বাংলাদেশের ব্যাংকিং খাত নানামুখী সমস্যায় জর্জরিত। উচ্চ খেলাপি ঋণ, মূলধনস্বল্পতা, তারল্যসংকট, উচ্চ পরিচালন ব্যয় এ দেশের ব্যাংকিং খাতের নিত্যদিনের সমস্যা।

এসব সমস্যার কারণও নানা রকম। কারণগুলো খুঁজে বের করে সমাধান করতে পারলে এ খাতের ঘুরে দাঁড়াতে খুব বেশি সময় লাগবে না। বাংলাদেশের ব্যাংকিং খাতকে একটি মৌল ভিত্তির ওপর দাঁড় করানোর জন্য গুরুত্বপূর্ণ কিছু সংস্কার করা জরুরি।

তাত্ত্বিকভাবে বিশ্বব্যাপী ব্যাংকের মালিক বলতে যারা মূলধন জোগান দেয় তাদেরই বোঝায়। বাস্তবে মূলধনের বড় জোগানদাতা হলেন আমানতকারীরা। মালিকেরা ঝুঁকি-সমন্বিত সম্পদের মাত্র ১২ দশমিক ৫ শতাংশ মূলধন সরবরাহ করেন।

বাকি মূলধনের সিংহভাগ আসে আমানতকারীর কাছ থেকে। তাই ব্যাংকের বোর্ডে মালিকানার ভিত্তিতে পরিচালক নিয়োগ করা গেলে শেয়ার মূলধন জোগানদাতাদের প্রতিনিধিত্ব থাকবে অনেক কম।

বোর্ডে সিদ্ধান্ত গ্রহণে তখন তাদের প্রভাবও কমে যাবে। কোনো ব্যাংকের প্রকৃত মালিক যে শেয়ার মূলধন জোগানদাতারা নন, এই বিষয়টি বিভিন্নভাবে প্রচার করে আমানতকারীদের সচেতন করে তুলতে হবে।

আরও পড়ুনব্যাংক সংস্কার: রাজনৈতিক অর্থনীতির সম্মিলিত সিদ্ধান্ত কেন প্রয়োজন০৩ জানুয়ারি ২০২৫

পরিবারকেন্দ্রিক মালিকানার আধিপত্য রোধ করা জরুরি। অনেক পরিচালক আছেন যাদের ন্যূনতম ব্যাংকিং জ্ঞান না থাকার পরও বোর্ডে বসে যান। তাদের সিদ্ধান্ত গ্রহণে অবদান প্রায় শূন্যের কাছে। তাই এক পরিবার থেকে সর্বোচ্চ দুজন পরিচালক সর্বোচ্চ দুই মেয়াদের জন্য নিয়োগ দেওয়ার বিধান করা যেতে পারে।

তবে এক পরিবার থেকে একজন পরিচালক দুই মেয়াদের জন্য নিয়োগের বিধান করতে পারলে আরও ভালো হবে।

গ্রাম থেকে শহরে মূলধন পাচার রোধ করা খুবই প্রয়োজন। গ্রামের মানুষ যে পরিমাণ আমানতের জোগান দেন, তার থেকে কম পরিমাণ ঋণ পেয়ে থাকেন।

যেমন বাংলাদেশ ব্যাংকের তথ্য অনুযায়ী ১৯৯১ সালে ব্যাংকিং খাতের মোট আমানতের ২১.

৪৫ শতাংশ গ্রামের জনগণ সরবরাহ করলেও তার বিপরীতে ১৯.৪ শতাংশ ঋণ পেয়েছেন; এ ক্ষেত্রে গ্রাম থেকে শহরে মূলধন পাচার হয়ে গেছে প্রায় ২ শতাংশীয় পয়েন্ট।

আবার ২০১০ সালে তারা ১২.৯৩ শতাংশ আমানতের বিপরীতে মাত্র ৮.০৪ শতাংশ ঋণ পেয়েছেন; ফলে মূলধন পাচার বেড়ে হয়েছে প্রায় ৫ শতাংশীয় পয়েন্ট।

আরও পড়ুনবিশ্বব্যাংকের সুপারিশে ব্যাংক খাতের রূপান্তর কতটা হবে০২ মে ২০২৫

সর্বশেষ তথ্য অনুযায়ী ২০২৩ সালে গ্রামের জনগণ ২১.২৭ শতাংশ আমানতের বিপরীতে মাত্র ১১.৯৮ শতাংশ ঋণ পেয়েছেন; এ ক্ষেত্রে মূলধন পাচারের পরিমাণ বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৯ শতাংশীয় পয়েন্টের ওপরে।

এভাবে গ্রামের মূলধন শহরে ধনিক শ্রেণির হাতে ঋণ হিসেবে চলে গিয়ে ঋণবৈষম্য সৃষ্টি করেছে। তাই গ্রামে আরও ঋণ প্রদানের ব্যবস্থা করে ঋণবৈষম্য কমাতে হবে।

একক গ্রাহকের ঋণসীমা কমাতে হবে, যা বর্তমানে একটি ব্যাংকের মোট মূলধনের ২৫ শতাংশ। কারণ, এতে ব্যাংকের মূলধন কয়েকজন গ্রাহকের হাতে কেন্দ্রীভূত হয়ে কেন্দ্রীভবন ঝুঁকি তৈরি করবে।

চারজন গ্রাহক যদি সর্বোচ্চ পরিমাণ ঋণ নিয়ে পরিশোধ না করে তাহলে ব্যাংকটি দেউলিয়া হওয়ার ঝুঁকিতে পড়ে যাবে।

কোনো ঋণের পরিমাণ একটি ব্যাংকের মূলধনের ১০ শতাংশ বা তার অধিক হলে তা বড় ঋণ হিসেবে গণ্য হয়। ব্যাংকগুলোকে বড় এবং দীর্ঘমেয়াদি ঋণ দেওয়ায় নিরুৎসাহিত করতে হবে।

আরও পড়ুনব্যাংকিং খাত ঘুরে দাঁড়াতে পারে কী করে১৮ ডিসেম্বর ২০২৪

এসব ঋণ থেকে ব্যাংকগুলোর অধিক মুনাফা করার সম্ভাবনা থাকলেও প্রচুর ঝুঁকি থেকে যায়। যত দিন পর্যন্ত ব্যবসায়ীরা ব্যাংক থেকে এ ধরনের ঋণের সুযোগ পেতে থাকবে তত দিন পর্যন্ত তারা শেয়ারবাজারের দিকে ধাবিত হবে না এবং এই মূলধন বাজারটিও বিকশিত হবে না।

ব্যাংকমালিকদের নিজ নিজ ব্যাংক থেকে ঋণ নেওয়ার পরিমাণও কমাতে হবে। বর্তমানে একজন পরিচালকের তাঁর সরবরাহকৃত মূলধনের ৫০ শতাংশ পর্যন্ত ঋণ নেওয়ার বিধান থাকলেও বাস্তবে তা অনেক বেশি।

অর্থাৎ অনিয়ম করে অনেক পরিচালক ৫০ শতাংশের বেশি ঋণ নিয়েছেন। যেহেতু কোনো মালিক তাঁর ব্যাংক থেকে ঋণ নিতে চাইলে স্বার্থের দ্বন্দ্বের (ঋণ মূল্যায়নের ক্ষেত্রে) বিষয়টি চলে আসে, তাই তাঁকে তাঁর ব্যাংক থেকে ঋণ দেওয়ার বিধান বিলোপ করা যেতে পারে। তিনি ভালো গ্রাহক হলে যেকোনো ব্যাংক থেকেই ঋণ পাবেন। তাঁর নিজের ব্যাংক থেকে ঋণ নিতে হবে, এমন কোনো কথা নেই।

ব্যাংকগুলোকে ক্ষুদ্র ও মাঝারি ঋণের দিকে বেশি নজর দিতে হবে। এসব ঋণের পরিচালন ব্যয় বেশি হওয়া সত্ত্বেও ব্যাংকের জন্য লাভজনক কারণ এদের পরিশোধের হার অনেক বেশি।

তারা অনেকে ভয়ও ব্যাংকে যায় না, কারণ ব্যাংকের পরিবেশ গরিববান্ধব নয়। ব্যাংকের অস্বাভাবিক সাজসজ্জা, ব্যাংকারদের ইংরেজি-বাংলা মিশ্রণে কথাবার্তা, পোশাক–পরিচ্ছদ (বিশেষ করে স্যুট-টাই) ও সর্বোপরি বেসরকারি ও বিদেশি ব্যাংক কর্মকর্তাদের গরিব গ্রাহকদের প্রতি তাচ্ছিল্যভাব কিংবা সেবা দিতে অনীহা গরিবদের ব্যাংকমুখী হতে বিরত রাখে।

এসব ঋণের খেলাপির পরিমাণ কম হওয়ায় মুনাফা বৃদ্ধিতে যথেষ্ট সহায়তা করে। আরও বড় কথা হলো এ ধরনের ঋণের মাধ্যমে আর্থিক অন্তর্ভুক্তি বাড়ে, ধনী-গরিব বৈষম্যও কমতে থাকে।

যদিও আর্থিক অন্তর্ভুক্তি, বৈষম্য হ্রাস, গরিবের ব্যাংক, প্রতিযোগিতা বৃদ্ধি—এসব বলে বলে বর্তমানে ব্যাংকের সংখ্যা ৬২-তে পৌঁছেছে। অথচ খোদ ঢাকা শহরেই অনেক মানুষের বিশেষ করে গরিবদের ব্যাংক হিসাব নেই।

তারা অনেকে ভয়ও ব্যাংকে যায় না, কারণ ব্যাংকের পরিবেশ গরিববান্ধব নয়। ব্যাংকের অস্বাভাবিক সাজসজ্জা, ব্যাংকারদের ইংরেজি-বাংলা মিশ্রণে কথাবার্তা, পোশাক–পরিচ্ছদ (বিশেষ করে স্যুট-টাই) ও সর্বোপরি বেসরকারি ও বিদেশি ব্যাংক কর্মকর্তাদের গরিব গ্রাহকদের প্রতি তাচ্ছিল্যভাব কিংবা সেবা দিতে অনীহা গরিবদের ব্যাংকমুখী হতে বিরত রাখে।

তাই কম সাজসজ্জার শাখা খুলে গরিবদের সেবা দেওয়ার ব্যবস্থা করতে হবে, যেখানে এসব গ্রাহক স্বাচ্ছন্দ্যে ব্যাংকিং সেবা নিতে পারবে। অথবা ব্যাংকগুলোকে শহরাঞ্চলে ক্ষুদ্র অর্থায়ন শাখা খুলতে নির্দেশ দিতে হবে, যার মাধ্যমে গরিব জনগোষ্ঠীকে ব্যাংকব্যবস্থার আওতায় নিয়ে আসা যায়।

আর্থিক স্বচ্ছতা নিশ্চিত করার জন্য ঋণ শ্রেণীকরণ সময় শ্রেণীকৃত ঋণের কোন অংশটি কত, তা তিন মাস অন্তর প্রকাশ করা দরকার। শ্রেণীকৃত ঋণ তিন ভাগে ভাগ করা হয়। যেমন নিম্নমান, সন্দেহজনক এবং মন্দ ও ক্ষতিজনক।

এই তিন শ্রেণির মধ্যে প্রথমটি কম খারাপ, দ্বিতীয়টি মোটামুটি ও তৃতীয়টি বেশি খারাপ। এমনও হতে পারে কোনো একটি ব্যাংকের শ্রেণীকৃত ঋণের প্রায় ৮৫ শতাংশই মন্দ ও ক্ষতিজনক, যা আদায় করার সম্ভাবনা একেবারেই কম।

আবার অন্য একটি ব্যাংকের শ্রেণীকৃত ঋণের ৩০ শতাংশ হয়তো মন্দ ও ক্ষতিজনক। এই দুটি ব্যাংকের শ্রেণীকৃত ঋণের পরিমাণ সমান হলেও তাদের মান হবে ভিন্ন।

স্বাধীন পরিচালকদের সংখ্যা বাড়াতে হবে, যাতে তাঁরা সিদ্ধান্ত গ্রহণে ভূমিকা রাখতে পারেন। পরিচালকের জন্য পরিমিত সম্মানীর ব্যবস্থা করে তাঁদের সিদ্ধান্তের জন্য জবাবদিহির আওতায় নিয়ে আসতে হবে, যাতে যে কেউ পরিচালক হওয়ার জন্য উদ্‌গ্রীব না হয়।

এ ক্ষেত্রে বর্তমান গভর্নরের স্বাধীন পরিচালকের সংখ্যা ৫০ শতাংশের বেশি করার পরিকল্পনা অত্যন্ত ইতিবাচক। তবে পরিচালক নিয়োগের ক্ষেত্রে প্রয়োজনীয় যোগ্যতা না থাকার পরও আমলানির্ভরতা কমাতে হবে।

অর্থঋণ আদালতের সংখ্যা বাড়িয়ে সেখানে প্রয়োজনীয়সংখ্যক লোকবল নিয়োগ দিয়ে আদালতের মামলাগুলো দ্রুত নিষ্পত্তির ব্যবস্থা করতে হবে। দীর্ঘদিনের পুঞ্জীভূত খেলাপি ঋণ কমানোর জন্য স্বাধীন ও কর্মক্ষম সম্পদ ব্যবস্থাপনা কোম্পানি গঠন করা প্রয়োজন।

এসব কোম্পানির কাছে ঋণ বিক্রির আগে ঋণমান মূল্যায়নের জন্য দেশীয় নির্ভরযোগ্য প্রতিষ্ঠান গড়ে তুলতে হবে। তাদের সম্পদ মূল্যায়নের সক্ষমতা বাড়াতে হবে।

ব্যাংক নিয়ন্ত্রণের জন্য বাংলাদেশ ব্যাংককে পূর্ণ স্বাধীনতা দিতে হবে। সরকারি ও বেসরকারি সব ধরনের ব্যাংক নিয়ন্ত্রণের ক্ষমতা বাংলাদেশ ব্যাংকের ওপর ন্যস্ত করতে হবে।

আরও পড়ুনকেন্দ্রীয় ব্যাংক সংস্কারের আলাপ কোথায়?২৫ জুন ২০২৫

তাই অর্থ মন্ত্রণালয়ের আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগ বিলোপ করে ব্যাংকিং খাতের দ্বৈতশাসন অবলুপ্ত করতে হবে। এই দ্বৈতশাসনের ফলে বাংলাদেশ ব্যাংক সরকারি ব্যাংকের অনিয়মের বিরুদ্ধে কোনো ব্যবস্থা নিতে পারে না।

বাংলাদেশে প্রায় সব সময়ই ১০-১৫টি ব্যাংক মূলধনসংকটে ভুগতে থাকে। কিছু কিছু ব্যাংক কাম্য মুনাফা অর্জন করতে না পারায় তাদের মূলধনের পরিমাণ বাড়াতে পারে না। আবার মুনাফা বেশি দেখিয়ে কোনো কোনো ব্যাংক লভ্যাংশ ঘোষণা করে মালিকদের সুবিধা দেওয়ার জন্য।

এসব প্রবণতা বন্ধ করতে হবে। লভ্যাংশ প্রদানের ক্ষমতা শুধু অর্জিত মুনাফার হারের সঙ্গে সম্পর্কিত না করে মূলধনের সঙ্গেও সম্পর্কিত করা উচিত, যাতে ব্যাংকগুলো মূলধন বজায় রাখার ক্ষেত্রে স্থিতিশীল অবস্থায় পৌঁছাতে পারে।

মূলধন বাড়লে ব্যাংকের যেমন ঋণদানের সক্ষমতা বাড়ে, তেমনি আর্থিক ক্ষতি মোকাবিলার ক্ষমতাও বৃদ্ধি পায়। তাই ব্যাংকগুলোকে মূলধন বৃদ্ধির দিকে নজর দিতে হবে।

উচ্চ খেলাপি ঋণ ও আর্থিক অব্যবস্থাপনার কারণে ব্যাংকিং খাতে প্রায়ই তারল্যসংকট দেখা যায়। আবার আমাদের দেশের মতো একটি অর্থনীতিতে এতগুলো ব্যাংকের উপস্থিতিও এই সংকটকে তীব্র করে তোলে।

তাই বাংলাদেশের অর্থনীতির আকার বিবেচনায় নিয়ে এ দেশের জনগণের আর্থিক অন্তর্ভুক্তি ও ব্যবসা-বাণিজ্যের সুষম বিকাশের জন্য কতগুলো সরকারি, বেসরকারি ও বিশেষায়িত ব্যাংক দরকার, তা নির্ধারণ করতে হবে।

অতিরিক্ত ব্যাংকের সংখ্যা যেন আমাদের অর্থনীতির জন্য এমনকি ব্যাংকিং খাতের জন্য সমস্যার কারণ না হয়ে দাঁড়ায়, তা বিবেচনায় নিয়ে ব্যাংকের সংখ্যা কাম্য পর্যায়ে নিয়ে আসতে হবে।

ড. মো. মাইন উদ্দিন, অধ্যাপক ও সাবেক চেয়ারম্যান, ব্যাংকিং অ্যান্ড ইনস্যুরেন্স বিভাগ, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়

*মতামত লেখকের নিজস্ব

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: শ র ণ ক ত ঋণ র ম লধন প চ র র ব যবস থ র পর ম ণ ম লধন র ব সরক র ম লধন ব র ম লধন ক র পর র ব পর ঋণ র প ঋণ প য র জন য আর থ ক গ র হক ক পর চ ক ষমত সমস য

এছাড়াও পড়ুন:

চব্বিশ নিয়ে যেন একাত্তরের মতো ‘চেতনা ব্যবসা’ না হয়: ফুয়াদ

আমার বাংলাদেশ (এবি) পার্টির সাধারণ সম্পাদক ব্যারিস্টার  আসাদুজ্জামান ফুয়াদ বলেছেন, ‘‘জুলাই, ২৪ নিয়ে যেন একাত্তরের মতো ‘চেতনা ব্যবসা’ না হয়। জুলাই থেকে শিখে আমরা একটি নতুন বাংলাদেশ গড়বো। যারা সঠিকভাবে দায়িত্ব পালন করতে পারবেন না তাদের বাস্তবতা অওয়ামী লীগের মতো হবে। 

শুক্রবার (১ আগস্ট) দুপুরে পটুয়াখালী প্রেসক্লাবের ড. আতহার উদ্দীন মিলনায়তনে জুলাই গণঅভ্যুত্থানের বর্ষপূর্তি উপলক্ষে চিত্র প্রদর্শনী ও আলোচনা সভা শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা বলেন। এর আগে তিনি চিত্র প্রদর্শনী উদ্বোধন করেন। 

আমার বাংলাদেশ পার্টির পটুয়াখালী জেলা শাখার আহ্বায়ক  প্রফেসর ড. এএসএম ইকবাল হোসাইনের সভাপতিত্বে চিত্র প্রদর্শনী অনুষ্ঠানে বক্তব্য দেন দলের কেন্দ্রীয় সিনিয়র ভাইস চেয়ারম্যান প্রফেসর ডা. মেজর আব্দুল ওহাব মিনার ও সাংগঠনিক সম্পাদক গাজী নাসীর। আলোচনা শেষে উপস্থিত সবাই জুলাই আন্দোলনের প্রদর্শিত চিত্র ঘুরে দেখেন।

ইমরান//

সম্পর্কিত নিবন্ধ