কুয়াকাটা সৈকত রক্ষার দাবিতে মানববন্ধন
Published: 26th, July 2025 GMT
পটুয়াখালীর কুয়াকাটা সৈকতের ভাঙন রোধে ব্যবস্থা নিতে মানববন্ধন করেছেন এলাকাবাসী।
‘কুয়াকাটা বাঁচাও, পর্যটন বাঁচাও’ এই স্লোগানে শনিবার (২৬ জুলাই) দুপুরে কুয়াকাটা ট্যুরিজম পার্ক সংলগ্ন সৈকত সড়কে এ কর্মসূচির আয়োজন করা হয়।
মানববন্ধনে কুয়াকাটা পৌর বিএনপির সাধারণ সম্পাদক মতিউর রহমান বলেন, “কুয়াকাটা নিয়ে কারো কোনো মাথাব্যাথা নেই, সরকার উদাসীন। সরকারের বিভিন্ন মহলের গাফিলতির কারণে আমরা ক্ষতিরমুখে।”
আরো পড়ুন:
আবাসিক এলাকা থেকে কয়লার ড্যাম্প সরানোর দাবিতে মানববন্ধন
পাবনায় তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলীর বিরুদ্ধে ঠিকাদারদের মানববন্ধন
তিনি পানি উন্নয়ন বোর্ড, জেলা প্রশাসনসহ সবার দৃষ্টি আকর্ষণ করে বলেন, “দ্রুত এই সৈকত রক্ষায় পদক্ষেপ নিতে হবে।”
কুয়াকাটা প্রেস ক্লাবের সভাপতি রুমান ইমতিয়াজ তুষার বলেন, “অব্যাহত ভাঙনে সৈকতের সৌন্দর্য ও পরিবেশ ধ্বংস হচ্ছে। যে কারণে কুয়াকাটার প্রতি পর্যটকদের আগ্রহ কমে যাচ্ছে। যা এখানকার পর্যটন শিল্পের জন্য বড় হুমকি। দ্রুত সৈকতের সৌন্দর্য রক্ষা, বর্জ্য ব্যবস্থাপনা উন্নতকরণ এবং অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদে সরকারের হস্তক্ষেপ কামনা করছি।”
মানববন্ধনে অন্যদের মধ্যে আরো বক্তব্য রাখেন- কুয়াকাটা জামায়াতে ইসলামীর সাবেক সভাপতি মাইনুল ইসলাম মান্নানসহ বিভিন্ন সামাজিক সংগঠনের নেতাকর্মীরা।
পানি উন্নয়ন বোর্ডের কলাপাড়া উপজেলা উপ-সহকারী প্রকৌশলী সৈয়দ তারিকুর রহমান তুহিন বলেন, “সৈকতের বিভিন্ন স্থানে ভাঙন দেখা দিয়েছে। আমরা জিওটিউব দিয়ে ভাঙন রোধের ব্যবস্থা করব।”
ঢাকা/ইমরান/মাসুদ
.উৎস: Risingbd
কীওয়ার্ড: চ কর চ কর উপক ল স কত র
এছাড়াও পড়ুন:
১ কোটি শিশু শিক্ষার্থীর অধিকার নিশ্চিতের দাবিতে মানববন্ধন, স্মারকলিপি
বেসরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান কিন্ডারগার্টেনর এক কোটি শিশু শিক্ষার্থীর অধিকার নিশ্চিতের দাবিতে বন্দরে মানববন্ধন করেছে বাংলাদেশ কিন্ডারগার্টেন এসোসিয়েশনের শিক্ষক-শিক্ষকারা।
সোমবার (২৮ জুলাই) সকাল ১১টায় বন্দর উপজেলা কার্যালয়ের সামনে এ মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়। মানববন্ধন শেষে বন্দর উপজেলা শিক্ষা অফিসারের মাধ্যমে শিক্ষা উপদেষ্টা বরাবারে স্মারকলিপি দাখিল করা হয়।
মানববন্ধরে বক্তব্য রাখেন নারায়ণগঞ্জ জেলা কিন্ডারগার্টেন এসোসিয়েশনের প্রধান এ এইচ এম শামীম আহমেদ, মহাসচিব সিদ্দিকুর রহমান, সদস্য সচিব সাইফুল ইসলাম রুবেল, শিক্ষক হাসান কবির, আনোয়ার হোসেন, আরিফ হোসেন, মাহবুব আলম, শামীমা আক্তার বর্ণা, রোকসানা আক্তার প্রমুখ।
বক্তরা বলেন, বাংলাদেশে ৬৫ হাজার ৭শ’ বেসরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান কিন্ডারগার্টেন স্কুল রয়েছে। যা দেশেরন ৫০ শতাংশ শিক্ষার চাহিদা পূরণ করে থাকে। আর এ সকল স্কুলে প্রায় ১ কোটির অধিক শিশু শিক্ষার্থী লেখা পড়া করে। আর ৫ম শ্রেণীতে প্রায় ১০ লাখ শিক্ষার্থী রয়েছে। যারা ২০০৯ সাল থেকে ২০২৩ সাল পর্যন্ত সরকারি বৃত্তিতে অংশ নিয়েছে।
কিন্তু গত ১৭ জুলাই বর্তমান সরকার একটি প্রজ্ঞাপনের মাধ্যমে বেসরকারি কিন্ডারগার্টেন স্কুলের বৃত্তিতে অংশ গ্রহণ বাতিল করে। যার কারণে ১ কোটি শিক্ষার্থীর ভবিষ্যত অনিশ্চয়তার মুখে পতিত হয়েছে।
বক্তরা আরো বলেন, বাংলাদেশের সংবিধানে ১৭ অনুচ্ছেদে দেশের সকল শিশুদের সমান অধিকার দেয়া হয়েছে। বেসরকারি কিন্ডারগার্টেন স্কুলের শিশুদের বুত্তিতে অংশগ্রহণ করতে না দেয় মানে সংবিধানের ও মানবাধিকার লঙ্ঘন। আমরা এ প্রজ্ঞাপন বাতিলের দাবি জানাচ্ছি। যাতে শিশুরা তাদের অধিকার থেকে বঞ্চিত না হয়।