‘সরকার দায়িত্বশীল আচরণ না করায় এবং সঠিক সময়ে যথাযথ পদক্ষেপ নিতে না পারায় পরিস্থিতি তাদের নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে গেছে’ মন্তব্য করে জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) আহ্বায়ক মো. নাহিদ ইসলাম বলেছেন, “গতকালের ঘটনায় (উত্তরায় যুদ্ধবিমান বিধ্বস্ত) পুরো জাতি ট্রমাটাইজড। আমরা সেই শোক প্রকাশ করছি গভীরভাবে। কিন্তু, গতকাল থেকে আজ পর্যন্ত পরিস্থিতি ডেভোলপ হচ্ছে। সরকার আরো দায়িত্বশীল ও মানবিক আরচণ করতে পারত।”

মঙ্গলবার (২২ জুলাই) সন্ধ্যায় রাজধানীর বাংলামোটরে এনসিপির অস্থায়ী কার্যালয়ে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এসব কথা বলেন নাহিদ ইসলাম। রাজধানীর উত্তরায় বিমান দুর্ঘটনাকে কেন্দ্র করে বিক্ষোভ এবং সচিবালয়ের সামনে সংঘর্ষের ঘটনায় সরকারের প্রতি ক্ষোভ প্রকাশ করেন তিনি।

নাহিদ ইসলাম বলেন,“আমাদের কাছে মনে হয়েছে, সরকার দায়িত্বশীল আচরণ না করায় এবং সঠিক সময়ে সঠিক পদক্ষেপ নিতে না পারায় পরিস্থিতি তাদের নিয়ন্ত্রণেরও বাইরে চলে গেছে। আজকে সারা দিন অনেক ঘটনা ঘটেছে।”

আরো পড়ুন:

‘আমাদের বলতে বাধা দিলে, লড়াই বাধবে’

চট্টগ্রাম নিয়ে ষড়যন্ত্র হচ্ছে: নাহিদ ইসলাম

এনসিপির আহ্বায়ক বলেন, “আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের যে ছয় দফা দাবি, সেই দাবির সঙ্গে আমরা সংহতি প্রকাশ করছি। তারা যৌক্তিক কিছু দাবি উপস্থাপন করেছে। সেগুলো সরকারের উচিত দ্রুত বাস্তবায়ন করা। কিছু কিছু উপদেষ্টার খুব দায়িত্বজ্ঞানহীন আচরণ দেখেছি, বিশেষত শিক্ষা উপদেষ্টা। রাত তিনটা-চারটার সময় আমাদের জানতে হচ্ছে, এইসএসসি পরীক্ষা স্থগিত করতে হবে। অন্য উপদেষ্টারা তাকে ফোন দিয়ে পাচ্ছে না। সরকারের যদি এ ধরনের অবস্থা হয়, উপদেষ্টাদের মধ্যে সম্বন্বয় নেই-দেশের এমন একটি ইমারজেন্সি সময়ে যখন সারা দেশের শিক্ষার্থীরা ট্রমাটাইজড।”

নাহিদ ইসলাম বলেন, “বিমান দুর্ঘটনায় নিহত ও আহতদের সঠিক সংখ্যা প্রকাশ করতে হবে। পুরো ঘটনার নিরপেক্ষ তদন্ত হওয়া উচিত। ভবিষ্যতে যেন এরকম ঘটনা না ঘটে, সেজন্য দ্রুত পদক্ষেপ নেওয়া উচিত।”

নাহিদ ইসলাম বলেন, “সোমবার (২১ জুলাই) রাত থেকে মরদেহ গুম করা নিয়ে এক ধরনের প্রচারণা দেখছি। সেক্ষেত্রে সরকারের পক্ষ থেকে সঠিক বক্তব্য রাখা উচিত ছিল। দুর্ঘটনার সময় কতজন শিক্ষার্থী ছিল, সেগুলো প্রকাশ করা উচিত। এ ঘটনায় সরকারের পক্ষ থেকে প্রতি মুহূর্তে আপডেট দেওয়া উচিত ছিল।”

সংবাদ সম্মেলনে এনসিপির সদস্য সচিব আখতার হোসেনসহ কেন্দ্রীয় নেতারা উপস্থিত ছিলেন।

ঢাকা/রায়হান/সাইফ

.

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর ন হ দ ইসল ম জ ত য় ন গর ক প র ট এনস প পদক ষ প ন পর স থ ত সরক র র উপদ ষ ট ঘটন য় এনস প র ঘটন

এছাড়াও পড়ুন:

অশোভন আচরণ, শিষ্টাচারবহির্ভূত বিরুদ্ধাচরণ কাম্য নয়: সৈয়দ এমরান সালেহ

আগামীকাল সোমবার ময়মনসিংহের টাউন হল মাঠে অনুষ্ঠিত হবে জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) জুলাই পদযাত্রা কর্মসূচি।

ময়মনসিংহে এনসিপির পদযাত্রা কর্মসূচিকে স্বাগত জানিয়ে বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব সৈয়দ এমরান সালেহ বলেছেন, ‘ময়মনসিংহ শান্তির জনপদ। এখানে রাজনৈতিক শিষ্টাচার মেনেই আমরা রাজনীতি করি। আশা করছি সব রাজনৈতিক দল সেই শান্তি বজায় রেখে নিজ নিজ কর্মসূচি পালন করবে। এতে অশোভন আচরণ, শিষ্টাচারবহির্ভূত বিরুদ্ধাচরণ, অশ্লীল মন্তব্য বা কুৎসা রটনা কাম্য নয়।’

আজ রোববার দুপুরে ময়মনসিংহ নগরের টাউন হল মোড়ে গণ–অভ্যুত্থানের বর্ষপূর্তি উপলক্ষে গ্রাফিতি অঙ্কন ও গণসংগীত অনুষ্ঠানের উদ্বোধন শেষে এমরান সালেহ সাংবাদিকদের এ কথা বলেন।

বিএনপির এই যুগ্ম মহাসচিব বলেন, ‘আমাদের বুকের ভেতর থেকে ফ্যাসিবাদের জগদ্দল পাথর হয়তো এক বছর আগে নেমে গেছে। আমরা এখন মুক্তকণ্ঠে কথা বলতে পারছি। ৫ আগস্ট আমরা গণ–অভ্যুত্থানে বিজয় অর্জন করতে পেরেছি। কিন্তু সে অর্জন ছিল আংশিক। পরিপূর্ণ বিজয় তখনই হবে, যখন দেশে বহু আকাঙ্ক্ষিত গণতন্ত্র ফিরিয়ে আনতে পারব এবং জনগণের শাসন আমরা প্রতিষ্ঠিত করতে পারব। নির্বাচনের মধ্য দিয়ে জনগণের প্রতিনিধি নির্বাচন করতে পারব। এর মধ্য দিয়েই আমরা পরিপূর্ণ বিজয় অর্জন করতে পারব।’

সৈয়দ এমরান সালেহ আরও বলেন, ‘গত এক বছর একটা দীর্ঘ সময়। আমরা ভাবিনি এত সময় লেগে যাবে। এখন দেখা যাচ্ছে বাংলাদেশ নির্বাচনের দিকে এগিয়ে যাচ্ছে। আমরা আশা করছি, আগামী ফেব্রুয়ারির প্রথম সপ্তাহের মধ্যেই দেশে একটি প্রতিদ্বন্দ্বিতামূলক অবাধ ও নিরপেক্ষ নির্বাচন হবে। সেই নির্বাচনের মধ্য দিয়েই আমরা যে জনপ্রতিনিধিত্বশীল সংসদ পাব বা সরকার পাব, সেই সংসদ ও সরকারের মধ্য দিয়েই এই গণ–অভ্যুত্থানের যে আকাঙ্ক্ষা, সেটাকে আমরা বাস্তবায়নের দিকে নিয়ে যেতে পারব।’

ময়মনসিংহ মহানগর, উত্তর ও দক্ষিণ জেলা বিএনপি যৌথভাবে এ কর্মসূচির আয়োজন করেছে। কর্মসূচির অংশ হিসেবে নগরীর টাউন হল ও ধোপাখলা মোড় এলাকায় জুলাই-আগস্ট গণ–অভ্যুত্থানের স্মৃতি ধারণ করে দেয়ালে দেয়ালে গ্রাফিতি অঙ্কন করেন বিএনপির নেতা–কর্মীরা।

মহানগর বিএনপির আহ্বায়ক এ কে এম শফিকুল ইসলামের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন বিএনপির জাতীয় নির্বাহী কমিটির সাংগঠনিক সম্পাদক শরীফুল আলম, সহসাংগঠনিক সম্পাদক শাহ ওয়ারেস আলী ও আবু ওয়াহাব আকন্দ, দক্ষিণ জেলা বিএনপির আহ্বায়ক জাকির হোসেন, উত্তর জেলা বিএনপির আহ্বায়ক এনায়েত উল্লাহ প্রমুখ।

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • ‘আমি কী অপরাধ করেছি’— সবাই জানেন শিরোনামটা...
  • নারীদের নিয়ে বারে ‘অগ্রহণযোগ্য’ আচরণ, আমিরাতের ক্ষোভে রাষ্ট্রদূতকে ফেরত নিচ্ছে ইসরায়েল
  • অফিসে প্রেম করার আগে জেনে রাখুন
  • টিনএজ সিনড্রোম: ভবিষ্যৎ প্রজন্মের এক নীরব সংকট
  • যে ৬টি সীমারেখা একজন পুরুষকে নারীর কাছে আকর্ষণীয় করে তোলে
  • অশোভন আচরণ, শিষ্টাচারবহির্ভূত বিরুদ্ধাচরণ কাম্য নয়: সৈয়দ এমরান সালেহ