শাড়ি চুড়ি নিয়ে ভৈরব থানায় হাজির জনতা
Published: 3rd, August 2025 GMT
কিশোরগঞ্জের ভৈরবে অহরহ ছিনতাইয়ের ঘটনায় অতিষ্ঠ হয়ে অভিনব প্রতিবাদ করেছেন স্থানীয়রা। পুলিশ ছিনতাইয়ের ঘটনা সামাল দিতে ব্যর্থ হচ্ছে এমন অভিযোগ তুলে থানার সামনে বিক্ষোভ করেছেন তারা। এসময় আন্দোলনকারীরা ওসির জন্য শাড়ি ও চুরি নিয়ে যান।
শনিবার (২ আগস্ট) বিকেল ৫টার দিকে ‘ভৈরবের সব সাধারণ নাগরিক’- এর ব্যানারে এই কর্মসূচির আয়োজন করা হয়।
আন্দোলনকারীরা ছিনতাইকারীদের প্রতিরোধে পুলিশকে তিনদিনের আল্টিমেটাম দেন। ওসি খন্দকার ফুয়াদ (রুহানী) ও জ্যেষ্ঠ উপ-পরিদর্শক (এসআই) এমদাদুর রহমান থানার বাইরে গিয়ে ক্ষুব্ধ ব্যক্তিদের নিবৃত্ত করার চেষ্টা করেন।
আরো পড়ুন:
রবির স্থায়ী ক্যাম্পাসের দাবিতে মহাসড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ
বাগেরহাটে সংসদীয় আসন কমানোর প্রতিবাদে বিক্ষোভ
আন্দোলনকারীরা জানান, ভৈরব শহরের সড়ক এবং গলি এখন আর নিরাপদ না। রাত-দিনে মানুষজন ছিনতাইকারীর কবলে পড়ে সর্বস্ব খোয়াচ্ছেন। ছিনতাইকারীরা কেবল মুঠোফোন ও টাকা নিয়ে শান্ত হচ্ছে না, সব দিয়ে দেওয়ার পরও ছুরিকাঘাত করে পথচারীদের জখম করছে। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর ব্যর্থতা পদে পদে দৃশ্যমান হচ্ছে। এ অবস্থায় ভৈরবে স্বাভাবিক জীবনযাপন প্রায় অসম্ভব হয়ে পড়েছে। পুলিশ সক্রিয় থাকলে পরিস্থিতি এতটা নাজুক হতো না বলেও জানান তারা।
বিক্ষোভকারীরা জানান, পুলিশের ব্যর্থতার জন্যই উপহার হিসেবে ওসির জন্য শাড়ি ও চুড়ি নিয়ে যাওয়া হয়। ওসি যেন শাড়ি-চুড়ি পড়ে অফিস করেন।
এ বিষয়ে জানতে ভৈরব থানার ওসি খন্দকার ফুয়াদ (রুহানী) ফোন করা হলেও তিনি কল রিসিভ করেননি।
থানায় বিক্ষোভ করার আগে ঢাকা-সিলেট মহাসড়কের মুক্তিযুদ্ধের স্মৃতি ভাস্কর্য ‘দুর্জয় ভৈরব’ চত্বরে ছাত্র ও যুবসমাজের ব্যানারে বিক্ষোভ সভা হয়।
সভায় বক্তব্য দেন- মনিরুজ্জামান, আজহারুল ইসলাম, নূরে আলম, শাহরিয়ার মোস্তুফা, মো.
বক্তারা বলেন, আগে ভৈরবের ১ নম্বর সমস্যা ছিল মাদক। ভৈরবে মাদক কমেনি, বেড়েছে। এখন ছিনতাইকে ভৈরবের ১ নম্বর সমস্যা ধরা হয়। ছিনতাই ইস্যুতে ভৈরবের ঘরে ঘরে আতঙ্ক। সমস্যা সমাধানে নাগরিক সমাজের নানা উদ্যোগেও প্রত্যাশিত ফল আসছে না। এ ক্ষেত্রে পুলিশও ব্যর্থ। ফলে দিন দিন ছিনতাই না কমে, বরং বাড়ছে। আগে রাতে ছিনতাই হতো, এখন দিনেও হচ্ছে।
ঢাকা/রুমন/মাসুদ
উৎস: Risingbd
এছাড়াও পড়ুন:
জকসুর গঠন ও পরিচালনা বিধিমালা, নির্বাচনী আচরণবিধির সংশোধন চায় ছাত্রদল
জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় শিক্ষার্থী সংসদ (জকসু) গঠন ও পরিচালনা বিধিমালা এবং নির্বাচনী আচরণবিধি সংশোধনে নির্বাচন কমিশনকে স্মারকলিপি দিয়েছে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রদল। সোমবার প্রধান নির্বাচন কমিশনার অধ্যাপক মোস্তফা হাসানের কাছে এ স্মারকলিপি দেন ছাত্রদলের নেতারা।
স্মারকলিপিতে বলা হয়, ‘আসন্ন জকসু নির্বাচনকে ঘিরে বিভিন্ন গোষ্ঠী জকসু সংবিধি এবং নির্বাচনী আচরণ বিধিমালা নিয়ে বিভ্রান্তিকর প্রচারণা চালাচ্ছে। আমরা বিশ্বাস করি, জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের নির্বাচন কমিশন একটি নিরপেক্ষ ও সুষ্ঠু নির্বাচন নিশ্চিত করার জন্য দায়বদ্ধ। ন্যায্য ও স্বচ্ছ নির্বাচন নিশ্চিতে আমাদের অনুরোধ, ভোটার তালিকা প্রকাশের সময় প্রত্যেক ভোটারের ছবিসহ তালিকা প্রকাশ করতে হবে। নির্বাচনে অমোচনীয় কালি ব্যবহার বাধ্যতামূলক করতে হবে এবং স্বচ্ছ, নাম্বারযুক্ত ব্যালট বক্স রাখা আবশ্যক।’
স্মারকলিপিতে আরও বলা হয়, ব্যালট ছাপার সংখ্যা, ভোট প্রদানকারীর সংখ্যা এবং নষ্ট ব্যালটের তথ্য প্রকাশ করতে হবে। মিডিয়া ট্রায়াল বা ভুল তথ্য প্রচার হলে সংশ্লিষ্ট সাংবাদিকের বিরুদ্ধে কেন্দ্র থেকে সরাসরি ব্যবস্থা নিতে হবে। সরকার অনুমোদিত সব মিডিয়াকে নির্বাচনকালীন সময়ে পূর্ণ স্বাধীনতা দিতে হবে।
স্মারকলিপিতে বলা হয়, ডাকসুর তফসিল ঘোষণার ৪১ দিন, চাকসুর ৪৪ দিন, রাকসুর ৮০ দিন এবং জাকসুর তফসিল ঘোষণার ৩১ দিন পর নির্বাচন হয়েছে। যেহেতু জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় একটি অনাবাসিক বিশ্ববিদ্যালয়, তাই শিক্ষার্থীদের সঙ্গে যোগাযোগ স্থাপনের জন্য পর্যাপ্ত সময় দিতে হবে। এ ছাড়া বাকি চার বিশ্ববিদ্যালয়ের তফসিল ঘোষণার সময় ও নির্বাচনের মধ্যবর্তী পার্থক্য বিবেচনা করে জকসু নির্বাচনের তারিখ নির্ধারণ করতে হবে।
জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রদলের সদস্যসচিব শামসুল আরেফিন বলেন, ‘জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা যাতে সুষ্ঠু একটা নির্বাচনে অংশগ্রহণের সুযোগ পায়, এজন্য ছাত্রদল নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছে। এরই ধারাবাহিকতায় আজকে আমরা স্মারকলিপি দিয়েছি। আশা করছি, নির্বাচন সুষ্ঠু হওয়ার জন্য নির্বাচন কমিশন আমাদের দাবিগুলো মেনে নেবে।’