জার্মানিতে বর্বরতার শিকার বাচ্চা মোরগ
Published: 29th, July 2025 GMT
আধুনিক ও উন্নত দেশ জার্মানিতে এখনও এমন এক বর্বর নিয়ম চালু রয়েছে যার শিকার হাজার হাজার বাচ্চা মোরগ। আপনি জানেন? দেশটিতে প্রতি বছর হাজার হাজার বাচ্চা মোরগ নির্মমভাবে মেরে ফেলা হয়।  
ডয়চে ভেলের তথ্য, ‘‘জার্মানিতে প্রতিবছর সাড়ে চার কোটি বাচ্চা মোরগ কেটে অথবা গ্যাস দিয়ে মেরে ফেলা হয়৷ এর কারণ হচ্ছে, বাচ্চা মোগর ডিম উৎপাদন করতে পারে না।’’
দীর্ঘদিন এই নিয়ম চালু থাকার পরে দেশটির প্রাণী অধিকার কর্মীরা বাচ্চা মোরগ হত্যার প্রতিবাদ জানিয়েছেন। এবং এই রীতিতে পরিবর্তন আনতে পেরেছেন।
আরো পড়ুন:
জাতীয় মৎস্য সপ্তাহ শুরু মঙ্গলবার, পদক পাচ্ছেন ১৬ ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠান
‘পশু খাদ্যকে কোনোভাবেই মৎস্য খাদ্য হিসেবে ব্যবহার করা যাবে না’
জার্মানির কৃষি মন্ত্রণালয়ের অর্থায়নে লাইপসিশ বিশ্ববিদ্যালয়ের একদল গবেষক এমন এক এক পন্থা আবিষ্কার করেছেন, যা ব্যবহার করে একটি ডিম পরীক্ষা করেই বোঝা যাবে যে মোরগ হবে নাকি মুরগি৷
 কৃষিমন্ত্রী ইউলিয়া ক্ল্যোকনার বলেন,‘‘এই উপায়ে আগামীতে মোরগ হত্যার জন্য দীর্ঘসময় অপেক্ষা করতে হবে না৷’’ 
যার অর্থ দাঁড়ায়, নতুন উদ্ভাবিত পন্থায় ডিমের খোলসের মধ্যে সুক্ষ্ম একটি ছিদ্র করে কিছু তরল বের করে পরীক্ষা করা হয় এবং তখন বোঝা যায় যে ভবিষ্যতে এই ডিম ফুটে মোরগ নাকি মুরগি বের হবে৷যেসব ডিম থেকে মোরগ বাচ্চা হওয়ার সম্ভাবনা আছে সেগুলো আলাদা করে উচ্চমানের প্রাণীখাদ্য তৈরি করা হবে৷
 ইতোমধ্যে কিছু হ্যাচারি এই পন্থা ব্যবহার শুরু করেছে৷  
ঢাকা/লিপি
.উৎস: Risingbd
এছাড়াও পড়ুন:
ফিলিস্তিনি বন্দীকে নির্যাতনের ভিডিও ফাঁস, ইসরায়েলে সেনাবাহিনীর সাবেক প্রসিকিউটর গ্রেপ্তার
ইসরায়েলি পুলিশ দেশটির সেনাবাহিনীর সাবেক একজন প্রসিকিউটরকে গ্রেপ্তার করেছে। একজন ফিলিস্তিনি বন্দীর ওপর ইসরায়েলি সেনাদের নির্যাতনের ভিডিও ফাঁস হওয়ার পর ওই নারীকে গ্রেপ্তার করা হয়।
মেজর জেনারেল পদমর্যাদার ওই সাবেক প্রসিকিউটরের নাম ইয়াফাত তোমের-ইয়েরুশালমি। গতকাল সোমবার রাতে তাঁকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে বলে জানান ইসরায়েলের জাতীয় নিরাপত্তাবিষয়ক মন্ত্রী।
জানা যায়, অনলাইনে ওই ভিডিওটি ফাঁস হওয়ার পর ব্যাপক আলোচনা-সমালোচনা শুরু হয়েছিল। তখন তিনি তাঁর পদ থেকে পদত্যাগ করেন। এরপর নিখোঁজ ছিলেন।
ওই ভিডিওতে দেখা গেছে, সৈন্যরা এক বন্দীকে আলাদা স্থানে নিয়ে ঘিরে দাঁড়িয়ে আছেন। তাঁদের সঙ্গে একটি কুকুর রয়েছে। তাঁরা দাঙ্গা নিয়ন্ত্রণের সরঞ্জাম ব্যবহার করে নিজেদের কার্যকলাপ এমনভাবে আড়াল করে রেখেছেন, যাতে কেউ দেখতে না পারে।
ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু ভিডিও ফাঁসের ঘটনাকে রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার পর থেকে ‘জনসংযোগের ওপর সবচেয়ে তীব্র আক্রমণ’ বলে মন্তব্য করেছেন।
আরও পড়ুনফিলিস্তিনি বন্দীর ওপর নির্যাতনের ভিডিও ফাঁস ঘিরে ইসরায়েলের শীর্ষ আইনি কর্মকর্তার পদত্যাগ০১ নভেম্বর ২০২৫অধিকৃত পশ্চিম তীরের রামাল্লা থেকে আল-জাজিরার নউর ওদেহ বলেন, ওই নারী প্রসিকিউটরের আটকের ঘটনা ইসরায়েলে ‘রাজনৈতিক ও আইনি ঝড়’ তৈরি করেছে। তবে আটক হওয়া ব্যক্তির ওপর বাড়তি মনোযোগ মূল ঘটনা থেকে নজর সরিয়ে দিচ্ছে।
জাতিসংঘের তথ্য অনুযায়ী, ২০২৩ সালের ৭ অক্টোবর থেকে এ পর্যন্ত ইসরায়েলের কারাগারগুলোয় অন্তত ৭৫ জন ফিলিস্তিনি বন্দীর মৃত্যু হয়েছে।
আরও পড়ুন‘স্বপ্ন ছিল বুকে জড়িয়ে ধরার, এখন আশা দাফনটা যদি অন্তত করতে পারি’২ ঘণ্টা আগে