দুধ দিয়ে গোসল করে রাজনীতি ছাড়ার ঘোষণা ছাত্রলীগ নেতার
Published: 23rd, July 2025 GMT
দুধ দিয়ে গোসল করে রাজনীতি ছাড়ার ঘোষণা দিয়েছেন নিষিদ্ধ ঘোষিত বাংলাদেশ ছাত্রলীগের নড়াইল সদর উপজেলার কলোড়া ইউনিয়ন কমিটির সভাপতি সাজ্জাদুল ইসলাম।
মঙ্গলবার (২২ জুলাই) সন্ধ্যা ৬টার দিকে কলোড়া ইউনিয়নের আগদিয়া গ্রামে নিজ বাড়িতে বালতি ও গামলাভর্তি দুধ দিয়ে গোসল করে ইউনিয়ন ছাত্রলীগের সভাপতি পদ থেকে পদত্যাগের ঘোষণা দেন সাজ্জাদুল ইসলাম। একইসঙ্গে ছাত্রলীগ ও আওয়ামী লীগসহ কোনো রাজনৈতিক দলের সঙ্গে ভবিষ্যতে না জড়ানোর ঘোষণা দিয়েছেন তিনি।
সাজ্জাদুল ইসলাম বলেছেন, “আমি দীর্ঘদিন ধরে নিষিদ্ধ ঘোষিত ছাত্রলীগ এবং আওয়ামী লীগের রাজনীতির সঙ্গে জড়িত ছিলাম। কিন্তু, দলটির জ্ঞানহীন রাজনৈতিক স্বেচ্ছাচারিতা আমাকে বারবার মানসিক, শারীরিক, সামাজিক ও পারিবারিকভাবে আঘাত করেছে। আমি সজ্ঞানে ও স্বেচ্ছায় ছাত্রলীগ ও আওয়ামী লীগের রাজনীতি থেকে অব্যাহতি নিচ্ছি। আজ থেকে সংগঠনের সঙ্গে আমার কোনো প্রকার সম্পর্ক থাকবে না।”
তিনি আরো বলেন, “সরকার পতনের পর আমার বাড়িতে হামলা-ভাঙচুর হয়েছে। আমাকে মারার চেষ্টা করা হয়েছিল। জড়িত না থেকেও নাশকতার মামলায় জেল খেটেছি। জেলে থাকা অবস্থায় আমার বাবা মারা গেছে। এসব কারণে আজ দুধ দিয়ে গোসল করে রাজনীতি থেকে বিদায়ের ঘোষণা দিলাম। খুব শিগগিরিই লিখিত পদত্যাগপত্র জমা দেব।”
ঢাকা/শরিফুল/রফিক
.উৎস: Risingbd
এছাড়াও পড়ুন:
মুসলমান বলেই রোহিঙ্গারা ভয়াবহ পরিস্থিতির শিকার
রোহিঙ্গা সম্প্রদায়ের দুরবস্থা বর্তমান সময়ে অন্যতম করুণ মানবিক সংকট বলে উল্লেখ করেছেন প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস। তিনি বলেছেন, শুধু মুসলমান হওয়ার কারণেই রোহিঙ্গারা এই ভয়াবহ পরিস্থিতির শিকার।
গতকাল সোমবার রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় তুরস্কের একটি সংসদীয় প্রতিনিধিদলের সঙ্গে সাক্ষাতের সময় এ কথা বলেন প্রধান উপদেষ্টা। পাঁচ সদস্যের ওই প্রতিনিধিদলের নেতৃত্ব দিয়েছেন তুরস্ক-বাংলাদেশ সংসদীয় মৈত্রী গ্রুপের সভাপতি ও তুর্কি পার্লামেন্ট সদস্য মেহমেত আকিফ ইয়িলমাজ।
সাক্ষাতে দুই পক্ষ বাণিজ্য, বিনিয়োগ ও মানবিক সহায়তার ক্ষেত্রগুলোতে দ্বিপক্ষীয় সহযোগিতা আরও জোরদার করার উপায় নিয়ে আলোচনা করে। এ সময় মেহমেত আকিফ ইয়িলমাজ বলেন, তুরস্ক ও বাংলাদেশের মধ্যে গভীর সাংস্কৃতিক ও ঐতিহাসিক সম্পর্ক রয়েছে। দুই দেশের মধ্যে বিদ্যমান দৃঢ় বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্কের ওপর আলোকপাত করেন তিনি।
ইয়িলমাজ বলেন, তাঁদের প্রতিনিধিদল রোববার কক্সবাজারে রোহিঙ্গা শিবির পরিদর্শন করেছে এবং তুর্কি বিভিন্ন সরকারি ও বেসরকারি সংস্থা, বিশেষ করে তুর্কি ফিল্ড হাসপাতালের মানবিক কার্যক্রম সম্পর্কে অবহিত হয়েছে। এ সময় রোহিঙ্গা সম্প্রদায়ের প্রতি তুরস্কের অবিচল সমর্থনের জন্য কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন প্রধান উপদেষ্টা। তুর্কি উদ্যোক্তাদের বাংলাদেশে বিনিয়োগের আহ্বান জানান তিনি।
অধ্যাপক ইউনূস বলেন, ‘রোহিঙ্গা সম্প্রদায়ের দুরবস্থা আমাদের সময়ের অন্যতম করুণ মানবিক সংকট। তারা শুধু মুসলমান বলেই এই ভয়াবহ পরিস্থিতির শিকার এবং তাদের নাগরিকত্ব কেড়ে নেওয়া হয়েছে।’ তিনি আরও বলেন, ‘আট বছর ধরে আশ্রয়শিবিরে থাকায় রোহিঙ্গা শিশুদের শিক্ষা ও ভবিষ্যৎ সুযোগ একেবারেই সীমিত হয়ে পড়েছে। এই অবস্থা হতাশা ও অস্থিতিশীলতার জন্ম দিতে পারে।’