বিশেষ ক্ষমতা আইনে যুব মহিলা লীগ নেত্রী কারাগারে
Published: 28th, July 2025 GMT
গোপালগঞ্জের কোটালীপাড়া উপজেলা যুব মহিলা লীগের সাধারণ সম্পাদক রুবি বিশ্বাসকে (৩৫) গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। সোমবার (২৮ জুলাই) বিশেষ ক্ষমতা আইনের মামলায় গ্রেপ্তার দেখিয়ে তাকে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।
এর আগে, গত রাতে উপজেলার ছিটকীবাড়ি গ্রামের নিজ বাসা থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়। কোটালীপাড়া থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো.
ওসি মো. আবুল কালাম আজাদ বলেন, ‘‘গত ১৬ জুলাই উপজেলার ওয়াবদারহাট নামক স্থানে কার্যক্রম নিষিদ্ধ আওয়ামী লীগ ও তার সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীরা মহাসড়কে গাছ ফেলে বিক্ষোভ করেন। এতে জনমনে আতঙ্ক ও জনসাধারণের চলাচলে বিঘ্ন সৃষ্টি হয়। এ ঘটনায় পুলিশ বাদী হয়ে ১৫৫ জনের নাম উল্লেখ ও অজ্ঞাত দেড় হাজার জনকে আসামি করে কোটালীপাড়া থানায় বিশেষ ক্ষমতা আইনে একটি মামলা করে। ওই মামলায় যুব মহিলা লীগের সাধারণ সম্পাদক রুবি বিশ্বাসকে গ্রেপ্তার দেখিয়ে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।’’
আরো পড়ুন:
এক বছরেই ‘সমন্বয়ক’ রিয়াদের ভাগ্য বদল, গুলশানে গ্রেপ্তারের পর কানাঘুষা তুঙ্গে
বাধ্যতামূলক অবসরে পুলিশের ৪ ডিআইজি
তিনি আরো বলেন, ‘‘ওই দিন রুবি বিশ্বাস সামনে থেকে বিক্ষোভের নেতৃত্ব দেন। এ পর্যন্ত আমরা ৩৪ আসামিকে গ্রেপ্তার করেছি। ভিডিও ফুটেজ দেখে বাকিদের গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে।’’
ঢাকা/বাদল/রাজীব
উৎস: Risingbd
এছাড়াও পড়ুন:
বিএনপি-জামায়াতের সঙ্গে যোগাযোগে গত ১০ বছর বাধা দেওয়া হয়েছিল: চীনের রাষ্ট্রদূত
বাংলাদেশে নিযুক্ত চীনের রাষ্ট্রদূত ইয়াও ওয়েন বলেছেন, বিগত সরকারের শেষ ১০ বছরে বিএনপি ও জামায়াতে ইসলামীর সঙ্গে যোগাযোগ করতে পারেনি চীন। এই দুই দলের সঙ্গে যোগাযোগের ক্ষেত্রে সে সময়ে প্রতিবন্ধকতার সৃষ্টি করা হয়েছিল।
আজ মঙ্গলবার রাজধানীর জাতীয় প্রেসক্লাবে ‘ডিকাব টক’ অনুষ্ঠানে এই মন্তব্য করেন চীনের রাষ্ট্রদূত। ডিপ্লোমেটিক করেসপনডেন্টস অ্যাসোসিয়েশন, বাংলাদেশ (ডিকাব) এই অনুষ্ঠানের আয়োজন করে।
সম্প্রতি বিএনপি ও জামায়াতে ইসলামীর প্রতিনিধিদল চীন সফর করেছে। এ বিষয়ে অনুষ্ঠানে চীনের রাষ্ট্রদূতের কাছে জানতে চাওয়া হয়। জবাবে তিনি বলেন, খোলাখুলিভাবে বললে, গত ১০ বছরে বিএনপি ও জামায়াতে ইসলামীর সঙ্গে যোগাযোগে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করা হয়েছিল। কিন্তু এখন সময় এসেছে, তাই তাঁরা পুনঃযোগাযোগ চালুর উদ্যোগ নিয়েছেন। তাঁরা এ ধরনের সফর বিনিময় ও যোগাযোগ পুনঃস্থাপন করতে চান।
বিগত আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের সঙ্গে যুক্ত হতে কীভাবে বাধা দেওয়া হতো, জানতে চাইলে ইয়াও ওয়েন বলেন, তিনি বিশ্বাস করেন, গত কয়েক বছরের পরিস্থিতি কেমন ছিল, সেটি এখানে উপস্থিত সাংবাদিকেরা অনুধাবন করতে পারেন। তিনি সুনির্দিষ্টভাবে কিছু বলতে চান না। তিনি কী পরিস্থিতির মুখোমুখি হয়েছিলেন, সেটা উপস্থিত সাংবাদিকেরা বোঝেন।
বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের নেতৃত্বে দলটির একটি উচ্চপর্যায়ের প্রতিনিধিদল গত মাসে চীন সফর করে। চীনের কমিউনিস্ট পার্টির আমন্ত্রণে এই সফর হয়। অন্যদিকে চলতি মাসে জামায়াতে ইসলামীর আমির শফিকুর রহমানের নেতৃত্বে দলটির একটি প্রতিনিধিদল চীন সফর করে।
ডিকাব সভাপতি এ কে এম মঈনউদ্দিনের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তৃতা দেন সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক আরিফুজ্জামান মামুন।