১২ বছর বয়সে পদক জিতে চীনা সাঁতারুর রেকর্ড
Published: 1st, August 2025 GMT
যু জিদির বয়স মাত্র ১২ বছর। এই বয়সী বেশির ভাগের পূর্ণ মনোযোগ থাকে পড়াশোনায়। তবে চীনের এই স্কুলবালিকা পুলে নেমে গড়েছে বিশ্বসাঁতারের নতুন রেকর্ড।
যু জিদিই এখন বিশ্বসাঁতার চ্যাম্পিয়নশিপে সর্বকনিষ্ঠ পদকজয়ী। সিঙ্গাপুরে প্রতিযোগিতার রিলে ইভেন্টে ব্রোঞ্জপদক জিতেছে চীন, আর সেই দলের অংশ হিসেবে যু জিদি এই অসাধারণ অর্জনে নাম লিখে নিয়েছে।
১২ বছর বয়সী যু জিদি বৃহস্পতিবারের ফাইনালে না খেললেও সপ্তাহের শুরুতে মেয়েদের ৪ গুণিতক ২০০ মিটার ফ্রিস্টাইল রিলের হিটে সাঁতরেছিল। সেখানে অংশগ্রহণের কারণেই পদক পাওয়ার যোগ্যতা অর্জন করে সে।
নিয়ম অনুযায়ী রিলের ক্ষেত্রে দল পদক পেলে হিটে অংশ নেওয়া সাঁতারুরাও পদক জেতার মর্যাদা পান। তাই যু জিদি ফাইনালে অংশ না নিয়েও পদক জিতেছে, তা–ও ইতিহাসের সবচেয়ে কম বয়সী হিসেবে। এই ইভেন্টে সোনা জিতেছে অস্ট্রেলিয়া এবং রুপা গেছে যুক্তরাষ্ট্রের দখলে। এই দুই দেশের চেয়ে পিছিয়ে থেকে তৃতীয় হয়েছে চীন।
আরও পড়ুন১২ বছর বয়সেই বিশ্ব চ্যাম্পিয়নশিপ সাঁতারের পুল–কাঁপানো মেয়েটি কে২৯ জুলাই ২০২৫যু জিদি বিশ্বসাঁতার চ্যাম্পিয়নশিপে রেকর্ড গড়লেও বিশ্ব রেকর্ডটি তার নয়। ১৯৩৬ বার্লিন অলিম্পিকে ১২ বছর পূর্ণ হওয়ার এক মাস আগেই ২০০ মিটার ব্রেস্টস্ট্রোকে ব্রোঞ্জ জিতেছিল ডেনমার্কের ইনগে সোরেনসেন। আর যু জিদির বয়স এখন ১২ বছর ৯ মাস।
পুলে ঝড় তোলা যু জিদি.উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: পদক জ ত ১২ বছর র কর ড র বয়স
এছাড়াও পড়ুন:
নারীরা কেন পুরুষদের তুলনায় বেশিবার প্রস্রাব করেন?
একজন পুরুষ মূত্রথলিতে অনায়াসে ৪০০ থেকে ৬০০ মিলিলিটার প্রস্রাব ধারন করতে পারে। একজন নারীরও এই সক্ষমতা রয়েছে। তারপরেও নারীরা পুরুষের চেয়ে বেশিবার প্রস্রাব করে। এর পেছনে বেশ কয়েকটি কারণ রয়েছে।
চিকিৎসকদের মতে, ‘‘মূত্রথলির ধারণ ক্ষমতা এক হলে এর চারপাশে যেসব অঙ্গ থাকে, তা প্রস্রাব লাগার অনুভূতিতে পার্থক্য তৈরি করে। আর এখান থেকেই নারী ও পুরুষের মূত্রথলির পার্থক্যের শুরু।পুরুষদের ক্ষেত্রে দেখা যায়, মূত্রথলি প্রোস্টেটের ওপরে এবং রেকটামের (মলদ্বারের) সামনে থাকে। আর নারীদের ক্ষেত্রে এটি একটি অপেক্ষাকৃত সংকীর্ণ পেলভিক অঞ্চলে থাকে।’’
নারীরা গর্ভাবস্থায় বার বার প্রস্রাব করেন। এই সময়ে জরায়ু মূত্রথলিকে চেপে ধরে। আর সেকারণেই শেষ তিন মাসে নারীদের প্রায় প্রতি ২০ মিনিট পরপর বাথরুমে যেতে হয়।
আরো পড়ুন:
প্রতিদিন এন্টাসিড খাচ্ছেন? কোন কোন রোগ হতে পারে জেনে নিন
যেসব রোগ থাকলে ডাবের পানি পান করা উচিত নয়
বেশ কয়েকটি গবেষণায় দেখা গেছে, নারীরা তুলনামূলকভাবে কম প্রস্রাব জমলেই মূত্রথলি ভর্তি হওয়ার অনুভব পেতে পারেন। এর কারণ হরমোনের প্রভাব। তাছাড়া সংবেদনশীলতার কারণেও এমন হয়।
নারীদের ক্ষেত্রে সন্তান প্রসব, হরমোন পরিবর্তন এবং বয়স বৃদ্ধির সাথে সাথে এই পেশিগুলো দুর্বল হয়ে যেতে পারে। তখন নারীদের মূত্রথলির ‘ধরে রাখা’ ও ‘ছাড়ার’ মধ্যে নিয়ন্ত্রণের ভারসাম্য নষ্ট হয়।মূত্রনালীর শেষপ্রান্তে থাকা স্পিঙ্কটার নামের পেশিটি তার শক্তি হারাতে পারে বলে বার বার প্রস্রাব হতে পারে।
নারীরা ঘর থেকে বের হওয়ার আগে ইচছাকৃতভাবে প্রস্রাব করেন। যাতে বাইরে গেলে পাবলিক টয়লেট ব্যবহার করতে না নয়। এটা এক রকম সংস্কৃতি। এমনকি ছোট শিশু মেয়েকেও এই শিক্ষাই দেওয়া হয়। যার ফলে এক ধরণের সংবেদনশীলতা তৈরি হয়ে যায়। এই সংবেদনশীলতাও বার বার প্রস্রাব হওয়ার একটি কারণ।
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, ‘‘পুরুষের চেয়ে নারীর বার বার প্রস্রাব হওয়ার পেছনে ইচ্ছাশক্তির দুর্বলতা বা ছোট মূত্রথলির ব্যাপার নেই। বরং এটি শরীরের গঠন, অভ্যাস আর হরমোনের প্রভাবে হয়ে থাকে।’’
তথ্যসূত্র: বিবিসি
ঢাকা/লিপি