নতুন করে হাঁটা শিখে ৫৭ বছর বয়সে ভারোত্তোলনে বিশ্ব রেকর্ড
Published: 23rd, July 2025 GMT
আয়ারল্যান্ডের বাসিন্দা লিয়াম বেভিলের জীবনের গল্পটা যেন একদম হলিউড চলচ্চিত্রের মতো। ১৮ বছর বয়সে চলাফেরার ক্ষমতা হারিয়ে ফেলেছিলেন তিনি। তবে তাতে হার মানেননি। শারীরিক প্রতিবন্ধকতাকে জয় করে একসময় বেভিল হয়ে ওঠেন জাতীয় ভারোত্তোলন চ্যাম্পিয়ন! শুধু তা-ই নয়, গড়েছেন বিশ্ব রেকর্ডও।
গল্পের শুরুটা ছিল দুঃস্বপ্নের মতো। ১৯৮৩ সালের ৩ জুন আয়ারল্যান্ডের লিমেরিকে ফুটপাত ধরে হাঁটছিলেন ১৮ বছরের বেভিল। ঠিক তখনই এক চুরি হওয়া গাড়ি এসে ধাক্কা দেয় তাঁকে। দুর্ঘটনার আগে তিনি প্রযুক্তি খাতে কাজ করতেন। পরে শারীরিক প্রতিবন্ধকতার কারণে অবসর নিতে হয়। কিন্তু জীবন থেমে যায়নি।
দুই সন্তানের বাবা বেভিল বলেন, ‘আমি এক বছর কাটিয়েছি প্লাস্টার কাস্টে, ছয় মাস হুইলচেয়ারে। কয়েকবার অস্ত্রোপচার করতে হয়েছে। হাঁটা শিখতে হয়েছে নতুন করে। ক্রাচে ভর দিয়ে জিমে ঢোকার পরই আমার পুনর্বাসন শুরু হয়েছিল। সেখান থেকেই ধীরে ধীরে আমি নিজের শরীর আর মন দুটিকেই নতুন করে গড়েছি। আর সেই পথ পেরিয়ে একসময় আমি হয়ে উঠি ভারোত্তোলনে জাতীয় চ্যাম্পিয়ন।’
দুর্ঘটনার মাত্র তিন বছরের মাথায় বেভিল লিমেরিক পাওয়ারলিফটিং চ্যাম্পিয়নশিপে জয়ী হন। ১৯৮৮ সালে তিনি তাঁর প্রথম জাতীয় ডেডলিফট রেকর্ড ভেঙে নতুন রেকর্ড গড়েন। আর ২০২২ সালের ৫ ফেব্রুয়ারি ৫৭ বছর বয়সে গড়েন বিশ্ব রেকর্ড। সবচেয়ে ভারী ডেডলিফট (পুরুষ) (এমপিফোর) বিভাগের আগের রেকর্ডটি ভেঙে দেন তিনি। লিয়াম বেভিল এদিন লিমেরিকে আয়োজিত আইরিশপিও ন্যাশনাল সিঙ্গেল লিফট চ্যাম্পিয়নশিপে অংশ নেন এবং ২৮৫ কেজি ভারোত্তোলন করেন। এই ওজন একটি প্রাপ্তবয়স্ক পুরুষ কুমির কিংবা একটি ভেন্ডিং মেশিনের চেয়েও বেশি।
এমপিফোর মানে হলো একধরনের শারীরিক অক্ষমতা, যার ফলে হাত-পা পুরো শক্তি দিয়ে নড়াচড়া করতে পারে না।
বিশ্ব রেকর্ড গড়ার জন্য বেভিল একাই প্রস্তুতি নিয়েছিলেন। তিনি নিয়মিত বক্স স্কোয়াট করেছেন, ব্যায়াম করেছেন এবং ধাপে ধাপে ভারোত্তোলনের সক্ষমতা বাড়িয়েছেন।
.উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: ব শ ব র কর ড
এছাড়াও পড়ুন:
ভারত–পাকিস্তান লড়াই: একসময় আগুন জ্বলত, এখন শুধু ধোঁয়া
ভারত-পাকিস্তানের ক্রিকেটীয় সম্পর্ক সব সময়ই দুই দেশের রাজনৈতিক ও কূটনৈতিক কৌশল অনুযায়ী এগিয়েছে।
অতীতেও দ্বিপক্ষীয় সিরিজে লম্বা বিরতি দেখা গেছে। ১৯৫৪ থেকে ১৯৭৮—টানা ২৪ বছর পাকিস্তান সফরে যায়নি ভারত। আবার ১৯৬০ সালের পর পাকিস্তানও প্রথমবারের মতো ভারতে খেলতে যায় ১৯৭৯ সালে।
এরপর ১৯৮২ থেকে ১৯৮৭ সাল পর্যন্ত ভারত-পাকিস্তান নিয়মিত মুখোমুখি হয়েছে। এই সময়ে ভারত তিনবার পাকিস্তান সফরে গিয়ে খেলে ১২ টেস্ট, পাকিস্তানও ভারতে গিয়ে খেলে ৮ টেস্ট।
দীর্ঘ বিরতির পর ১৯৯৯ সালে পাকিস্তান তিন টেস্ট খেলতে ভারতে যায়। এর মধ্যে একটি ছিল কলকাতার ইডেন গার্ডেনে প্রথম এশিয়ান টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপ। ভারত ফিরতি টেস্ট সিরিজ খেলতে পাকিস্তানে যায় ২০০৪ সালে, যা ছিল ১৯৮৯ সালে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে শচীন টেন্ডুলকারের অভিষেকের পর প্রথমবার।
২০০৪ সালের পাকিস্তান সফরে কড়া নিরাপত্তায় ব্যাটিংয়ে নামেন শচীন টেন্ডুলকার