উত্তরায় বিমান বিধ্বস্তের ঘটনায় দগ্ধ আরেক শিশুর মৃত্যু
Published: 24th, July 2025 GMT
রাজধানীর উত্তরার দিয়াবাড়ির মাইলস্টোন স্কুল অ্যান্ড কলেজে যুদ্ধবিমান বিধ্বস্তের ঘটনায় দগ্ধ আরেক শিশুর মৃত্যু হয়েছে।
শিশুটির নাম মাহতাব রহমান ভূঁইয়া (১৪)। আজ বৃহস্পতিবার বেলা ১টা ৫২ মিনিটে রাজধানীর জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটের নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্রে (আইসিইউ) চিকিৎসাধীন অবস্থায় শিশুটি মারা যায়। এ নিয়ে এই ঘটনায় বার্ন ইনস্টিটিউটে ১২ জনের মৃত্যু হলো।
আরও পড়ুননিহত ২৯, চিকিৎসাধীন ৫৭: স্বাস্থ্য অধিদপ্তর৩৮ মিনিট আগেমাইলস্টোন স্কুলের সপ্তম শ্রেণির ছাত্র ছিল মাহতাব। তার বাবার নাম মিজানুর রহমান ভূঁইয়া। দুই ভাই, এক বোনের মধ্যে দ্বিতীয় ছিল মাহতাব। সে উত্তরা ১১ নম্বর সেক্টরে মা–বাবার সঙ্গে থাকত। বাড়ি কুমিল্লার দেবীদ্বার উপজেলায়।
বার্ন ইনস্টিটিউটের যুগ্ম পরিচালক ও সহযোগী অধ্যাপক মো.
মারুফুল ইসলাম জানান, যুদ্ধবিমান বিধ্বস্তের ঘটনায় দগ্ধদের মধ্যে মোট ৪৩ জন এখন বার্ন ইনস্টিটিউটে চিকিৎসাধীন আছে। এর মধ্যে সাতজন আইসিইউতে চিকিৎসাধীন।
আরও পড়ুনবিমান বিধ্বস্তের সময় স্কুল ছুটি হওয়ায় স্বল্পসংখ্যক শিক্ষার্থী ছিল, নিহত ২২: মাইলস্টোন কর্তৃপক্ষ৪৯ মিনিট আগেআজ বৃহস্পতিবার সকাল সাড়ে ১০টা নাগাদ পাওয়া হালনাগাদ তথ্যের ভিত্তিতে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর জানিয়েছিল, এই ঘটনায় নিহত মানুষের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ২৯ জনে। আর আহত ব্যক্তিদের মধ্যে বিভিন্ন হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আছে ৫৭ জন। এর মধ্যে বার্ন ইনস্টিটিউটে চিকিৎসাধীন ৪৫ জন। সিএমএইচে চিকিৎসাধীন ১১ জন। শহীদ মনসুর আলী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন একজন।
গত সোমবার বেলা সোয়া একটার দিকে দিয়াবাড়ির মাইলস্টোন স্কুল অ্যান্ড কলেজের একটি ভবনে বিমানবাহিনীর একটি যুদ্ধবিমান বিধ্বস্ত হয়। এতে হতাহতের ঘটনা ঘটে।
আরও পড়ুনআইসিইউতে এখনো ১২ জন১২ ঘণ্টা আগেউৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: ব ম ন ব ধ বস ত র ম ইলস ট ন ত র ঘটন ম হত ব ঘটন য়
এছাড়াও পড়ুন:
জকসুর গঠন ও পরিচালনা বিধিমালা, নির্বাচনী আচরণবিধির সংশোধন চায় ছাত্রদল
জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় শিক্ষার্থী সংসদ (জকসু) গঠন ও পরিচালনা বিধিমালা এবং নির্বাচনী আচরণবিধি সংশোধনে নির্বাচন কমিশনকে স্মারকলিপি দিয়েছে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রদল। সোমবার প্রধান নির্বাচন কমিশনার অধ্যাপক মোস্তফা হাসানের কাছে এ স্মারকলিপি দেন ছাত্রদলের নেতারা।
স্মারকলিপিতে বলা হয়, ‘আসন্ন জকসু নির্বাচনকে ঘিরে বিভিন্ন গোষ্ঠী জকসু সংবিধি এবং নির্বাচনী আচরণ বিধিমালা নিয়ে বিভ্রান্তিকর প্রচারণা চালাচ্ছে। আমরা বিশ্বাস করি, জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের নির্বাচন কমিশন একটি নিরপেক্ষ ও সুষ্ঠু নির্বাচন নিশ্চিত করার জন্য দায়বদ্ধ। ন্যায্য ও স্বচ্ছ নির্বাচন নিশ্চিতে আমাদের অনুরোধ, ভোটার তালিকা প্রকাশের সময় প্রত্যেক ভোটারের ছবিসহ তালিকা প্রকাশ করতে হবে। নির্বাচনে অমোচনীয় কালি ব্যবহার বাধ্যতামূলক করতে হবে এবং স্বচ্ছ, নাম্বারযুক্ত ব্যালট বক্স রাখা আবশ্যক।’
স্মারকলিপিতে আরও বলা হয়, ব্যালট ছাপার সংখ্যা, ভোট প্রদানকারীর সংখ্যা এবং নষ্ট ব্যালটের তথ্য প্রকাশ করতে হবে। মিডিয়া ট্রায়াল বা ভুল তথ্য প্রচার হলে সংশ্লিষ্ট সাংবাদিকের বিরুদ্ধে কেন্দ্র থেকে সরাসরি ব্যবস্থা নিতে হবে। সরকার অনুমোদিত সব মিডিয়াকে নির্বাচনকালীন সময়ে পূর্ণ স্বাধীনতা দিতে হবে।
স্মারকলিপিতে বলা হয়, ডাকসুর তফসিল ঘোষণার ৪১ দিন, চাকসুর ৪৪ দিন, রাকসুর ৮০ দিন এবং জাকসুর তফসিল ঘোষণার ৩১ দিন পর নির্বাচন হয়েছে। যেহেতু জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় একটি অনাবাসিক বিশ্ববিদ্যালয়, তাই শিক্ষার্থীদের সঙ্গে যোগাযোগ স্থাপনের জন্য পর্যাপ্ত সময় দিতে হবে। এ ছাড়া বাকি চার বিশ্ববিদ্যালয়ের তফসিল ঘোষণার সময় ও নির্বাচনের মধ্যবর্তী পার্থক্য বিবেচনা করে জকসু নির্বাচনের তারিখ নির্ধারণ করতে হবে।
জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রদলের সদস্যসচিব শামসুল আরেফিন বলেন, ‘জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা যাতে সুষ্ঠু একটা নির্বাচনে অংশগ্রহণের সুযোগ পায়, এজন্য ছাত্রদল নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছে। এরই ধারাবাহিকতায় আজকে আমরা স্মারকলিপি দিয়েছি। আশা করছি, নির্বাচন সুষ্ঠু হওয়ার জন্য নির্বাচন কমিশন আমাদের দাবিগুলো মেনে নেবে।’