চাপ উপেক্ষা করে বস্তুনিষ্ঠ সাংবাদিকতা করে যাবে প্রথম আলো
Published: 14th, July 2025 GMT
আনন্দ প্রিয়জনদের মধ্যে ভাগাভাগি করে নিলে তা আরও মহিমান্বিত হয়ে ওঠে। সে জন্যই প্রথম আলো বিশ্বমঞ্চ থেকে সেরার মর্যাদাময় পুরস্কার অর্জনের আনন্দ উদ্যাপন করতে আয়োজন করেছিল প্রীতিসম্মিলনের।
দেশবাসী ও প্রথম আলোর পাঠক–শুভানুধ্যায়ীরা ইতিমধ্যে জেনেছেন, এ বছর বিশ্বের বৃহত্তম মিডিয়া সংগঠন ইন্টারন্যাশনাল নিউজ মিডিয়া অ্যাসোসিয়েশন (ইনমা) প্রদত্ত তিনটি পুরস্কার পেয়েছে প্রথম আলো। এই সম্মানজনক অর্জন প্রথম আলোর শুভানুধ্যায়ীদের নিয়ে উদ্যাপনের জন্যই বনানীর শেরাটন হোটেলের বলরুমে রোববার বিকেলে এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছিল।
বৃষ্টিভেজা দিনের শেষে অতিথিরা অনুষ্ঠান কেন্দ্রে এলে তাঁদের উষ্ণ অভ্যর্থনা জানানো হয়। হলরুমটি সাজানো হয়েছিল সাদা ছাদ থেকে ঝুলিয়ে দেওয়া সাদা রঙের স্ক্রলে। এই স্ক্রলগুলোতে ছিল প্রথম আলোর বস্তুনিষ্ঠ সাংবাদিকতা, ভাষার প্রতি যত্ন নেওয়া, অ্যাসিড–সন্ত্রাস প্রতিরোধের প্রতিশ্রুতিসহ সমাজ ও সংস্কৃতিতে প্রথম আলোর নানামুখী কার্যক্রমের সারসংক্ষেপ। মঞ্চও সাজানো হয়েছিল প্রশস্ত সফেদ জমিনে প্রথম আলোর লোগোতে থাকা উদিত সূর্যের নকশায়। মাঝখানে ছিল ডিজিটাল পর্দা। সেখানে ফুটে উঠেছিল অতিথিদের অভিবাদন জানানোর বাণী। শুভ্র সাজসজ্জা অনুষ্ঠানে এক স্নিগ্ধতার পরশ বুলিয়ে দিয়েছিল।
অনুষ্ঠানে অন্তর্বর্তী সরকারের উপদেষ্টাসহ অগ্রগণ্য শিক্ষাবিদ, ব্যবসায়ী, নারীনেত্রী, লেখক, শিল্পী, সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব, আইনজীবী, অধিকারকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।
অনাড়ম্বর ও আন্তরিকতায় উষ্ণ অনুষ্ঠানের শুরুতেই অতিথিদের স্বাগত জানান প্রথম আলোর নির্বাহী সম্পাদক সাজ্জাদ শরিফ। তিনি বলেন, প্রথম আলো ১৯৯৮ সালের ৪ নভেম্বর আত্মপ্রকাশের পর থেকেই সত্যের প্রতি অঙ্গীকার নিয়ে বস্তুনিষ্ঠ সাংবাদিকতা করে যাচ্ছে। বিভিন্ন সময় কঠোর দমন-পীড়নের মধ্যেও প্রথম আলো তার পথ থেকে সরে আসেনি। এই বস্তুনিষ্ঠতারও পুরস্কার এসেছে আন্তর্জাতিক পরিমণ্ডল থেকে।
এরপর ইনমা ও প্রথম আলোর ভূমিকা নিয়ে একটি তথ্যচিত্র প্রদর্শন করা হয়।
ইনমা থেকে পুরস্কার পাওয়া উপলক্ষে প্রথম আলোর শুভানুধ্যায়ীদের নিয়ে আয়োজিত অনুষ্ঠানে অতিথিদের একাংশ। ঢাকা, ১৩ জুলাই.উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: প রথম আল র বস ত ন ষ ঠ অন ষ ঠ ন প রস ক র
এছাড়াও পড়ুন:
মুসলমান বলেই রোহিঙ্গারা ভয়াবহ পরিস্থিতির শিকার
রোহিঙ্গা সম্প্রদায়ের দুরবস্থা বর্তমান সময়ে অন্যতম করুণ মানবিক সংকট বলে উল্লেখ করেছেন প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস। তিনি বলেছেন, শুধু মুসলমান হওয়ার কারণেই রোহিঙ্গারা এই ভয়াবহ পরিস্থিতির শিকার।
গতকাল সোমবার রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় তুরস্কের একটি সংসদীয় প্রতিনিধিদলের সঙ্গে সাক্ষাতের সময় এ কথা বলেন প্রধান উপদেষ্টা। পাঁচ সদস্যের ওই প্রতিনিধিদলের নেতৃত্ব দিয়েছেন তুরস্ক-বাংলাদেশ সংসদীয় মৈত্রী গ্রুপের সভাপতি ও তুর্কি পার্লামেন্ট সদস্য মেহমেত আকিফ ইয়িলমাজ।
সাক্ষাতে দুই পক্ষ বাণিজ্য, বিনিয়োগ ও মানবিক সহায়তার ক্ষেত্রগুলোতে দ্বিপক্ষীয় সহযোগিতা আরও জোরদার করার উপায় নিয়ে আলোচনা করে। এ সময় মেহমেত আকিফ ইয়িলমাজ বলেন, তুরস্ক ও বাংলাদেশের মধ্যে গভীর সাংস্কৃতিক ও ঐতিহাসিক সম্পর্ক রয়েছে। দুই দেশের মধ্যে বিদ্যমান দৃঢ় বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্কের ওপর আলোকপাত করেন তিনি।
ইয়িলমাজ বলেন, তাঁদের প্রতিনিধিদল রোববার কক্সবাজারে রোহিঙ্গা শিবির পরিদর্শন করেছে এবং তুর্কি বিভিন্ন সরকারি ও বেসরকারি সংস্থা, বিশেষ করে তুর্কি ফিল্ড হাসপাতালের মানবিক কার্যক্রম সম্পর্কে অবহিত হয়েছে। এ সময় রোহিঙ্গা সম্প্রদায়ের প্রতি তুরস্কের অবিচল সমর্থনের জন্য কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন প্রধান উপদেষ্টা। তুর্কি উদ্যোক্তাদের বাংলাদেশে বিনিয়োগের আহ্বান জানান তিনি।
অধ্যাপক ইউনূস বলেন, ‘রোহিঙ্গা সম্প্রদায়ের দুরবস্থা আমাদের সময়ের অন্যতম করুণ মানবিক সংকট। তারা শুধু মুসলমান বলেই এই ভয়াবহ পরিস্থিতির শিকার এবং তাদের নাগরিকত্ব কেড়ে নেওয়া হয়েছে।’ তিনি আরও বলেন, ‘আট বছর ধরে আশ্রয়শিবিরে থাকায় রোহিঙ্গা শিশুদের শিক্ষা ও ভবিষ্যৎ সুযোগ একেবারেই সীমিত হয়ে পড়েছে। এই অবস্থা হতাশা ও অস্থিতিশীলতার জন্ম দিতে পারে।’