স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ উপদেষ্টা নূরজাহান বেগম বলেছেন, “জুলাই গণ-অভ্যুত্থানে ছাত্র-জনতার অপরিমেয় আত্মত্যাগ জাতির ইতিহাসে গৌরবোজ্জ্বল অধ্যায় হয়ে আছে। এই আত্মত্যাগ জাতি কখনো ভুলে যেতে পারে না।”

সোমবার (২৮ জুলাই) রাজধানীর শাহবাগে শহীদ আবু সাইদ ইন্টারন্যাশনাল কনভেনশন সেন্টারে ‘জুলাই পুনর্জাগরণ’ অনুষ্ঠানমালার অংশ হিসেবে আয়োজিত স্মরণসভায় তিনি এসব কথা বলেন।

অনুষ্ঠানে জুলাই অভ্যুত্থানে আহতদের সেবায় নিয়োজিত স্বাস্থ্যকর্মীদের সম্মাননা জানানো হয় এবং একটি তথ্যচিত্র প্রদর্শনের মাধ্যমে তাদের অবদান স্মরণ করা হয়।

আরো পড়ুন:

স্তন ক্যান্সারের এইসব লক্ষণ উপেক্ষা করবেন না

হার্টের জন্য কোন তেল নিরাপদ?

নূরজাহান বেগম বলেন, “বায়ান্নর ভাষা আন্দোলন, ঊনসত্তরের গণআন্দোলন, একাত্তরের মুক্তিযুদ্ধ- এই ধারাবাহিকতায় জুলাই অভ্যুত্থানও আমাদের জাতীয় ইতিহাসে গৌরবের প্রতীক। ওই সময়ে দেশের চিকিৎসক, নার্স, স্বাস্থ্যকর্মীরা জীবনবাজি রেখে আহতদের সেবা দিয়েছেন।”

তিনি বলেন, “সম্প্রতি মাইলস্টোন স্কুল অ্যান্ড কলেজের দুর্ঘটনায় হতাহতদের সর্বোচ্চ চিকিৎসা সেবা নিশ্চিত করা হয়েছে। তবে যে সন্তান হারিয়েছে, সেই শোক কখনো মোচন হয় না। আমরা চাই, ভবিষ্যতে আর কোনো বিভীষিকা যেন আমাদের ছুঁয়ে না যায়। চলুন, একটি মানবিক ও সহনশীল বাংলাদেশ গড়তে একসঙ্গে কাজ করি।”

অনুষ্ঠানে ভিডিওবার্তায় অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড.

মুহাম্মদ ইউনূস বলেন, “জুলাইয়ের বীর যোদ্ধাদের জীবন বাঁচাতে চিকিৎসকরা অক্লান্ত পরিশ্রম করেছেন। তাদের এই আত্মনিবেদন জাতি কোনোদিন ভুলবে না।”

স্বাস্থ্যসেবা বিভাগের সচিব মো. সাইদুর রহমানের সভাপতিত্বে আয়োজিত এ স্মরণ সভায় আরো উপস্থিত ছিলেন, মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ উপদেষ্টা ফরিদা আখতার, সমাজকল্যাণ উপদেষ্টা শারমীন এস মুরশিদ, স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের বিশেষ সহকারী অধ্যাপক ডা. মো. সায়েদুর রহমান প্রমুখ।

ঢাকা/এএএম/মেহেদী

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর উপদ ষ ট

এছাড়াও পড়ুন:

চলতি মাসের মধ্যেই জুলাই ঘোষণাপত্র দিতে হবে: গাজী আতাউর

অন্তর্বর্তী সরকার জুলাই যোদ্ধাদের ভুলে গিয়ে নির্বাচন নিয়ে ব্যস্ত হয়ে পড়েছে বলে অভিযোগ করেছেন ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের যুগ্ম মহাসচিব ও দলীয় মুখপাত্র মাওলানা গাজী আতাউর রহমান। তিনি বলেন, জুলাই যোদ্ধাদের গলায় ফাঁসির দড়ি রেখে নির্বাচন নিয়ে ব্যস্ত হয়ে পড়া কোনোভাবেই উচিত হবে না।

ইসলামী আন্দোলনের মুখপাত্র বলেন, চলতি মাসের মধ্যেই জুলাই শহীদ ও আহতদের সনদ এবং জুলাই ঘোষণাপত্র দিতে হবে। এই সনদে মাদ্রাসাছাত্রদের স্বীকৃতিও দিতে হবে।

আজ শনিবার বিকেলে রাজধানীর পুরানা পল্টনে ইসলামী আন্দোলনের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে এক অনুষ্ঠানে গাজী আতাউর রহমান এসব কথা বলেন। ‘জুলাই শহীদ ও আহতদের সম্মাননা এবং সংবর্ধনা’ শীর্ষক এই অনুষ্ঠানের আয়োজন করে দলটির ঢাকা মহানগর দক্ষিণ শাখা।

বিএনপির সমালোচনার জবাবে ইসলামী আন্দোলনের মুখপাত্র বলেন, ‘ইসলামী আন্দোলনকে বিতর্কিত করার জন্য আপনারা বক্তব্য দিচ্ছেন। কারা ফ্যাসিবাদ ও স্বৈরাচারের দোসর ছিল জনগণ তা জানে। আপনারা ফ্যাসিবাদের দোসর বলেই ফ্যাসিবাদবিরোধী আন্দোলনে ছিলেন না। আন্দোলনে নেই বলে ঘোষণা দিয়েছেন।’

বিএনপিকে উদ্দেশ করে গাজী আতাউর রহমান আরও বলেন, ‘আপনারা ১৬ বছর ফ্যাসিবাদ দ্বারা নির্যাতন হয়েছেন ঠিক, কিন্তু জনগণের আস্থা আপনাদের ওপর নেই বলে জনগণ আপনাদের আন্দোলনে সাড়া দেয়নি। ছাত্রদের ওপর জনতার আস্থা ও বিশ্বাস ছিল বলেই জনগণ ছাত্রদের আন্দোলনে ঝাঁপিয়ে পড়েছে।’

এর আগে শনিবার সকালে এক অনুষ্ঠানে একজন ব্যবসায়ী থেকে পাওয়া তথ্য তুলে ধরে বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, ‘আগে ঘুষ দিতে হতো ১ লাখ টাকা, এখন দিতে হয় ৫ লাখ টাকা।’

এ বিষয়ে অন্তর্বর্তী সরকারের সমালোচনা করে গাজী আতাউর রহমান বলেন, ‘জুলাই যুদ্ধের এক বছর পার হতে না হতেই ঘুষ–বাণিজ্য বেড়ে যাওয়া আশঙ্কাজনক। রাষ্ট্রের কোনো একটা গুরুত্বপূর্ণ জায়গায় আপনারা শুদ্ধতা ফিরিয়ে আনতে পারলেন না। তাহলে কি জুলাই আন্দোলন ব্যর্থ হবে? আমরা এ আন্দোলন-অভ্যুত্থান ব্যর্থ হতে দেব না।’

ইসলামী আন্দোলনের যুগ্ম মহাসচিব ও ঢাকা মহানগর দক্ষিণের সভাপতি মাওলানা মুহাম্মদ ইমতিয়াজ আলমের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য দেন সহসভাপতি আলতাফ হোসাইন, এম এইচ মোস্তফা, সেক্রেটারি আবদুল আউয়াল, সাংগঠনিক সম্পাদক কে এম শরীয়াতুল্লাহ, মাওলানা মুহাম্মদ মাকসুদুর রহমান, নজরুল ইসলাম প্রমুখ।

আহত জুলাই যোদ্ধাদের মধ্যে স্মৃতিচারণে অংশ নেন মুহাম্মদ জাহিদ হোসাইন, মাওলানা আবু মাহমুদ পাটওয়ারী, খন্দকার লিয়াকত আলী, মুহাম্মদ রনজু মিয়া, আনোয়ারুল ইসলাম, আল-আমিন, হাবীব ভূইয়া, মুহাম্মদ বাবুল হোসেন, মুহাম্মদ জাহাঙ্গীর, সেলিম সিকদার, মুহাম্মদ জিহাদ প্রমুখ।

জুলাই গণ-অভ্যুত্থানে শহীদদের পরিবারের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন শহীদ সাজিদুর রহমানের বাবা শাহজাহান ভূইয়া, শহীদ রেজাউল করীমের বাবা আল-আমিন এবং শহীদ জিহাদের বড় ভাই মুহাম্মদ রিয়াদ হোসেন। আলোচনা শেষে আহত এবং শহীদ যোদ্ধাদের পরিবারের হাতে সম্মাননা তুলে দেওয়া হয়।

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • মাইলস্টোনে বিমান দূর্ঘটনায় হতাহতদের জন্য মহানগর সাংস্কৃতিক জোটের দোয়া
  • মাইলস্টোনে বিমান বিধ্বস্তে হতাহতদের জন্য জিয়া সৈনিকদলের দোয়া 
  • বিমান দুর্ঘটনায় নিহতদের স্মরণে সোনারগাঁয়ে দোয়া মাহফিল 
  • ভারতে মন্দিরে পদদলিত হয়ে ৬ জনের প্রাণহানি
  • মিশিগানের ওয়ালমার্টে ছুরি হামলায় আহত ১১
  • মাইলস্টোন ট্র্যাজেডি: আহতদের দেখতে বার্ন ইনস্টিটিউটে প্রধান উপদেষ
  • আহতদের খোঁজ নিতে বার্ন ইনস্টিটিউটে প্রধান উপদেষ্টা
  • বিচার, সংস্কার, নির্বাচন—দেশের এই মুহূর্তের সবচেয়ে বড় স্বার্থ: সাকি
  • চলতি মাসের মধ্যেই জুলাই ঘোষণাপত্র দিতে হবে: গাজী আতাউর