বাংলাদেশ, চীন ও পাকিস্তানের ত্রিদেশীয় ফোরামে ঢাকাকে সক্রিয় করতে বেইজিংয়ের চাপ
Published: 28th, July 2025 GMT
বাংলাদেশ ও পাকিস্তানকে নিয়ে গত জুনে কুনমিংয়ে ত্রিদেশীয় এক ‘অনানুষ্ঠানিক আলোচনা’র আয়োজন করেছিল চীন। যদিও ঢাকা স্পষ্ট জানিয়ে দিয়েছে, এটি কোনো জোট গঠন নয়, কেবলই কর্মকর্তা পর্যায়ের আলোচনা। তবু থেমে নেই বেইজিংয়ের তৎপরতা। ত্রিদেশীয় উদ্যোগে বাংলাদেশকে সক্রিয় করতে কূটনৈতিক চাপ ও কথাবার্তা চালিয়ে যাচ্ছে চীন।
চীনের ইউনান প্রদেশের রাজধানী কুনমিংয়ে গত ১৯ জুন চীন, পাকিস্তান ও বাংলাদেশের পররাষ্ট্রসচিবেরা বৈঠক করেছিলেন। এরপর গত এক মাসে রাজনৈতিক ও কূটনৈতিক মহলের আলোচনায় ওই ত্রিদেশীয় উদ্যোগের প্রসঙ্গ এসেছে।
২১ জুলাই ঢাকায় চীনের রাষ্ট্রদূত ইয়াও ওয়েন পররাষ্ট্র উপদেষ্টা মো.                
      
				
এর আগে ১১ জুলাই মালয়েশিয়ার কুয়ালালামপুরে আসিয়ান আঞ্চলিক ফোরামের (এআরএফ) মন্ত্রিপরিষদের বৈঠকের একফাঁকে পররাষ্ট্র উপদেষ্টা মো. তৌহিদ হোসেনের সঙ্গে দেখা করেন চীনের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ওয়াং ই। ওই বৈঠকে দ্বিপক্ষীয় এবং আন্তর্জাতিক নানা বিষয়ের পাশাপাশি ওয়াং ই কুনমিংয়ের বৈঠকের প্রসঙ্গটি তুলেছিলেন। তিনি বলেন, এটি একটি উন্মুক্ত গ্রুপ। অন্যরাও এসে এতে যুক্ত হতে পারে। এ উদ্যোগে বাংলাদেশের সক্রিয় ভূমিকা রাখা উচিত।
কুয়ালালামপুরের কূটনৈতিক সূত্রগুলো এই প্রতিবেদককে জানিয়েছে, কুনমিংয়ের উদ্যোগের বিষয়ে চীনের পররাষ্ট্রমন্ত্রী আলোচনায় তুললেও কোনো মতামত দেননি বাংলাদেশের পররাষ্ট্র উপদেষ্টা। তিনি মনোযোগ দিয়ে হাসিমুখে কথা শুনেছেন।
পররাষ্ট্র উপদেষ্টা মো. তৌহিদ হোসেন চীনের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ও রাষ্ট্রদূতের সঙ্গে আলোচনায় ত্রিদেশীয় উদ্যোগের প্রসঙ্গটি যে এসেছে, তা এই প্রতিবেদককে বলেছেন। তিনি বলেছেন, বাংলাদেশ এখনই এমন কোনো ত্রিদেশীয় উদ্যোগের সঙ্গে যুক্ত হবে না।
ইউনান প্রদেশের রাজধানী কুনমিংয়ে ১৯ জুন বাংলাদেশ, চীন ও পাকিস্তানের পররাষ্ট্রসচিব পর্যায়ের আলোচনাউৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: পরর ষ ট র উপদ ষ ট ন র পরর ষ ট র পরর ষ ট র র প রসঙ গ
এছাড়াও পড়ুন:
কুষ্টিয়ায় রেলসেতুর নিচে নারীর মরদেহ, ছেলের দাবি হত্যা
কুষ্টিয়ার কুমারখালী উপজেলায় একটি রেলসেতুর নিচ থেকে ৫২ বছর বয়সী এক নারীর রক্তাক্ত মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। আজ শনিবার বেলা সাড়ে ১১টার দিকে মরদেহটি উদ্ধার করা হয়।
হত্যা সন্দেহে সুরতহাল প্রতিবেদন প্রস্তুত করে ময়নাতদন্তের জন্য মরদেহটি কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতালের মর্গে পাঠিয়েছে পুলিশ। নিহত নারীর বাড়ি রাজবাড়ীর গোয়ালন্দ উপজেলায়। তাঁর ছেলে ঘটনাস্থলে এসে মরদেহ শনাক্ত করেছেন।
নিহত নারীর ছেলে বলেন, তিন থেকে চার বছর ধরে তাঁর মায়ের মাথায় সমস্যা। গতকাল শুক্রবার সকালে গোয়ালন্দ রেলস্টেশনে তাঁকে দেখা গিয়েছিল। এরপর আর খুঁজে পাওয়া যাচ্ছিল না। আজ সকালে লাশের সন্ধান পেয়ে কুমারখালী এসে মাকে মৃত অবস্থায় পেয়েছেন। মাথায় আঘাতের চিহ্ন আছে।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, আজ সকাল ছয়টায় দিকে রেলসেতুর নিচে অজ্ঞাতপরিছয় নারীর রক্তাক্ত মরদেহ দেখতে পান স্থানীয় লোকজন। পরে পুলিশে খবর দেন তাঁরা। নিহত নারীর ছেলে এসে মরদেহটি শনাক্ত করার পর বেলা সাড়ে ১১টার দিকে তা ময়নাতদন্তের জন্য কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতালের মর্গে পাঠায় পুলিশ।
কুমারখালী থানার উপপরিদর্শক ও সুরতাল প্রস্তুতকারী কর্মকর্তা আবদুর রশিদ বলেন, খবর পেয়ে মরদেহটি উদ্ধার করে মর্গে পাঠানো হয়েছে। মাথায় আঘাতের ক্ষত আছে। প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে, ধর্ষণের পর হত্যাকাণ্ড ঘটতে পারে। তবে বিষয়টি এখনই নিশ্চিত নয়।
মামলার বিষয়ে এখনো সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়নি বলে নিহত নারীর ছেলে জানান।
কুমারখালী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) খন্দকার জিয়াউর রহমান বলেন, এখনই কোনো কিছু নিশ্চিতভাবে বলা যাচ্ছে না। ময়নাতদন্তের প্রতিবেদন এলে পরে প্রকৃত ঘটনা বলা যাবে।