ভারত না এলেও ঢাকাতেই বসছে এসিসির সভা
Published: 12th, July 2025 GMT
চলতি মাসের ২৪ তারিখ ঢাকায় অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে এশিয়ান ক্রিকেট কাউন্সিলের (এসিসি) নির্বাহী কমিটির সভা। এ উপলক্ষে সব ধরনের প্রস্তুতি নিচ্ছে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি)। আর এখানেই চূড়ান্ত হবে এশিয়া কাপের সূচি।
বিসিবির মিডিয়া কমিটির চেয়ারম্যান ইফতেখার আহমেদ মিঠু শনিবার বিকেলে জানান, ‘আমরা ঢাকায় এসিসির নির্বাহী সভা আয়োজনের সব প্রস্তুতি নিচ্ছি। সভাটি হবে হোটেল ইন্টারকন্টিনেন্টালে। আশা করছি, সভায় (সদস্য দেশের) সবাই উপস্থিত থাকবেন।’
তবে ভারতের প্রতিনিধি এই সভায় অংশ নেবেন কি না, সেটি এখনও অনিশ্চিত। এ বিষয়ে মিঠু বলেন, ‘ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ড (বিসিসিআই) প্রতিনিধি আসবেন কি না, তা এখনই নিশ্চিত নয়। এটি তাদের বোর্ড ও রাজনৈতিক সিদ্ধান্তের বিষয়। আমরা তাদের উপস্থিতির বিষয়ে আশাবাদী। যদিও না আসেন, ভার্চুয়ালি যুক্ত হওয়ার সুযোগ তাদের জন্য থাকছে।’
এই সভার সময় ঢাকাতেই চলবে বাংলাদেশ-পাকিস্তান তিন ম্যাচের টি–টোয়েন্টি সিরিজ। ১৬ জুলাই সকালে ও রাতে দুটি ভিন্ন ফ্লাইটে ঢাকায় পৌঁছাবে পাকিস্তান দল। অন্যদিকে শ্রীলঙ্কা সফর শেষে ১৭ জুলাই দেশে ফিরবে বাংলাদেশ দল। জানা গেছে, এই সিরিজ দেখতে এবং এসিসির সভায় অংশ নিতে ঢাকায় আসবেন এসিসি ও পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ডের চেয়ারম্যান মহসিন নাকভি।
২০২৬ সালের এশিয়া কাপ আয়োজনের স্বত্ব ভারতের হাতে থাকলেও এখনো ভেন্যু চূড়ান্ত হয়নি। এবারের এসিসি সভায় এ বিষয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেওয়া হতে পারে। সম্ভাবনা রয়েছে, এ সভাতেই প্রকাশিত হবে এশিয়া কাপের চূড়ান্ত সূচি। তবে রাজনৈতিক টানাপোড়েনের কারণে টুর্নামেন্টে ভারতের অংশগ্রহণ এখনও অনিশ্চয়তার মধ্যে রয়েছে।
কাশ্মীরে সাম্প্রতিক হামলা নিয়ে ভারত-পাকিস্তান সম্পর্ক আরও জটিল হয়ে উঠেছে। এই প্রেক্ষাপটে ভারতীয় বোর্ডের প্রতিনিধি শেষ পর্যন্ত ঢাকায় আসবেন কি না, সেটিই এখন দেখার বিষয়।
.উৎস: Samakal
এছাড়াও পড়ুন:
সেঞ্চুরির অপেক্ষায় মুশফিকুর, তিন দিনেই জয় রাজশাহীর
জাতীয় ক্রিকেট লিগে মিরপুর শের-ই-বাংলা স্টেডিয়ামে তিনদিনেই জয় পেয়েছে রাজশাহী বিভাগ। ৭ উইকেটে তারা হারিয়েছে খুলনা বিভাগকে। এদিকে সিলেটে সেঞ্চুরির অপেক্ষায় জাতীয় দলের ক্রিকেটার মুশফিকুর রহিম। ডানহাতি ব্যাটসম্যান ৯৩ রানে অপরাজিত থেকে দিন শেষ করেছেন।
তার ব্যাটে ভর করে ঢাকা বিভাগের বিপক্ষে লড়ছে সিলেট। ঢাকার করা ৩১০ রানের জবাবে সিলেটের ৭ উইকেটে রান ২৬০। ৫০ রানে পিছিয়ে তারা। ১৭০ বলে ৪ চার ও ২ ছক্কায় ৯৩ রান করে অপরাজিত আছেন মুশফিকুর। তার সঙ্গে ৫ রানে অপরাজিত আছেন ইবাদত হোসেন। এছাড়া শাহানুর ৩০ ও তোফায়েল ২৭ রান করেন।
আরো পড়ুন:
মাহিদুল-মজিদের সেঞ্চুরির দিনে মুমিনুলের ৮ রানের আক্ষেপ
স্বীকৃতির ১০ বছর পর জাতীয় ক্রিকেট লিগে ময়মনসিংহ
 
মিরপুরে খুলনার দ্বিতীয় ইনিংসের ব্যাটিংও যুৎসই হয়নি। এবার ২৫৫ রানে থেমে যায় তাদের ইনিংস। ১ উইকেটে ৬৮ রানে দিন শুরু করে তারা। এনামুলের ইনিংস থেমে যায় ৩৪ রানে। মোহাম্মদ মিথুন খুলতে পারেননি রানের খাতা। মিরাজ ৪৮ ও জিয়াউর এবং ইয়াসির মুনতাসির ৩২ রানের দুটি ইনিংস খেলে প্রতিরোধ গড়ার চেষ্টা করেছিলেন। কিন্তু তাতেও তাদের স্কোর বড় হয়নি।
১৪৭ রানে পিছিয়ে থেকে দ্বিতীয় ইনিংস শুরু করে ২৫৫ রানের বেশি করতে পারেনি। তাতে ১০৯ রানের লক্ষ্য পায় রাজশাহী। ৭ উইকেট হাতে রেখে জয় নিশ্চিত করে নাজমুল হোসেন শান্তর দল।
হাবিবুর রহমান সোহান ৬৮ বলে ৬২ রান করেন ৪ চার ও ৩ ছক্কায়। ২৫ রান আসে সাব্বির হোসেনের ব্যাট থেকে। সাব্বির রহমান ১২ ও মেহরব ৪ রানে অপরাজিত থেকে জয় নিয়ে ফেরেন। প্রথম ম্যাচ হারের পর দ্বিতীয় ম্যাচে জয়ে ফিরল তারা।
কক্সবাজারে ময়মনসিংহ বিভাগ ও রংপুর বিভাগের ম্যাচ বাজে আউটফিল্ডের কারণে ভেস্তে যায়। একটি বলও মাঠে গড়ায়নি। ২ উইকেট হারিয়ে রংপুরের রান ১৮। এখনও তারা ৫৩৭ রানে পিছিয়ে। ময়মনসিংহ প্রথম ইনিংসে ৬ উইকেটে ৫৫৫ রানে ইনিংস ঘোষণা করে।
পাশের মাঠে ঘণ্টাখানেকের বেশি সময় খেলা হয়েছে। আগের দিনের ২ উইকেটে ১১৫ রানের সঙ্গে ৫১ রান যোগ করেন বরিশাল বিভাগ। খেলা হয়েছে কেবল ১৫ ওভার। জাহিদুজ্জামান খান ৩২ ও সালমান হোসেন ইমন ৭৫ রানে অপরাজিত আছেন। প্রথম ইনিংসে এখনও তারা ১৯২ রানে পিছিয়ে।
ঢাকা/ইয়াসিন/আমিনুল