলকাতার অভিনেত্রী সোহিনী সরকারকে নিয়ে ‘লহু’ ওয়েব সিরিজের শুটিং শুরু হয়েছিল। কিন্তু প্রাথমিক ধাপে নিয়ম লঙ্ঘনের অভিযোগে কাজ থেমে যায়। পরিচালক রাহুল মুখার্জি ফেডারেশনের নিয়ম না মেনে শুটিং চালিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করেন—এমন অভিযোগ ওঠে। এর জেরে টলিউড ডিরেক্টরস ফেডারেশন থেকে তাকে বহিষ্কারও করা হয়।
এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে টলিউডে চাঞ্চল্য ছড়ায়। মাঝপথে নির্মাণ থেমে যায়। দীর্ঘ জটিলতা শেষে সমাধান হয়েছে সব দ্বন্দ্বের। ফের শুরু হচ্ছে ওয়েব সিরিজটির শুটিং।
ভারতের গণমাধ্যম দ্য ওয়াল এক প্রতিবেদনে জানিয়েছে, ফেডারেশনের সভাপতি স্বরূপ বিশ্বাসের মধ্যস্থতায় সমাধান হয়েছে বিষয়টির। পুনরায় পরিচালক রাহুল এবং ওটিটি প্ল্যাটফর্ম চরকির ভারতীয় কর্মকর্তা অনিন্দ্য ব্যানার্জি মিলে কাজ শুরু করছেন নতুন উদ্দীপনায়।
আরো পড়ুন:
দীপঙ্করের নিঃশ্বাসে বাঁচতে চান দোলন
‘নারীর একাধিক পুরুষ বন্ধু থাকলে অনায়াসে তাকে চরিত্রহীন বলা যায়’
পরিচালক রাহুল মুখার্জি বলেন, “স্বরূপদা না থাকলে এটি সম্ভব হতো না। তার সহযোগিতা ও নেতৃত্বের কারণেই নতুন করে কাজ শুরুর পথ খুলেছে। আমি কৃতজ্ঞ।”
চরকির কর্মকর্তা অনিন্দ্য ব্যানার্জি বলেন, “আমাদের দিক থেকেও কিছু ভুল ছিল, যেগুলো স্বরূপদা সুন্দরভাবে সামলে দিয়েছেন। এখন নতুন করে আবার ‘লহু’ এর কাজ শুরু হচ্ছে। একইসঙ্গে চরকির আরো কিছু প্রজেক্টও পরিকল্পনার মধ্যে আছে।”
‘লহু’ ওয়েব সিরিজের কেন্দ্রীয় চরিত্রে অভিনয় করছেন আরিফিন শুভ ও সোহিনী সরকার। সিরিজটি মুক্তি পেলে দুই বাংলার দর্শকের আগ্রহ থাকবে তুঙ্গে, এমনটিই প্রত্যাশা নির্মাতা-প্রযোজকদের।
ঢাকা/রাহাত/শান্ত
.উৎস: Risingbd
এছাড়াও পড়ুন:
আওয়ামী লীগ বাদে ৫০ দলকে ইসির চিঠি
বার্ষিক আয়-ব্যয়ের নিরীক্ষা প্রতিবেদন দিতে ৫০টি নিবন্ধিত রাজনৈতিক দলের কাছে চিঠি দিয়েছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। তবে কার্যক্রম নিষিদ্ধ ও নিবন্ধন স্থগিত থাকায় আওয়ামী লীগকে চিঠি দেয়নি সাংবিধানিক এ সংস্থাটি। সোমবার নির্বাচন কমিশনার মো. আনোয়ারুল ইসলাম সরকার এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
গণমাধ্যমকে তিনি বলেন, বরাবরের মতো দলগুলোর কাছে নিরীক্ষা প্রতিবেদন চেয়ে চিঠি দিয়েছে ইসি সচিবালয়। ২০২৪ পঞ্জিকা বছরের হিসাব চেয়ে এবার ৫০টি নিবন্ধিত দলকে চিঠি দেওয়া হয়েছে। ইসির এ-সংক্রান্ত চিঠি দলগুলোর সভাপতি/সাধারণ সম্পাদকের কাছে পাঠানো হয়।
ইসি কর্মকর্তারা বলেন, নিবন্ধন স্থগিত থাকায় এবার আওয়ামী লীগের কাছে প্রতিবেদন চাওয়া হয়নি। ২০০৮ সালে নিবন্ধন প্রথা চালুর পর প্রথম বাদ পড়ল অভ্যুত্থানে ক্ষমতাচ্যুত হওয়ার আগে টানা দেড় দশক ধরে ক্ষমতায় থাকা দলটি। অপরদিকে একযুগ পর নিবন্ধন পুনর্বহাল হওয়ায় বার্ষিক লেনদেনের তথ্য দিতে এবার জামায়াতে ইসলামীকে চিঠি দেওয়া হয়েছে।
বর্তমানে ইসিতে ৫০টি রাজনৈতিক দল নিবন্ধিত রয়েছে। একটির নিবন্ধন স্থগিত ও চারটির নিবন্ধন বাতিল রয়েছে। নিবন্ধিত দলগুলোর প্রতিবছর জুলাইয়ের মধ্যে আগের পঞ্জিকা বছরের আর্থিক লেনদেনের প্রতিবেদন দেওয়ার বাধ্যবাধকতা রয়েছে। এবার দলগুলোকে ২০২৪ সালের ১ জানুয়ারি থেকে ৩১ ডিসেম্বরের হিসাব দিতে হবে চলতি ৩১ জুলাইয়ের মধ্যে।
স্বীকৃত চার্টার্ড অ্যাকাউন্টিং প্রতিষ্ঠান দিয়ে নিরীক্ষা করে ইসিতে জমা দেওয়ার বাধ্যবাধকতা রয়েছে রাজনৈতিক দলগুলোর। আইন অনুযায়ী পরপর তিন বছর দলের আয়-ব্যয়ের হিসাব জমা না দিলে সংশ্লিষ্ট দলের নিবন্ধন বাতিলের বিধান রয়েছে।