চলে গেলেন দক্ষিণের বর্ষীয়ান অভিনেতা শ্রীনিবাস রাও
Published: 13th, July 2025 GMT
দক্ষিণী সিনেমার বর্ষীয়ান অভিনেতা কোটা শ্রীনিবাস রাও আর নেই। তার বয়স হয়েছিল ৮৩ বছর। আজ ১৩ জুলাই ভারতের হায়দারাবাদের ফিল্মনগরে নিজের বাড়িতে শেষ নিশ্বাস ত্যাগ করেন এ অভিনেতা। অভিনয়ের ক্যারিয়ারে চার দশকেরও বেশি সময়ে সব মিলিয়ে ৭৫০টিরও বেশি সিনেমায় অভিনয় করেছেন তিনি। খ্যাতনামা এ অভিনেতা ‘পদ্মশ্রী’ সম্মানে ভূষিত হন। অভিনয়ের পাশাপাশি রাজনীতিও করেছিলেন তিনি। ছিলেন বিজেপি সংসদ সদস্য। মৃত্যুকালে তিনি স্ত্রী রুক্মিনী ও তিন সন্তানসহ অসংখ্য গুণগ্রাহী রেখে গেছেন।
১৯৪২ সালের ১০ জুলাই অন্ধ্রপ্রদেশের ছোট্ট গ্রাম কাঙ্কিপাদুতে জন্ম শ্রীনিবাসের। বাবা সীতারামা অঞ্জনেয়ুলু ছিলেন পেশায় চিকিৎসক। সেই কারণে ছোট্ট শ্রীনিবাসেরও স্বপ্ন ছিল চিকিৎসক হওয়ার। কিন্তু বড় হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে অভিনয়ই হয়ে ওঠে ধ্যানজ্ঞান। মঞ্চে অভিনয়ের মধ্যে দিয়েই এ অঙ্গনে পা রাখেন তিনি। যদিও পরে ভারতের স্টেট ব্যাংকে চাকরি পান।
১৯৭৮ সালে তেলুগু সিনেমা ‘প্রণাম খারিদু’তে অভিনয়েই তার রুপালি পর্দায় অভিষেক। এরপর একের পর এক সিনেমায় কখনো চরিত্রাভিনেতা, কখনো খল চরিত্রে দেখা গিয়েছে তাকে। পরবর্তী সময়ে তামিল, হিন্দি, কন্নড়, মালয়ালম সিনেমাতেও কাজ করেছেন। অভিনয় জীবনে তার সিনেমার সংখ্যা ৭৫০টিরও বেশি। দীর্ঘ চলচ্চিত্র ক্যারিয়ারে অসংখ্য সিনেমায় অভিনয় করে তিনি দর্শকের মন কেড়েছেন। এর মধ্যে অন্যতম ‘রক্ত চরিত্র’ (২০১০), ‘ইডিয়ট’ (২০০২), ‘গণেশ’ (১৯৯৮), ‘গোবিন্দা গোবিন্দা’ (১৯৯৩) প্রভৃতি। তবে বলিউডের দর্শকরা তাকে মনে রেখেছেন ‘সরকার’ সিনেমায় দুরন্ত অভিনয়ের জন্য। রামগোপাল বর্মা নির্মিত সিনেমায় ‘সিলভার মণি’ চরিত্রে অমিতাভ বচ্চনের সামনে দাপটে অভিনয় করতে দেখা গেছে তাকে।
২০১২ সালে ‘কৃষ্ণম বন্দে’ সিনেমায় অভিনয়ের জন্য পেয়েছিলেন সিমা অ্যাওয়ার্ড। খল চরিত্রে অভিনয়ের জন্য পেয়েছেন ৯টি নন্দী অ্যাওয়ার্ড। ২০১৫ সালে ভারতীয় সিনেমায় অবদানের জন্য ভূষিত হন দেশের চতুর্থ সর্বোচ্চ নাগরিক সম্মান ‘পদ্মশ্রী’তে। অভিনয়ের পাশাপাশি রাজনীতিও করেছেন। ভারতীয় জনতা পার্টির সদস্য শ্রীনিবাস ১৯৯৯ থেকে ২০০৪ সাল পর্যন্ত অন্ধপ্রদেশের পূর্ব বিজয়ওয়াড়ার বিধায়ক ছিলেন।
.
উৎস: Samakal
কীওয়ার্ড: অভ ন ত র জন য চর ত র
এছাড়াও পড়ুন:
ঝগড়া থেকে দেয়ালে মাথা ঠোকা, সালমান-ঐশ্বরিয়ার সম্পর্কের বিষয়ে প্রকাশ্যে আনলেন প্রতিবেশী
বলিউডের ইতিহাসে সবচেয়ে আলোচিত প্রেম-বিচ্ছেদের একটি হলো ঐশ্বরিয়া রাই ও সালমান খানের সম্পর্ক। প্রেমের সূচনা হয়েছিল পর্দার আড়ালেই, কিন্তু আলোচনায় আসে ‘হাম দিল দে চুকে সনম’ ছবির মাধ্যমে। ছবির রোমান্স যেন বাস্তব জীবনের প্রতিচ্ছবি হয়ে উঠেছিল। অথচ সেই রূপকথার প্রেমই কিছুদিনের মধ্যে রূপ নেয় দুঃস্বপ্নে। সম্পর্ক ভেঙে যাওয়ার পর শুধু ব্যক্তিজীবন নয়, কর্মজীবনেও কঠিন আঘাত সহ্য করতে হয়েছিল ঐশ্বরিয়াকে।
প্রতিবেশীর চোখে সেই সময়
বিজ্ঞাপন জগতের কিংবদন্তি প্রহ্লাদ কাক্কর ছিলেন ঐশ্বরিয়ার ঘনিষ্ঠজন। ঐশ্বরিয়ার মায়ের একই ভবনে থাকতেন তিনি। সম্পর্কের শুরুর দিক থেকে ক্যারিয়ারের উত্থান—সবকিছু কাছ থেকে দেখেছেন তিনি। তাঁর মতে, সালমান ছিলেন ভীষণ আক্রমণাত্মক। ঐশ্বরিয়ার ওপর প্রভাব বিস্তার করতে চাইতেন। প্রহ্লাদ এক সাক্ষাৎকারে বলেন, ‘সালমান খুবই আক্রমণাত্মক ছিলেন। আমি একই ভবনে থাকতাম, সবকিছু শুনতাম-দেখতাম। ঝগড়া, চিৎকার, এমনকি দেয়ালে মাথা ঠোকা…এগুলো নিয়মিত ছিল। সম্পর্ক আসলে অনেক আগেই ভেঙে গিয়েছিল, শুধু ঘোষণাটা পরে এসেছে। বিচ্ছেদটা সবার মধ্যে স্বস্তি এনেছিল—ঐশ্বরিয়ার, তাঁর বাবা-মায়ের, এমনকি সালমানেরও।’