ইসলামী ব্যাংকের চেয়ারম্যান নিয়ে পক্ষে-বিপক্ষে অবস্থান
Published: 10th, July 2025 GMT
ইসলামী ব্যাংকের বর্তমান চেয়ারম্যানকে সরিয়ে ব্যাংকটির স্বতন্ত্র পরিচালক অধ্যাপক জোবায়দুর রহমানকে চেয়ারম্যান করার আলোচনার মধ্যে বিক্ষোভ ও মানববন্ধন করেছে ‘বহিরাগতরা’। গতকাল ব্যাংকটির পরিচালনা পর্ষদের সভা শুরুর আগে মতিঝিলে ব্যাংকের প্রধান কার্যালয়ের সামনে এ কর্মসূচি পালিত হয়। সেখান থেকে জোবায়দুর রহমানের অপসারণ দাবি করে এক পক্ষ। আরেক পক্ষ তাঁকে চেয়ারম্যান করার দাবি জানিয়ে মিছিল করে।
জানা গেছে, দুই পক্ষের মধ্যে এ রকম পাল্টাপাল্টির মধ্যে এক পর্যায়ে ধাক্কাধাক্কি শুরু হয়। খবর পেয়ে মতিঝিল থানা পুলিশ এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করে। পুলিশের অনুরোধে এক পর্যায়ে দুই পক্ষই সেখান থেকে সরে যায়। পরে ব্যাংকের পরিচালনা পর্ষদের সভা অনুষ্ঠিত হয় বেলা আড়াইটায়।
বাংলাদেশ ব্যাংক গত ২২ আগস্ট সোনালী ও রূপালী ব্যাংকের সাবেক এমডি ওবায়েদ উল্লাহ আল মাসুদকে চেয়ারম্যান করে পাঁচ সদস্যের পরিচালনা পর্ষদ গঠন করে দেয়। জানতে চাইলে ইসলামী ব্যাংকের চেয়ারম্যান ওবায়েদ উল্লাহ আল-মাসুদ সমকালকে বলেন, ‘পরিচালনা পর্ষদের সদস্যদের মধ্যে ঐক্য আছে। ব্যাংকের বাইরে বিক্ষোভকারীরা সবাই বহিরাগত।’
ইসলামী ব্যাংকের এক কর্মকর্তা সমকালকে বলেন, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ফিন্যান্স বিভাগের অধ্যাপক জোবায়দুর রহমানকে গত মে মাসে পরিচালক নিয়োগের পর আগের অনিয়মে সম্পৃক্তদের অনেকের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া শুরু হয়। যে কারণে একটি পক্ষ তাঁর বিপক্ষে অবস্থান নিয়েছে।
জানা গেছে, গতকালের পর্ষদ সভা থেকে নতুন করে দুটি অডিট ফার্ম নিয়োগের সিদ্ধান্ত হয়েছে। কেন্দ্রীয় ব্যাংক নির্ধারিত আগস্টের মধ্যে এই ফার্ম বার্ষিক রিপোর্ট চূড়ান্ত করবে। এ ছাড়া ব্যাংকটির আরডিএস প্রকল্পে নিয়োগ পাওয়াদের মধ্য থেকে যোগ্যতার ভিত্তিতে প্রতি বছর একটি অংশকে মূল ব্যাংকিংয়ে স্থানান্তর করা হবে। একটি সময় এ নিয়ম থাকলেও এস আলম ২০১৭ সালে ব্যাংকটি দখলের পর তা বন্ধ হয়ে যায়।
.উৎস: Samakal
কীওয়ার্ড: ইসল ম ব য ক র পর চ ইসল ম
এছাড়াও পড়ুন:
গ্রেপ্তারকৃতদের তদন্তে মালয়েশিয়াকে সহায়তা করবে বাংলাদেশ
সম্প্রতি মালয়েশিয়ার পুলিশের হাতে গ্রেপ্তার হওয়া ৩৫ বাংলাদেশির বিরুদ্ধে জঙ্গিবাদের অভিযোগ তদন্তে মালয়েশিয়ার সঙ্গে কাজ করবে বাংলাদেশ। শুক্রবার কুয়ালালামপুরে মালয়েশিয়ার পররাষ্ট্রমন্ত্রী মোহাম্মদ বিন হাজি হাসানের সঙ্গে এক বৈঠকে পররাষ্ট্র উপদেষ্টা তৌহিদ হোসেন এ আশ্বাস দেন।
শুক্রবার রাতে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এক বিজ্ঞপ্তিতে জানিয়েছে, কুয়ালালামপুরে ৩২তম আসিয়ান আঞ্চলিক ফোরামের (এআরএফ) মন্ত্রী পর্যায়ের বৈঠকের ফাঁকে তাঁরা এক দ্বিপক্ষীয় বৈঠক করেন।
পররাষ্ট্র উপদেষ্টা সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে সরকারের দৃঢ় অবস্থান পুনর্ব্যক্ত করেন এবং তথ্য ও তদন্তের ফলাফল বিনিময়ের মাধ্যমে অভিযোগের অভ্যন্তরীণ তদন্তে মালয়েশিয়ার সহযোগিতা চান। মালয়েশিয়ার পররাষ্ট্রমন্ত্রী বাংলাদেশকে সহায়তার আশ্বাস দেন।
এর আগে পররাষ্ট্র উপদেষ্টা যুক্তরাজ্যের পররাষ্ট্রসচিব ডেভিড ল্যামির সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন। তাঁরা বিভিন্ন দ্বিপক্ষীয়, আঞ্চলিক ও বহুপক্ষীয় বিষয় নিয়ে আলোচনা করেন। উভয়ই বাংলাদেশে চলমান সংস্কার, রোহিঙ্গা সংকট, এলডিসি-পরবর্তী সহায়তা ইত্যাদি বিষয়ে আলোচনা করেন।
পররাষ্ট্র উপদেষ্টা নিউজিল্যান্ডের পররাষ্ট্রমন্ত্রী উইনস্টন পিটার্স, শ্রীলঙ্কার পররাষ্ট্রমন্ত্রী বিজিথা হেরাথ এবং কোরিয়া প্রজাতন্ত্রের উপমন্ত্রী ও প্রতিনিধিদলের প্রধান পার্ক ইউনজুর সঙ্গেও সাক্ষাৎ করেন। এ সময় দ্বিপক্ষীয় ও বহুপক্ষীয় বিভিন্ন বিষয় নিয়ে আলোচনা করা হয়।
বাংলাদেশ ২০০৬ সালে এআরএফের সদস্য হয়। নব্বইয়ের দশকের গোড়ার দিকে ফোরামটি প্রতিষ্ঠিত হয়।