জলাবদ্ধতা নিরসনে প্রধান উপদেষ্টা ও ডিসিকে স্মারকলিপি প্রদান
Published: 3rd, August 2025 GMT
ফতুল্লা ইউনিয়নের লালপুর ও পৌষার পুকুরপাড়সহ জলাবদ্ধতা আক্রান্ত এলাকাগুলোর স্থায়ী সমাধানের দাবিতে জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ জাহিদুল ইসলাম মিঞার কাছে স্মারকলিপি প্রদান করেছেন নারায়নগঞ্জ চেম্বার অব কমার্স এন্ড ইন্ডাস্ট্রিজের পরিচালক রিয়াদ মোহাম্মদ চৌধুরীর নেতৃত্বে স্থানীয় ভুক্তভোগী বাসিন্দারা।
একইসাথে প্রধান উপদেষ্টা ড.
রবিবার (৩ আগস্ট) জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ে স্মারকলিপি প্রদান করা হয়। স্মারকলিপিতে ফতুল্লা ইউনিয়নের ০১, ০২, ০৩, ০৪, ০৫ ও ০৬ নম্বর ওয়ার্ডের ভয়াবহ জলাবদ্ধতা নিরসনের জন্য পাঁচ দফা দাবি তুলে ধরা হয়।
স্মারকলিপিতে উল্লেখ করা হয়, ফতুল্লা ইউনিয়নের মধ্য দিয়ে প্রবাহিত নলখালি ও বাগডুমারী খাল দীর্ঘ প্রায় ৪০ বছর ধরে খনন না হওয়ায় এবং শিল্পবর্জ্য ও মানবসৃষ্ট বর্জ্যে ভরাট হয়ে যাওয়ায় খালের স্বাভাবিক প্রবাহ বন্ধ হয়ে গেছে।
এতে অল্প বৃষ্টিতেই লালপুর, পৌষার পুকুরপাড় ও ইসদাইর এলাকায় জলাবদ্ধতা সৃষ্টি হয়। এছাড়া রেলওয়ের ডাবল লাইন প্রকল্প বাস্তবায়নের সময় পানি নিষ্কাশনের পথগুলো বন্ধ হয়ে যাওয়ায় জলাবদ্ধতা আরও ভয়াবহ রূপ নিয়েছে।
উল্লেখিত সমস্যা সমাধানে স্মারকলিপিতে পাঁচ দফা প্রস্তাব দেওয়া হয়:
১. জেলা পরিষদের বর্তমান পাম্পের স্থানে পানি উন্নয়ন বোর্ডের মাধ্যমে উচ্চ ক্ষমতাসম্পন্ন পাম্প স্টেশন স্থাপন।
২. নলখালি ও বাগডুমারীসহ ডিএনডি প্রকল্পের আওতাভুক্ত সকল খাল পুনঃখনন করে কমপক্ষে ১০ ফুট গভীর করা।
৩. লালপুর-পৌষার পুকুরপাড় থেকে নলখালি খাল পর্যন্ত ৫-৭ ফুট গভীরতার বক্স ড্রেন নির্মাণ এবং ২-৩ ফুট উচ্চতার রাস্তা নির্মাণ।
৪. রেলওয়ের পানি প্রবাহ বন্ধকারী বাধ অপসারণ করে পানির স্বাভাবিক গতি ফিরিয়ে আনা।
৫. খালের সাথে সংযুক্ত বন্ধ হয়ে যাওয়া ড্রেনের মুখসমূহ পরিষ্কার করে পানির প্রবাহ নিশ্চিত করা।
স্মারকলিপি প্রদান শেষে নারায়ণগঞ্জ চেম্বার অফ কমার্স এন্ড ইন্ডাস্ট্রির পরিচালক রিয়াদ মোহাম্মদ চৌধুরী বলেন, “বছরের পর বছর ধরে আমরা পানিবন্দি অবস্থায় মানবেতর জীবনযাপন করছি।
দ্রুত প্রশাসনিক পদক্ষেপ না নিলে পরিস্থিতি আরও ভয়াবহ হবে। জেলা প্রশাসক আমাদের দুর্ভোগ নিরসনে দ্রুত পদক্ষেপ নেওয়ার আশ্বাস দিয়েছেন।”
স্মারকলিপি প্রদানকালে উপস্থিত নারায়নগঞ্জ চেম্বার অব কমার্স এন্ড ইন্ডাস্ট্রি পরিচালক রিয়াদ মোহাম্মদ চৌধূরী, ফতুল্লা থানা বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম সাধারন সম্পাদক রুহুল আমিন শিকদার,ফতুল্লা থানা স্বেচ্ছাসেবক দলের আহবায়ক জাকির হোসেন রবিন,ফতুল্লা থানা যুব দলের যুগ্ম আহবায়ক আব্দুল খালেক টিপু,জেলা কৃষক দলের যুগ্ম আহবায়ক জুয়েল আরমান,ফতুল্লা থানা বিএনপির ছাত্র বিষয়ক সম্পাদক সাগর সিদ্দিকী,ফতুল্লা ইউনিয়ন ৪ নং ওয়ার্ড ইউপি সদস্য কাজী মাঈনুদ্দিন,লালপুর-পৌষাপুকুর পাড় পাঞ্চায়েত কমিটির সভাপতি মোসলেম উদ্দিন মুসা, সাধারন সম্পাদক আব্দুল বারী,সহ সভাপতি আজাদুর রহমান আজাদ,রেজাউল হক চেঙ্গিস,স্বেচ্ছাসেবক দল নেতা মিজানুর রহমান মিজান,ফেরদৌস পারভেজ ড্যানি,গাবতলী মাজার রোডের তাতা, মুকুল, সামছুল ইসলাম, লালপুর -আলআমিনবাগ পঞ্চায়েত কমিটির সভাপতি আরিফুর রহমান জনি,সাধারন সম্পাদক রফিকুল ইসলাম রফিক সহ ভুক্তভোগী এলাকাবাসী।
উৎস: Narayanganj Times
কীওয়ার্ড: ন র য়ণগঞ জ স ম রকল প ম হ ম মদ প রব হ
এছাড়াও পড়ুন:
নারায়ণগঞ্জ-৪ (ফতুল্লা) আসনে প্রার্থী হবেন কেন্দ্রীয় কৃষকদল নেতা শরিফ মোল্লা
নারায়ণগঞ্জ-৪(ফতুল্লা) আসনে নির্বাচনে অংশ নেয়ার ঘোষণা দিলেন ছাত্রদল থেকে উঠে আসা কেন্দ্রীয় কৃষকদলের সহ-সাধারণ সম্পাদক এড. শরিফুল ইসলাম মোল্লা। শনিবার দুপুরে ফতুল্লা প্রেসক্লাবে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলন করে এই ঘোষণা দিয়েছেন।
সংবাদ সম্মেলনে তিনি বলেন, আমি এই এলাকারই সন্তান, এই এলাকায় আমার জন্ম। আমাদের পূর্বপুরুষ থেকে শুরু করে আমাদের সন্তানদের জন্ম এই ফতুল্লা এলাকায়। ফতুল্লার মাটি ও মানুষের সাথে মিশে আছে আমাদের জীবন।
এই এলাকা আমাদের খুবই আপন সেই ১৯৮৮ সাল থেকে অত্র এলাকার সকল গ্রাম ও গঞ্জে আমি বিচরণ করেছি বিএনপি করায় কারনে। এই এলাকার বিএনপি নেতা থেকে শুধু করে সাধারণ জনগণ সবাই আমরা একই পরিবারের লোক।
তাই নতুন করে চিন্তা আমাদের করতে হচ্ছে আগামী দিনে আমরা ফতুল্লার সংসদ সদস্য ফতুল্লার সন্তানকে নির্বাচিত করব। কারন আমরা দেখেছি অতীতে নারায়ণগঞ্জ-৪ আসনে অন্য এলাকার অথবা অন্য জেলার নেতাকে এমপি নির্বাচিত করে ফতুল্লাবাসী সবসময় অবহেলিত।
ফতুল্লার উন্নয়নের জন্য ফতুল্লার সন্তান এমপি নির্বাচিত হলে অবহেলিত ফতুল্লায় ব্যাপক উন্নয়ন হবে ইনশাল্লাহ। এবার সুযোগ এসেছে সঠিক নেতৃত্ব বেছে নেওয়ার। অতএব ফতুল্লার সন্তান হিসেবে আমি আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচনে সংসদ সদস্য পদে নির্বাচিত করতে ইচ্ছা প্রকাশ করছি। আমি মেড ইন ফতুল্লা, মেড বাই জাতীয়তাবাদী ছাত্রদল।
শরিফুল ইসলাম মোল্লা দীর্ঘ ৩৭ বৎসর যাবৎ বিএনপির রাজনীতির সাথে জড়িত। ১৯৮৮ সালে কুতুবপুর ইউনিয়নের সাবেক এ নং ওয়ার্ড ছাত্রদলের সাধারন সম্পাদক নির্বাচিত হই। ১৯৮৯ সালের ১৭ই ফেব্রুয়ারী ফতুল্লা থানা ছাত্রদলের যুগ্ম-আহবায়ক নির্বাচিত হই।
১৯৮১ সালের জুন মাসে সম্মেলনের মাধ্যমে ফতুল্লা খানা ছাত্রদলের সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত হই। যে সম্মেলনে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন মরহুম আবদুল মতিন চৌধুরী, বিশেষ অতিথি ছিলেন সাবেক মন্ত্রি মীর শওকত আলী, জনাব মির্জা আব্বাস, জনাব ফজলুল হক মিলন সহ অন্যানা কেন্দ্রীয় নেতৃবৃন্দ। ১৯৮৯ সাল থেকে ১৯৯৩ সাল পর্যন্ত ছাত্রদলের সাধারণ সম্পাদক হিসেবে ১৯৯০এর গন আন্দোলনে অগ্রনী ভূমিকা পালন করি এবং ফতুয়া বানা সর্বদলীয় ছাত্র ঐক্যের যুগ্ম আহবায়কের দায়িত্ব পালন করি। ১৯৯২ সালে অনুষ্ঠিত সরকারী তোলারাম কলেজ ছাত্র সংসদে নামি ও সাংস্কৃতিক সম্পাদক পথে নির্বাচন করি। ১৯৯৩ সালে ফতুল্লা থানা কৃষক দলের আহবায়ক এবং একই সালে সম্মেলন করে ফতুল্লা থানা কৃষক দলের সভাপতি নির্বাচিত হই। ১৯৯৪ সাল নারায়নগঞ্জ জেলা কৃষক দলের যুগ্ম-আহবায়ক এবং একই সালে সম্মেলন করে নারায়নগঞ্জ জেলা কৃষক দলের সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত হই। ১৯৯৮ সালে কৃষক দলের কেন্দ্রীয় সম্মেলনের মাধ্যমে কৃষক দলের কেন্দ্রীয় কমিটির সহ-প্রচার সম্পাদক নির্বাচিত হই (মাহবুবুল আলম ভারা শামসুজ্জামান দুদু কমিটি) (মির্জা ফখবুল ইসলাম শামসুজ্জামান দুদু কমিটি)। ২০০২ সালে পুনরায় জেলা কৃষক দলের সম্মেলনের মাধ্যমে ২য় বার সাধারণ সম্পাদক এবং ফতুল্লা দানা বিএনপির ছাত্র বিষয়ক সম্পাদক নির্বাচিত হই। ২০১৪ সালের মার্চ মাসে নারায়নগঞ্জ জেলা কৃষক দলের সভাপতি নির্বাচিত হই। ২০২১ সালের অক্টোবরে ২য় বারের মত নারায়নগঞ্জ জেলা কৃষক দলের সভাপতি নির্বাচিত হয়ে ফেব্রুয়ারী ২০২৩ পর্যন্ত সভাপতির দায়িত্ব পালন করি এবং জেলা বিএনপির কৃষি বিষয়ক সম্পাদকের দায়িত্ব পালন করি (কাজী মনিরুজ্জামান অধ্যাপক মামুন মাহমুদ কমিটি)। ২০২১ সালে কৃষক দলের ঢাকা বিভাগের সদস্য সচিব। ২০২২ সালে কৃষক দলের কেন্দ্রীয় সম্মেলনে সম্মেলন প্রস্তুতি কমিটির সদস্য এবং প্রচার উপ-কমিটির আহবায়কের দায়িত্ব পালন করি। এবং বর্তমানে কৃষক দল কেন্দ্রীয় কমিটির ১ম সহ-সাধারন সম্পাদকের দায়িত্ব পালন করে আসছি। আপনাদের দোয়ায় বিএনপির একজন কর্মী হিসেবে আমি বিএনপির মনোনয়ন প্রত্যাশী।
আমি আপনাদের মাধ্যমে অত্র এলাকার জনগণের নিকট আকুল আবেদন আগামী নির্বাচনে বিএনপির মনোনিত প্রার্থীকে ধানের শীষে ভোট দিয়ে অত্র এলাকার উন্নয়নের সুযোগ দিবেন।