অ্যাটর্নি জেনারেল মোঃ আসাদুজ্জামান বলেছেন, নারায়ণগঞ্জের আলোচিত ত্বকী হত্যা মামলাটি অত্যন্ত সেনসেটিভ মামলা। এই মামলার স্থবিরতা কোন স্টেজে রয়েছে সেটি জেনে নিয়ে দ্রুত নিস্পত্তির উদ্যোগ নেয়া হবে। আপনারা দেখেছেন সেনসিটিভ মামলার মধ্যে আবরার ফাহাদ মামলা টপ প্রায়োরিটি দিয়ে করেছি। মেজর সিনহা হত্যা মামলা টপ প্রায়োরিটি দিয়ে করেছি। ত্বকী হত্যা মামলাটিও এ ধরনের জাতীয় গুরুত্বপূর্ণ মামলা। আমরা চিন্তা করবো কিভাবে এটিকে দ্রুত ত্বরান্তিত করা যায়। নারায়ণগঞ্জের আলোচিত ৭ খুন মামলাও দ্রুত নিস্পত্তির জন্য পদক্ষেপ নেয়া হয়েছে। আপনার দেখবেন এটিও দ্রুত নিস্পত্তি হবে।

বুধবার (৯ জুলাই) বিকেলে নারায়ণগঞ্জ জেলা আইনজীবী সমিতির ভবনে সমিতির কার্যনির্বাহী কমিটি এবং জেলার সকল সরকারি কৌসুলী ও পাবলিক প্রসিকিউটরগণের সঙ্গে মত বিনিময় সভার পূর্বে সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তরে এসব কথা বলেন তিনি। 

তিনি আরও বলেন, জুলাই গণঅভ্যুত্থানের মামলাগুলো দ্রুত নিস্পত্তির জন্য প্রায়োরিটি বেসিসে তদন্ত সম্পন্ন করা এবং বিচার প্রক্রিয়া সম্পন্ন করা হবে। সেই প্রয়োরিটি ইতোমধ্যে নির্ধারিত হয়েছে। আমরা সেভাবেই এগিয়ে যাচ্ছি। 

নিহতের পরিবার মামলার বাদি না হওয়া এবং মিথ্যা মামলার হয়রানি প্রসঙ্গে তিনি বলেন, এ বিষয়ে আমরা যথাযথভাবে তদন্ত করছি। আমরা জাতিকে আশ্বস্ত করছি ভিকটিমের পরিবার যাতে ন্যায় বিচার পায় এবং কেউ যাতে মিথ্যা মামলায় ভুক্তভোগী না হয় এজন্য আইন মন্ত্রনালয় থেকে ফৌজদারি কার্যবিধিতে একটি সংশোধনী প্রস্তাবনা করা হয়েছে। যাতে অন্তর্র্বতীকালিন অবস্থায় একটি ফাইনাল রিপোর্ট দেয়া যায়। তদন্তের মাঝখানে যেয়ে কোন কোন আসামির বিরুদ্ধে ফাইনাল রিপোর্ট দেয়া যেতে পারে যাদের বিরুদ্ধে এপারেন্টলি মনে হবে তাদের বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা দেয়া হয়েছে। 


উপজেলা পর্যায়ে আদালত স্থানান্তর সম্পর্কে তিনি বলেন, প্রস্তাবনা এসেছে। এটি এখনো বিচার বিবেচনাধীন রয়েছে। এটা পরে বলা যাবে কতটা ফলপ্রসু হবে। এটি এখনো প্রাথমিক পর্যায়ে রয়েছে। 

হাইকোর্টের বেঞ্চ সম্পর্কে তিনি বলেন, এটিও প্রস্তাবনা রয়েছে। সংশ্লিষ্ট মহলে বিবেচনায় নিয়ে এর সাংবিধানিক ব্যাখ্যা কি আছে সেগুলো বিবেচনা করে তারপর পদক্ষেপ নেয়া হবে। বিগত সরকারের আমলে নির্মিত নারায়ণগঞ্জ জুডিশিয়াল ম্যাজিষ্ট্রেট আদালত ভবনটির বিষয়েও আলোচনার মাধ্যমে যৌক্তিক সিদ্ধান্ত নেয়া হবে। সারাদেশের আইনজীবীদের চলমান প্রশিক্ষণ কর্মসূচী যাতে যথাযথভাবে হয় এটি কক্সবাজারে আইনজীবীদের ট্রেনিং ইন্সটিটিউট করার পরিকল্পনা করছি। আইনজীবীদের জন্যও আবাসন প্রকল্প করার জন্য সরকারের কাছে দাবি জানানো হয়েছে। 

নারায়ণগঞ্জ সিনিয়র জেলা ও দায়রা জজ মোঃ আবু শামীম আজাদের সভাপতি আরো উপস্থিত ছিলেন চীফ জুডিশিয়াল ম্যাজিষ্ট্রেট রবিউল ইসলাম, জেলা আদালতের পিপি অ্যাডভোকেট আবুল কালাম আজাদ জাকির, নারীি ও শিশু আদালতের পিপি অ্যাডভোকেট খোরশেদ মোল্লা, জেলা আইনজীবী সমিতির সভাপতি অ্যাডভোকেট সরকার হুমায়ন কবির, সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট আনোয়ার প্রধানসহ আরো অনেকে।

.

উৎস: Narayanganj Times

কীওয়ার্ড: ন র য়ণগঞ জ আইনজ ব ন র য়ণগঞ জ আইনজ ব র জন য সরক র

এছাড়াও পড়ুন:

‘ব্যাচেলর পয়েন্ট’-এ অশ্লীলতার অভিযোগ, নির্মাতা-শিল্পীদের আইনি নোটিশ

জনপ্রিয় ধারাবাহিক নাটক ‘ব্যাচেলর পয়েন্ট’–এর পঞ্চম সিজনের কয়েকটি পর্বে অশ্লীলতা, সামাজিক অবক্ষয় এবং নৈতিক বিচ্যুতির অভিযোগ তুলে নির্মাতা ও সংশ্লিষ্টদের আইনি নোটিশ পাঠানো হয়েছে। সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী মহি উদ্দিন গতকাল (৮ জুলাই) এ নোটিশটি পাঠান।

নোটিশে নাটকের নির্মাতা কাজল আরেফিন অমি, অভিনেতা মারজুক রাসেল, জিয়াউল হক পলাশ, সাইদুর রহমান পাভেল, শিমুল শর্মা এবং প্রযোজনা প্রতিষ্ঠান বুম ফিল্মস–এর নাম উল্লেখ করে বলা হয়েছে, ‘ব্যাচেলর পয়েন্ট সিজন ৫’-এর প্রথম থেকে অষ্টম পর্ব পর্যন্ত এমন অনেক সংলাপ রয়েছে যা ‘অশ্লীল, ডাবল মিনিং এবং কিশোর-তরুণদের মনে নেতিবাচক প্রভাব ফেলছে।’

নোটিশে উদাহরণ হিসেবে নাটকের কিছু সংলাপ তুলে ধরা হয়েছে, যেমন, ‘ডেট’, ‘উনিশ/বিশ’, ‘টাকা হলে সীসা খেতে পারতাম’, ‘বাঙালি পোশাক লুঙ্গি’, ‘ফিমেল’, ‘কিডনি’, ‘দই’-এই শব্দ ও সংলাপগুলোকে ‘নৈতিকতা, শালীনতা ও পারিবারিক রুচির পরিপন্থী’ হিসেবে উল্লেখ করা হয়েছে। আইনজীবীর দাবি, এগুলোর মাধ্যমে নারীদের অবমাননা করা হয়েছে এবং তরুণ প্রজন্মের মুখে এসব সংলাপ ঘুরে বেড়াচ্ছে, যা উদ্বেগজনক।

এছাড়া নোটিশে নির্মাতা কাজল আরেফিন অমির একটি পুরোনো সাক্ষাৎকারের কথা তুলে ধরা হয়, যেখানে তিনি বলেছিলেন—নাটকটি এখন সব বয়সী দর্শকের জন্য তৈরি হচ্ছে। তবে বাস্তবে নাটকের ভাষা, উপস্থাপন ও বিষয়বস্তু মোটেও পরিবারবান্ধব নয় বলে দাবি করেন নোটিশদাতা।

আইনি নোটিশে আরও বলা হয়, ‘জাতীয় সম্প্রচার নীতিমালা ২০১৪’ এবং ‘জাতীয় অনলাইন গণমাধ্যম নীতিমালা ২০১৭’-এর আলোকে শিশু-কিশোরদের মানসিক বিকাশে ক্ষতিকর কনটেন্ট প্রচার দণ্ডনীয় অপরাধ। অথচ এই নাটকের কিছু সংলাপ ও দৃশ্য সামাজিকমাধ্যমে ভাইরাল হয়ে তরুণদের ভাষা ও আচরণে স্থায়ী ছাপ ফেলছে।

নোটিশে নাটকের বিতর্কিত সংলাপ ও ভিডিও ৭ কার্যদিবসের মধ্যে অনলাইন প্ল্যাটফর্ম থেকে সরিয়ে নেওয়ার দাবি জানানো হয়েছে। অন্যথায়, আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে বলেও সতর্ক করা হয়েছে।

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • আইনজীবীদের নবনির্মিত চেম্বারের উদ্বোধন করলেন অ্যাটর্নি জেনারেল 
  • সাত খুন মামলার বিষয়ে দ্রুত সময়ে ব্যবস্থা নেওয়া হবে: অ্যাটর্নি জেনারেল
  • অ্যাটর্নি জেনারেল মো. আসাদুজ্জামানের সাথে আইনজীবী ও সরকারি কৌঁসুলিদের মতবিনিময় সভা
  • নারায়ণগঞ্জে শ্রমিক হত্যা মামলায় সাবেক মেয়র আইভীর জামিন নামঞ্জুর
  • সজল হত্যা মামলায় আইভীর জামিন নামঞ্জুর
  • হত্যা মামলায় আইভীর জামিন ফের নামঞ্জুর
  • ‘বিতর্কিত’ বিচারকদের অপসারণ চায় সুপ্রিমকোর্ট বার
  • বিচারকরাও চান খবরের শিরোনাম হয়ে অবদান রাখতে: অ্যাটর্নি জেনারেল 
  • ‘ব্যাচেলর পয়েন্ট’-এ অশ্লীলতার অভিযোগ, নির্মাতা-শিল্পীদের আইনি নোটিশ