উপদেষ্টা আসিফের অনুসারীদের সঙ্গে বিএনপির কর্মীদের সংঘর্ষের ঘটনায় মামলা হয়নি
Published: 31st, July 2025 GMT
কুমিল্লার মুরাদনগরে স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভুঁইয়া এবং বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান কাজী শাহ মোফাজ্জল হোসেন কায়কোবাদের অনুসারীদের সংঘর্ষের ঘটনায় কোনো পক্ষই মামলা করেনি। ওই ঘটনায় আজ বৃহস্পতিবার সকাল সাড়ে ১০টা পর্যন্ত কাউকে আটক করা যায়নি বলে জানিয়েছে মুরাদনগর থানা-পুলিশ।
আজ সকালে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন মুরাদনগর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) জাহিদুর রহমান।
আরও পড়ুনমুরাদনগরে উপদেষ্টা আসিফের অনুসারীদের সঙ্গে বিএনপির নেতা-কর্মীদের পাল্টাপাল্টি ধাওয়া, আহত ৩৫১৬ ঘণ্টা আগেএর আগে গতকাল বুধবার বিকেলে উপজেলা সদরের আল্লাহু চত্বরে উপদেষ্টা আসিফের বিরুদ্ধে অপপ্রচার ও ষড়যন্ত্রের প্রতিবাদে বিক্ষোভ মিছিল এবং সমাবেশে অনুষ্ঠিত হয়। অভিযোগ আছে, এ সময় স্থানীয় সাবেক সংসদ সদস্য কাজী শাহ মোফাজ্জল হোসেন কায়কোবাদের অনুসারীরা সেখানে হামলা চালান। পরে আসিফের অনুসারীদের সঙ্গে তাঁদের পাল্টাপাল্টি ধাওয়া, ইটপাটকেল নিক্ষেপ ও সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। এতে ৭ সাংবাদিকসহ অন্তত ৩৫ জন আহত হন।
তবে আসিফ মাহমুদের অনুসারীদের দাবি, হামলায় তাঁদের পক্ষের অন্তত ৫০ জন আহত হয়েছেন। অন্যদিকে উপজেলা বিএনপির আহ্বায়ক মহিউদ্দিন অঞ্জনের দাবি, আসিফের অনুসারীরা আওয়ামী লীগের লোকজনসহ হামলা চালিয়ে তাঁদের পক্ষের অন্তত ১৫ জনকে আহত করেছেন।
আজ সকালে আসিফ মাহমুদের অনুসারী বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের (বর্তমানে কার্যক্রম স্থগিত) মুরাদনগর উপজেলার আহ্বায়ক উবায়দুল সিদ্দিকী প্রথম আলোকে বলেন, ‘আমরা শান্তিপূর্ণ কর্মসূচি পালন করছিলাম। কায়কোবাদের লোকজন আমাদের ওপর পরিকল্পিত হামলা চালিয়েছেন। তাঁরা শুধু আমাদের ওপরই নয়, গণমাধ্যমকর্মীদের ওপরও নির্মমভাবে হামলা চালিয়েছেন। আমরা এ ঘটনার নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাই। গতকালের হামলার ঘটনায় আমরা মামলার প্রস্তুতি নিচ্ছি। গতকাল আহত ব্যক্তিরা স্থানীয়ভাবে ও হাসপাতালে চিকিৎসা নিয়েছেন।’
আসিফের অনুসারীরা আওয়ামী লীগের লোকজন নিয়ে বিএনপির নেতা-কর্মীদের ওপর হামলা চালিয়েছেন অভিযোগ করে উপজেলা বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক কামাল উদ্দিন ভূঁইয়া বলেন, ‘পূর্বঘোষণা অনুযায়ী গতকাল ছাত্রদলের প্রোগ্রাম ছিল। সেখানে তাঁরা (আসিফের অনুসারীরা) পরিকল্পিতভাবে হামলা চালিয়েছেন। সবচেয়ে বড় সত্য হচ্ছে, মুরাদনগরে আসিফের অনুসারী বা এনসিপি নামে যাঁরা মাঠে আছেন, তাঁরা সবাই ফ্যাসিস্ট আওয়ামী লীগের লোক। গতকালের ঘটনায় আমাদের আহত নেতা-কর্মীরা হাসপাতালে চিকিৎসা নিয়েছেন। বিষয়টি নিয়ে দলীয় ফোরামে আলোচনার পর আমরা পরবর্তী কর্মসূচি বা আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করব।’
ওসি জাহিদুর রহমান বলেন, ‘অভিযোগ পেলে আমরা তদন্ত করে আইনগত ব্যবস্থা নেব। এ ছাড়া কাউকে আটকও করা হয়নি, তবে পুলিশ ঘটনাটি খতিয়ে দেখছে। বর্তমানে পরিস্থিতি শান্ত রয়েছে। কোনো অপ্রীতিকর ঘটনা যেন না ঘটে, এ জন্য পুলিশ সতর্ক রয়েছে।
.উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: র অন স র দ র স দ র অন স র র অন স র র ম র দনগর কর ম দ র র ঘটন য় উপদ ষ ট ব এনপ র গতক ল উপজ ল
এছাড়াও পড়ুন:
উপদেষ্টা আসিফের সমর্থকদের সঙ্গে বিএনপি নেতাকর্মীদের ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া
কুমিল্লার মুরাদনগর স্থানীয় সরকার উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়ার সমর্থকদের সঙ্গে বিএনপি নেতাকর্মীদের ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়ার ঘটনা ঘটেছে। এসময় আসিফ মাহমুদের পক্ষের ১০ থেকে ১৫ জন সমর্থক আহত হয়েছেন। তাদের মধ্যে একজন ইউপি সদস্য রয়েছেন।
বুধবার (৩০ জুলাই) বিকেলে উপজেলা সদরের আল্লাহ চত্বরে ঘটনাটি ঘটে।
এলাকাবাসী জানান, বুধবার বিকেলে পূর্ব ঘোষিত কর্মসূচি অনুযায়ী সদরের আল্লাহ চত্বরে উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদের সমর্থকরা বিক্ষোভ মিছিল নিয়ে জড়ো হন। সমাবেশ লক্ষ্য করে পার্শ্ববর্তী জেলা পরিষদের মার্কেট থেকে কয়েকটি ইট, পাটকেল নিক্ষেপ করা হয়। এরপর দুই পক্ষের মধ্যে ধাওয়া ও পাল্টা ধাওয়া শুরু হয়। এসময় উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদের ১০ থেকে ১৫ জন সমর্থক আহত হন, তাদের মধ্যে একজন ইউপি সদস্যও রয়েছেন।
আরো পড়ুন:
কুষ্টিয়া প্রেস ক্লাবে বিএনপির অভিযোগ বক্স, যা পাওয়া গেল
সরকারের একটি অংশ অপকৌশলের আশ্রয় নিচ্ছে: তারেক রহমান
মিছিল নিয়ে আসা নাগরিক সমাজের আহ্বায়ক মিনাজুল হক বলেন, “উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে বিএনপির লোকজন আমাদের ওপর হামলা চালিয়েছে। মিছিল নিয়ে আসার পর শত শত ইটপাটকেল ছুড়ে আমাদের ধাওয়া দিতে থাকে। আমাদের অনেক সমর্থক আহত হন।”
হামলার অভিযোগ অস্বীকার করেছেন বিএনপি নেতাকর্মীরা। বিএনপির মুরাদনগর উপজেলার আহ্বায়ক মহিউদ্দিন অঞ্জন বলেন, “তারা হামলা করার পর আমাদের ছেলেরা প্রতিরোধ করেছে।”
কুমিল্লার মুরাদনগর থানার তদন্ত কর্মকর্তা আমিন কাদের খান জানান, আজ মুরাদনগর সদরে বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ চলছিল। এ সময় পাশে অবস্থান করা কিছু লোক বিনা উসকানিতে তাদের লক্ষ্য করে ইটপাটকেল নিক্ষেপ করে। এরপরে দুইপক্ষের মধ্যে ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া শুরু হয়। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে পুলিশ কাজ করে।
ঢাকা/রুবেল/মাসুদ