কক্সবাজারে গ্রেনেড-অস্ত্রসহ রোহিঙ্গা যুবক আটক
Published: 29th, July 2025 GMT
কক্সবাজারে অস্ত্র-গোলাবারুদ ও গ্রেনেডসহ মোহাম্মদ শফি ওরফে শফি ডাকাতকে আটক করেছে র্যাব। মঙ্গলবার (১৯ জুলাই) দুপুরে সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানান র্যাব-১৫-এর অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল কামরুল হাসান।
আটক শফি হত্যা, ডাকাতি, অস্ত্র ও মারামারিসহ ২১টি মামলার আসামি। তিনি টেকনাফের হ্নীলা ইউনিয়নের নয়াপাড়া রোহিঙ্গা ক্যাম্পের বাসিন্দা ।
লেফটেন্যান্ট কর্নেল কামরুল হাসান জানান, গতকাল সোমবার রাত ১১টার দিকে টেকনাফের নয়াপাড়া রেজিস্টার্ড ক্যাম্প-২৬ এর পশ্চিম পাশের হাজীর প্রজেক্ট পাহাড়ে অভিযান চালিয়ে শফিকে আটক করা হয়। এ সময় তার সহযোগীরা র্যাবকে লক্ষ্য করে ৪-৫ রাউন্ড গুলি চালায়, আত্মরক্ষার্থে র্যাবও পাল্টা তিন রাউন্ড গুলি ছোড়ে।
আরো পড়ুন:
রাজশাহীতে ভাইয়ের হাতে ভাই খুন, গ্রেপ্তার ২
টাঙ্গাইলে পৃথক হত্যা মামলার ২ আসামি গ্রেপ্তার
তিনি আরো জানান, আটক শফির স্বীকারোক্তি অনুযায়ী তার পাহাড়ি আস্তানা থেকে অস্ত্র ও বিস্ফোরক উদ্ধার করা হয়। এরমধ্যে একটি ওয়ান শুটার গান, দুইটি একনলা বন্দুক, একটি এলজি, ১০টি এন্টি পারসোনাল মাইন, ১০টি ডেটোনেটর, ৫০ রাউন্ড তাজা রাইফেলের গুলি, ৫৩টি রাইফেলের খালি কার্তুজ, ছয়টি শর্টগানের খালি কার্তুজ, ৭৬৯ গ্রাম ক্রিস্টালমেথ (আইস) ও তিনটি গ্রেনেড রয়েছে।
লেফটেন্যান্ট কর্নেল কামরুল হাসান জানান, ২৮ বছর বয়সী শফি টেকনাফের হ্নীলা ইউনিয়নের নয়াপাড়া রোহিঙ্গা ক্যাম্পের বাসিন্দা। দীর্ঘদিন ধরে তিনি রোহিঙ্গা ক্যাম্প এলাকায় একটি সশস্ত্র ডাকাত দলের নেতৃত্ব দিয়ে আসছিলেন। তার নেতৃত্বে দলটি রোহিঙ্গা ও স্থানীয় বাঙালিদের জিম্মি করে পাহাড়ি এলাকায় ত্রাসের রাজত্ব কায়েম করেছিল।
আটক শফিকে টেকনাফ থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন র্যাবের এই কর্মকর্তা।
ঢাকা/তারেকুর/মাসুদ
.উৎস: Risingbd
এছাড়াও পড়ুন:
ঝগড়া থেকে দেয়ালে মাথা ঠোকা, সালমান-ঐশ্বরিয়ার সম্পর্কের বিষয়ে প্রকাশ্যে আনলেন প্রতিবেশী
বলিউডের ইতিহাসে সবচেয়ে আলোচিত প্রেম-বিচ্ছেদের একটি হলো ঐশ্বরিয়া রাই ও সালমান খানের সম্পর্ক। প্রেমের সূচনা হয়েছিল পর্দার আড়ালেই, কিন্তু আলোচনায় আসে ‘হাম দিল দে চুকে সনম’ ছবির মাধ্যমে। ছবির রোমান্স যেন বাস্তব জীবনের প্রতিচ্ছবি হয়ে উঠেছিল। অথচ সেই রূপকথার প্রেমই কিছুদিনের মধ্যে রূপ নেয় দুঃস্বপ্নে। সম্পর্ক ভেঙে যাওয়ার পর শুধু ব্যক্তিজীবন নয়, কর্মজীবনেও কঠিন আঘাত সহ্য করতে হয়েছিল ঐশ্বরিয়াকে।
প্রতিবেশীর চোখে সেই সময়
বিজ্ঞাপন জগতের কিংবদন্তি প্রহ্লাদ কাক্কর ছিলেন ঐশ্বরিয়ার ঘনিষ্ঠজন। ঐশ্বরিয়ার মায়ের একই ভবনে থাকতেন তিনি। সম্পর্কের শুরুর দিক থেকে ক্যারিয়ারের উত্থান—সবকিছু কাছ থেকে দেখেছেন তিনি। তাঁর মতে, সালমান ছিলেন ভীষণ আক্রমণাত্মক। ঐশ্বরিয়ার ওপর প্রভাব বিস্তার করতে চাইতেন। প্রহ্লাদ এক সাক্ষাৎকারে বলেন, ‘সালমান খুবই আক্রমণাত্মক ছিলেন। আমি একই ভবনে থাকতাম, সবকিছু শুনতাম-দেখতাম। ঝগড়া, চিৎকার, এমনকি দেয়ালে মাথা ঠোকা…এগুলো নিয়মিত ছিল। সম্পর্ক আসলে অনেক আগেই ভেঙে গিয়েছিল, শুধু ঘোষণাটা পরে এসেছে। বিচ্ছেদটা সবার মধ্যে স্বস্তি এনেছিল—ঐশ্বরিয়ার, তাঁর বাবা-মায়ের, এমনকি সালমানেরও।’