পরীক্ষা না দিয়েও পাস ছাত্রলীগ নেত্রী, ৬ মাসেও জমা হয়নি তদন্ত প্রতিবেদন
Published: 2nd, August 2025 GMT
বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ে (বেরোবি) নিষিদ্ধ ঘোষিত ছাত্রলীগের এক নেত্রী মিডটার্ম পরীক্ষায় অংশ না নিয়েও পাস করার অভিযোগে গঠিত তদন্ত কমিটি ছয় মাসেও প্রতিবেদন জমা দিতে পারেনি।
নিষিদ্ধ ঘোষিত ছাত্রলীগের ওই নেত্রীর নাম সুরাইয়া ইয়াসমিন ঐশী। তিনি বেরোবি শাখা ছাত্রলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক ও গণিত বিভাগের শিক্ষার্থী।
অভিযোগে জানা গেছে, গত বছর ডিসেম্বরে অনুষ্ঠিত স্নাতকোত্তরের প্রথম সেমিস্টারের মিডটার্ম পরীক্ষায় অংশ না নিয়েই পাস করেছেন সুরাইয়া ইয়াসমিন ঐশী। এতে সহযোগিতা করেছেন ওই বিভাগের আওয়ামীপন্থি শিক্ষকরা। বিষয়টি জানাজানি হলে গত ২২ জানুয়ারি বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন তিন সদস্যের একটি তদন্ত কমিটি গঠন করে। কিন্তু এখনো তদন্ত শেষ হয়নি।
আরো পড়ুন:
হাতে সময় নিয়ে বের হতে এইচএসসি-বিসিএস পরীক্ষার্থীদের আহ্বান ডিএমপির
বেরোবির স্নাতকে ভর্তি শুরু রবিবার
তার সহপাঠীদের দাবি, তারা ঐশীকে মিডটার্ম পরীক্ষায় অংশ নিতে দেখেননি। গত বছরের ১৬ জুলাই ছাত্রলীগের হামলায় আবু সাঈদ মারা যাওয়ার পর থেকে ঐশী আত্মগোপনে রয়েছেন।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে শুরুতে ঐশী ফোন রিসিভ করেননি। পরে হোয়াটসঅ্যাপে তিনি পরীক্ষায় অংশগ্রহণের দাবি করেন। তার বক্তব্য এবং উপস্থিতির তথ্যে গরমিল হলে বিতর্ক আরো ঘনীভূত হয়।
এ ঘটনায় বিশ্ববিদ্যালয় জুড়ে তীব্র প্রতিক্রিয়ার সৃষ্টি হলে অভিযুক্ত শিক্ষক গণিত বিভাগের অধ্যাপক ড.
তদন্ত প্রতিবেদন জমা না দেওয়ায় ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন বেরোবি শাখা ছাত্রদলের আহ্বায়ক আমিন আল আমিন। তিনি বলেন, “যারা জুলাই আন্দোলনে সাধারণ শিক্ষার্থীদের ওপর হামলা চালিয়েছে, তাদের নেত্রী কীভাবে পরীক্ষা না দিয়ে পাস করেন? এখানে শিক্ষকদেরও সংশ্লিষ্টতা রয়েছে। তদন্ত কমিটি গঠন হলেও ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে না।”
তিনি বলেন, “আমরা আগেও দেখেছি, অনেক তদন্ত কমিটি গঠিত হয়েছে। কিন্তু কোনো ফল আসেনি। ফলে শিক্ষার্থীরা প্রশাসনের ওপর থেকে আস্থা হারাচ্ছেন। আমরা চাই দ্রুত কার্যকর ব্যবস্থা নেওয়া হোক।”
তদন্ত কমিটির আহ্বায়ক, সাবেক পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক ও রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক তানজিউল ইসলাম জীবন বলেন, “প্রতিবেদন প্রায় তৈরি আছে। এখন জমা দেওয়া বাকি। দুই-একদিনের মধ্যেই জমা দেওয়া হবে।”
ঢাকা/সাজ্জাদ/মেহেদী
উৎস: Risingbd
কীওয়ার্ড: চ কর চ কর অভ য গ পর ক ষ য় অ শ
এছাড়াও পড়ুন:
জকসুর গঠন ও পরিচালনা বিধিমালা, নির্বাচনী আচরণবিধির সংশোধন চায় ছাত্রদল
জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় শিক্ষার্থী সংসদ (জকসু) গঠন ও পরিচালনা বিধিমালা এবং নির্বাচনী আচরণবিধি সংশোধনে নির্বাচন কমিশনকে স্মারকলিপি দিয়েছে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রদল। সোমবার প্রধান নির্বাচন কমিশনার অধ্যাপক মোস্তফা হাসানের কাছে এ স্মারকলিপি দেন ছাত্রদলের নেতারা।
স্মারকলিপিতে বলা হয়, ‘আসন্ন জকসু নির্বাচনকে ঘিরে বিভিন্ন গোষ্ঠী জকসু সংবিধি এবং নির্বাচনী আচরণ বিধিমালা নিয়ে বিভ্রান্তিকর প্রচারণা চালাচ্ছে। আমরা বিশ্বাস করি, জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের নির্বাচন কমিশন একটি নিরপেক্ষ ও সুষ্ঠু নির্বাচন নিশ্চিত করার জন্য দায়বদ্ধ। ন্যায্য ও স্বচ্ছ নির্বাচন নিশ্চিতে আমাদের অনুরোধ, ভোটার তালিকা প্রকাশের সময় প্রত্যেক ভোটারের ছবিসহ তালিকা প্রকাশ করতে হবে। নির্বাচনে অমোচনীয় কালি ব্যবহার বাধ্যতামূলক করতে হবে এবং স্বচ্ছ, নাম্বারযুক্ত ব্যালট বক্স রাখা আবশ্যক।’
স্মারকলিপিতে আরও বলা হয়, ব্যালট ছাপার সংখ্যা, ভোট প্রদানকারীর সংখ্যা এবং নষ্ট ব্যালটের তথ্য প্রকাশ করতে হবে। মিডিয়া ট্রায়াল বা ভুল তথ্য প্রচার হলে সংশ্লিষ্ট সাংবাদিকের বিরুদ্ধে কেন্দ্র থেকে সরাসরি ব্যবস্থা নিতে হবে। সরকার অনুমোদিত সব মিডিয়াকে নির্বাচনকালীন সময়ে পূর্ণ স্বাধীনতা দিতে হবে।
স্মারকলিপিতে বলা হয়, ডাকসুর তফসিল ঘোষণার ৪১ দিন, চাকসুর ৪৪ দিন, রাকসুর ৮০ দিন এবং জাকসুর তফসিল ঘোষণার ৩১ দিন পর নির্বাচন হয়েছে। যেহেতু জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় একটি অনাবাসিক বিশ্ববিদ্যালয়, তাই শিক্ষার্থীদের সঙ্গে যোগাযোগ স্থাপনের জন্য পর্যাপ্ত সময় দিতে হবে। এ ছাড়া বাকি চার বিশ্ববিদ্যালয়ের তফসিল ঘোষণার সময় ও নির্বাচনের মধ্যবর্তী পার্থক্য বিবেচনা করে জকসু নির্বাচনের তারিখ নির্ধারণ করতে হবে।
জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রদলের সদস্যসচিব শামসুল আরেফিন বলেন, ‘জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা যাতে সুষ্ঠু একটা নির্বাচনে অংশগ্রহণের সুযোগ পায়, এজন্য ছাত্রদল নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছে। এরই ধারাবাহিকতায় আজকে আমরা স্মারকলিপি দিয়েছি। আশা করছি, নির্বাচন সুষ্ঠু হওয়ার জন্য নির্বাচন কমিশন আমাদের দাবিগুলো মেনে নেবে।’