মালয়েশিয়ার প্রধানমন্ত্রী আনোয়ার ইব্রাহিমের পদত্যাগ দাবি দেশটির রাজধানী কুয়ালালামপুরে শনিবার হাজারো মানুষ বিক্ষোভ করেছেন। জীবনযাত্রার ব্যয় বৃদ্ধি ও প্রতিশ্রুত সংস্কার বাস্তবায়নে ব্যর্থতার অভিযোগে এই বিক্ষোভের আয়োজন। সদ্য ১০০ বছরে পা দেওয়া দেশটির সাবেক প্রধানমন্ত্রী মাহাথির মোহাম্মদও বিক্ষোভে অংশ নিয়েছেন।

বিক্ষোভকারী প্রায় সবাইকে কালো টি-শার্ট ও কপালে ফেট্টি পরতে দেখা গেছে। এতে লেখা ছিল, ‘তুরুন আনোয়ার’। যার অর্থ হলো, সরে দাঁড়াও আনোয়ার। বিক্ষোভকারীরা শহরের কেন্দ্রীয় এলাকায় মিছিল করে স্বাধীনতা স্কয়ারে জড়ো হন। সেখানে বিরোধী দলের শীর্ষ নেতারা বক্তৃতা দেন। পুলিশের তথ্যমতে, বিক্ষোভে প্রায় ১৮ হাজার মানুষ অংশ নিয়েছেন।

সংস্কারের প্রতিশ্রুতি দিয়ে ২০২২ সালের নভেম্বরে ক্ষমতায় আসেন আনোয়ার ইব্রাহিম। সরকারের রাজস্ব বাড়াতে তাঁর সরকার সম্প্রতি বিক্রয় ও সেবার ওপর কর (এসএসটি) বাড়িয়েছে এবং ভর্তুকি ঢেলে সাজিয়েছে। জনগণের একাংশের আশঙ্কা, এসব পদক্ষেপের কারণে ভোক্তা পণ্যের দাম আরও বেড়ে যেতে পারে।

জীবনযাত্রার ব্যয় বৃদ্ধি নিয়ে জনমনে বাড়তে থাকা উদ্বেগ প্রশমনে চলতি সপ্তাহে আনোয়ার সরকার কিছু পদক্ষেপ ঘোষণা করেছে। এর মধ্যে নগদ সহায়তা কর্মসূচি, দরিদ্র পরিবারের জন্য বাড়তি অনুদান এবং জ্বালানি তেলের দাম কমানোর প্রতিশ্রুতি অন্যতম।

বিক্ষোভে অংশ নেন মালয়েশিয়ার সাবেক প্রধানমন্ত্রী মাহাথির মোহাম্মদ। ২৬ জুলাই ২০২৫.

উৎস: Prothomalo

এছাড়াও পড়ুন:

আসামি শতবর্ষী ইদ্রিস শেখের আদালতে হাজিরা ও প্রিজন ভ্যানে যাত্রা

তখন সময় দুপুর ১২টা ৩ মিনিট। ঢাকার মহানগর দায়রা জজ আদালতের তৃতীয় তলায় ঢাকার দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনাল-১–এর এজলাস কক্ষ থেকে একজন বৃদ্ধ ব্যক্তিকে একজন পুলিশ সদস্য হাত ধরে সিঁড়ির কাছে নিয়ে যেতে থাকেন। সেই বৃদ্ধের ডান হাতে একখানা লাঠি। লাঠির ওপর ভর দিয়ে তিনি সিঁড়ির কাছে যেতে থাকেন।

সিঁড়ির কাছে যাওয়ার পর তিনি কোনোভাবেই সেই সিঁড়ি বেয়ে তৃতীয় তলা থেকে দ্বিতীয় তলায় আসতে পারছিলেন না। দুজন পুলিশ কনস্টেবল অশীতিপর এই বৃদ্ধের দুই বাহু ধরে রাখেন।

পরে ইদ্রিস শেখের দুই বাহু ধরে দ্বিতীয় তলায় আনা হয়। তখন ইদ্রিস শেখ হাঁপাচ্ছিলেন। পরে দুজন কনস্টেবল আবার ইদ্রিস শেখের দুই বহু ধরে রাখেন। এরপর খুব সাবধানে দুই তলার সিঁড়ি দিয়ে ইদ্রিস শেখ লাঠির ওপর ভর করে নিচতলায় নামেন। তৃতীয় তলা থেকে নিচতলায় নামতে ইদ্রিস শেখের সময় লেগেছে পাঁচ থেকে সাত মিনিট। ইদ্রিস শেখকে যখন নিচতলার সিঁড়ি দিয়ে হাজতখানার সামনে আনা হয়, তখন তাঁর ছেলে বাবুল শেখ কেঁদে ফেলেন।

বাবুল শেখ তখন চিৎকার দিয়ে বলে ওঠেন, ‘আমার বাবার বয়স এখন ১২০ বছর। এই ১২০ বছর বয়সেও আমার বাবাকে জেলের ঘানি টানতে হবে।’

প্রিজন ভ্যানে ইদ্রিস শেখ। মঙ্গলবার ঢাকার আদালত প্রাঙ্গণে

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • আসামি শতবর্ষী ইদ্রিস শেখের আদালতে হাজিরা ও প্রিজন ভ্যানে যাত্রা