জুনে সড়কে ৭১১ মৃত্যু, ২৪৪ জনই মোটরসাইকেল আরোহী: যাত্রী কল্যাণ সমিতি
Published: 11th, July 2025 GMT
সারাদেশে গত জুনে ৬৭১টি সড়ক দুর্ঘটনায় প্রাণ হারিয়েছেন ৭১১ জন। এতে আহত হয়েছেন কমপক্ষে ১ হাজার ৯০২ জন। এর মধ্যে শুধু মোটরসাইকেল দুর্ঘটনায় নিহত ২৪৪ এবং আহত হন ২১২ জন, যা মোট দুর্ঘটনার ৩৩ দশমিক ৩৮ শতাংশ; নিহতের ৩৪ দশমিক ৩১ শতাংশ এবং আহতের ১১ দশমিক ১৪ শতাংশ। কোরবানির ঈদের আগে ও পরে এসব সড়ক দুর্ঘটনা ঘটে।
বৃহস্পতিবার যাত্রী কল্যাণ সমিতির মহাসচিব মো.
সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, সবচেয়ে বেশি সড়ক দুর্ঘটনা ঘটেছে ঢাকা বিভাগে– মোট ১৬০টি। এতে ১৭২ জন নিহত ও ৫৮৮ জন আহত হন। অন্যদিকে সবচেয়ে কম দুর্ঘটনা ঘটে সিলেট বিভাগে– ২৫টি। এই বিভাগে এসব দুর্ঘটনায় ২৬ জন নিহত ও ৪৫ জন আহত হন।
দুর্ঘটনায় জড়িত যানবাহনের ধরন বিশ্লেষণে দেখা যায়, ২৬ দশমিক ৩৮ শতাংশ ছিল মোটরসাইকেল, ২২ দশমিক ৪৮ শতাংশ ট্রাক-পিকআপ-কাভার্ডভ্যান ও লরি, ১৬ দশমিক ৯৪ শতাংশ বাস, ১২ দশমিক ৭৩ শতাংশ ব্যাটারিচালিত রিকশা ও ইজিবাইক, ৬ দশমিক ৭৭ শতাংশ সিএনজিচালিত অটোরিকশা এবং বাকি অংশে নছিমন-করিমন, কার-মাইক্রোবাস প্রভৃতি ছিল।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ৪১ দশমিক ২৮ শতাংশই ছিল গাড়িচাপা দেওয়ার ঘটনা, ২৯ দশমিক ৬৫ শতাংশ মুখোমুখি সংঘর্ষ, ২১ দশমিক ৩১ শতাংশ নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে খাদে পড়া, ৬ দশমিক ৭০ শতাংশ বিভিন্ন কারণে, ওড়না চাকায় পেঁচিয়ে শূন্য দশমিক ২৯ শতাংশ এবং শূন্য দশমিক ৭৪ শতাংশ ট্রেন ও যানবাহনের সংঘর্ষ। রাস্তাভিত্তিক বিশ্লেষণে দেখা যায়, ৩৯ দশমিক ৬৪ শতাংশ দুর্ঘটনা জাতীয় মহাসড়কে, ৩১ দশমিক ১৪ শতাংশ আঞ্চলিক মহাসড়কে এবং ২৩ দশমিক ৫৪ শতাংশ ফিডার রোডে সংঘটিত হয়।
সড়ক দুর্ঘটনা প্রতিরোধে বিজ্ঞপ্তিতে আলোকসজ্জাসহ নিরাপদ সড়ক অবকাঠামো, দক্ষ চালক তৈরির উদ্যোগ, ফিটনেসবিহীন যান অপসারণ ও পরিবহন খাতে ডিজিটাল নজরদারির সুপারিশ করেছে সংগঠনটি।
মোজাম্মেল হক চৌধুরী বলেন, ‘সড়ক দুর্ঘটনা রোধে সরকার, আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী ও সংশ্লিষ্ট সব পক্ষকে কার্যকর উদ্যোগ নিয়ে বাস্তবায়ন করতে হবে।’
উৎস: Samakal
কীওয়ার্ড: সড়ক দ র ঘটন সড়ক দ র ঘটন দ র ঘটন য় দশম ক
এছাড়াও পড়ুন:
বাজুসের নতুন সভাপতি এনামুল হক খান
বাংলাদেশ জুয়েলার্স অ্যাসোসিয়েশনে (বাজুস) বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় সভাপতি নির্বাচিত হয়েছেন ডায়মন্ড অ্যান্ড ডিভাস’র এনামুল হক খান। সংগঠনটির ২০২৫-২৬ এবং ২০২৬-২৭ মেয়াদের জন্য তিনি দায়িত্ব পালন করবেন ।
সোমবার (৩ নভেম্বর) রাজধানীর মগবাজারে বাজুস কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে বাজুস নির্বাচন বোর্ডের চেয়ারম্যান নাসরিন ফাতেমা আউয়াল ফলাফল ঘোষণা করেন। তিনি বলেন, বৈধ প্রার্থীদের মধ্য থেকে কোনো প্রার্থী তাদের মনোনয়পত্র প্রত্যাহার না করায় বাণিজ্য সংগঠনের বিধিমালা-২০২৫ এর ২৪(১) ধারা মোতাবেক বৈধ প্রার্থীর সংখ্যা নির্বাচনযোগ্য পদের সমান হওয়ায় ৩৫ জন প্রার্থীকে বিনাপ্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত ঘোষণা করা হয়েছে।
বাজুসের ২০২৫-২৬ এবং ২০২৬-২৭ মেয়াদের একজন সিনিয়র সহ-সহভাপতি, ৩ জন সহ-সভাপতি, একজন কোষাধ্যক্ষ এবং ২৯ জন পরিচালক নির্বাচিত হয়েছে। এদের সবাই বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হয়েছেন। সংগঠনটির সাধারণ সম্পাদক এখন থেকে আর কেউ থাকবেন না। ফলে সাধারণ সম্পদ পদে কেউ নির্বাচিত হননি। বাজুস প্রতিষ্ঠার পর এই প্রথম সাধারণ সম্পদ পদ বিলুপ্ত করা হলো।
বাজুসের নবনির্বাচিত সভাপতি এনামুল হক খান বলেন, আমরা সোনার ব্যবসা করি। মানুষকে বোঝাতে হবে ব্যবসায়ীরা কিন্তু চোরাকারবারী না। একটি আলোর পথ অন্যটি অন্ধকার পথ। আমরা আলোর পথে আছি। যারা চোরাকারবারী করে তারা কোনোদিন সোনা ব্যবসায় আসবে না। আর যারা সোনা ব্যবসা করে তারা কোনোদিন চোরাকারবারীতে জড়াবে না।
তিনি বলেন, আমাদের সোনা আমদানির প্রক্রিয়া সহজ করতে হবে। সোনা আমদানির ব্যবস্থা আছে, কিন্তু এতো কঠিন প্রক্রিয়া যে, এই কঠিন প্রক্রিয়ার মাধ্যমে সোনা আমদানি করতে গেলে যেই দাম দাঁড়ায়, সেই দাম দিয়ে কেউ সোনা কিনতে আগ্রহী না। আর এজন্য যতদিন সোনা আমদানি সহজ না হয়, ততোদিন পর্যন্ত ব্যাগেজ রুলসের মাধ্যমে সোনা যে সহজে আসতো, সেটা চালু করার জন্য আমরা উদ্যোগ গ্রহণ করবো।
তিনি আরও বলেন, আমাদের দেশে ভ্যাট ৫ শতাংশ অথচ আমাদের পাশের দেশে ভ্যাট অনেক কম। আমরা ভ্যাট কমানোর জন্য কাজ করবো।
বাজুসের সিনিয়র সহ-সভাপতি নির্বাচিত হয়েছেন সানন্দা জুয়েলার্স (প্রা.) এর রনজিৎ ঘোষ, সহ-সভাপতি পদে আপন ডায়মন্ড হাউজের আজাদ আহমেদ, জড়োয়া হাউজ (প্রা.) লিমিটেডের অভি রায় এবং জেসিএক্স গোল্ড অ্যান্ড ডায়মন্ডের ইকবাল হোসেন চৌধুরী নির্বাচিত হয়েছেন। কোষাধ্যক্ষ পদে নির্বাচিত হয়েছেন নিউ ফেন্সী জুয়েলার্স’র অমিত ঘোষ।
বাজুসের পরিচালক হিসেবে নির্বাচিত হয়েছেন মো. মিলন মিয়া, পবন কুমার আগোওরালা, তানভীর রহমান, মো. লিটন হাওলাদার, বাবুল দত্ত, গনেশ দেবনাথ, আশিস কুমার মন্ডল, মিনাজুর রহমান, বিকাশ ঘোষ, সুমন চন্দ্র দে, মোস্তাফা কামাল, ধনঞ্জয় সাহা (বিপুল), শ্রীবাস রায়, মো. আলী হোসেন, মো. রুবেল, মো. নয়ন চৌধুরী, মো. ছালাম, ফাহাদ কামাল লিংকন, গৌতম ঘোষ, মোহাম্মদ রবিউল ইসলাম, মো. তারেকুল ইসলাম চৌধুরী, আবু নাসের মোহাম্মদ আবদুল্লাহ, মো. রফিকুল ইসলাম, সৌমেন সাহা, আককাছ আলী, মোহাম্মদ মোরশেদ আলম, শাওন আহমেদ চৌধুরী, মো. নাজমুল হুদা লতিফ এবং পলাশ কুমার সাহা।
ঢাকা/নাজমুল/ফিরোজ