রাজধানীতে শুরু হয়েছে বাস-ট্রাক চালকদের জন্য তিন দিনব্যাপী বিশেষ স্বাস্থ্য ও চক্ষু পরীক্ষা কর্মসূচি। সড়ক পরিবহন ও মহাসড়ক বিভাগের আওতাধীন ঢাকা পরিবহন সমন্বয় কর্তৃপক্ষ (ডিটিসিএ) আয়োজিত এই কার্যক্রম মঙ্গলবার  তেজগাঁওয়ের বিআরটিসি প্রশিক্ষণ ইনস্টিটিউট থেকে আনুষ্ঠানিকভাবে উদ্বোধন করা হয়।

প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী এবং সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তা শেখ মইনউদ্দিন। উদ্বোধনী বক্তব্যে তিনি বলেন, ‘‘চালকদের চোখ ভালো থাকলে রাস্তাও নিরাপদ থাকে। অনেক দুর্ঘটনার মূলে রয়েছে দৃষ্টিশক্তির দুর্বলতা। তাই চোখ ও স্বাস্থ্য পরীক্ষা বাধ্যতামূলক করা উচিত।’’

তিনি আরও জানান, সরকার ১ হাজার চালকের বিনামূল্যে স্বাস্থ্য ও চক্ষু পরীক্ষা করছে এবং ভবিষ্যতে এই উদ্যোগ সারা দেশে ছড়িয়ে দেওয়া হবে।

ঢাকা পরিবহন সমন্বয় কর্তৃপক্ষের নির্বাহী পরিচালক (অতিরিক্ত সচিব) নীলিমা আখতার সভাপতির বক্তব্যে বলেন, ‘‘চালকদের নিয়মিত স্বাস্থ্য পরীক্ষা শুধু তাদের জন্য নয়, জনসাধারণের নিরাপত্তার জন্যও অপরিহার্য।’’

এই কর্মসূচি আগামী ৩১ জুলাই পর্যন্ত তেজগাঁও ট্রাক টার্মিনাল, গাবতলী, মহাখালী ও সায়েদাবাদ আন্তঃজেলা বাস টার্মিনালে চলবে। চশমা, রক্তচাপ, ডায়াবেটিস, চোখের গ্লুকোমা ও নাইট ভিশন পরীক্ষাসহ চালকদের জন্য রয়েছে পূর্ণাঙ্গ স্বাস্থ্য সেবা।

সহযোগী সংস্থার মধ্যে রয়েছে আহছানিয়া মিশন, ভিশন স্প্রিং, ডাস, আল-নূর হাসপাতাল, বারডেম, রেড ক্রিসেন্টসহ ২০টিরও বেশি সংস্থা।

ঢাকা/এএএম//

.

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর চ লকদ র পর বহন র জন য পর ক ষ

এছাড়াও পড়ুন:

বিএনপির প্রার্থীর তালিকায় নেই তারকারা

আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বিএনপি থেকে কয়েকজন জনপ্রিয় তারকার মনোনয়ন পাওয়ার গুঞ্জন থাকলেও শেষ পর্যন্ত প্রার্থী তালিকায় তাদের নাম নেই।

সোমবার (৩ নভেম্বর) বিকেলে গুলশানে বিএনপির চেয়ারপারসনের রাজনৈতিক কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলনে দলের মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর ২৩৭ আসনের প্রার্থীর নাম ঘোষণা করেন।

আরো পড়ুন:

শাহরুখের অজানা এই সাত তথ্য জানেন?

মালয়েশিয়ায় পরীমণির দশ দিন

তবে আলোচনায় থাকা কোনো তারকা প্রার্থী চূড়ান্ত তালিকায় আসেননি। সংগীতশিল্পী বেবী নাজনীন (নীলফামারী–৪), মনির খান (ঝিনাইদহ–৩) ও রুমানা মোর্শেদ কনকচাঁপা (সিরাজগঞ্জ–১) মনোনয়নপ্রত্যাশী ছিলেন।

তাদের মধ্যে বেবী নাজনীন ও মনির খানের আসনে যথাক্রমে আবদুল গফুর সরকার ও মেহেদী হাসান মনোনয়ন পেয়েছেন। কনকচাঁপার আসনের প্রার্থী এখনো ঘোষণা হয়নি।

২০১৮ সালের নির্বাচনে সিরাজগঞ্জ–১ আসন থেকেই বিএনপির প্রার্থী হয়েছিলেন কনকচাঁপা। তখন আওয়ামী লীগের মোহাম্মদ নাসিমের সঙ্গে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেছিলেন তিনি। এবারের নির্বাচনে আবারো লড়ার প্রস্তুতি নিচ্ছিলেন বলে জানা যায়।

মনির খান ও কনকচাঁপা দুজনই বিএনপির অঙ্গ সংগঠন জাসাসের কেন্দ্রীয় নেতা। এছাড়া দলটির সাংস্কৃতিক সম্পাদক ও চলচ্চিত্র অভিনেতা আশরাফ উদ্দিন আহমেদ উজ্জ্বলের নামও আলোচনায় ছিল।

উজ্জ্বল বলেন, “দল যদি মনে করে আমার প্রার্থী হওয়া দরকার, আমি প্রস্তুত।”

বিএনপির এ ঘোষণার মধ্য দিয়ে আপাতত স্পষ্ট—বিনোদন অঙ্গনের জনপ্রিয় মুখগুলো এবারো দলীয় প্রার্থী তালিকার বাইরে থাকছেন।

ঢাকা/রাহাত/মেহেদী

সম্পর্কিত নিবন্ধ