ইয়েমেন উপকূলে নৌকাডুবিতে ৬৮ অভিবাসন প্রত্যাশীর মৃত্যু, নিখোঁজ ৭৪
Published: 4th, August 2025 GMT
ইয়েমেন উপকূলে অভিবাসী ও শরণার্থীদের বহনকারী একটি নৌকা ডুবে গেছে। এতে কমপক্ষে ৬৮ জন অভিবাসীর মৃত্যু হয়েছে। এছাড়া আরো ৭৪ জন নিখোঁজ রয়েছেন। খবর দ্য গার্ডিয়ানের।
ইয়েমেন উপকূলে নৌকাডুবির ধারাবাহিকতার মধ্যে এটি সর্বশেষ ঘটনা, যেখানে সংঘাত ও দারিদ্র্য থেকে পালিয়ে ধনী উপসাগরীয় আরব দেশগুলোতে পৌঁছানোর আশায় শত শত মানুষ নিহত হয়েছে।
আন্তর্জাতিক অভিবাসন সংস্থার (আইওএম) ইয়েমেন শাখার প্রধান আবদুসাত্তার এসোয়েভ জানিয়েছেন, রবিবার (৩ আগস্ট) ভোরে দক্ষিণ ইয়েমেনের আবিয়ান প্রদেশের কাছে এডেন উপসাগরে ১৫৪ জন ইথিওপীয় অভিবাসী নিয়ে নৌকাটি ডুবে যায়।
আরো পড়ুন:
মকস বিলে নৌকাডুবি: ২ শিক্ষার্থীর মরদেহ উদ্ধার, এখনো নিখোঁজ এক
এখনো নিখোঁজ দুই যুবক, বিলের ধারে স্বজনদের আহাজারি
আবদুসাত্তার এসোয়েভ বলেন, খানফার জেলায় ৫৪ জনের মরদেহ ভেসে এসেছে এবং আরো ১৪ জনের মরদেহ অন্য একটি এলাকায় পাওয়া গেছে। মরদেহগুলো উদ্ধার করে আবিয়ান প্রদেশের রাজধানী জিঞ্জিবারের একটি হাসপাতালের মর্গে নেয়া হয়েছে।
তিনি আরো বলেন, নৌকাডুবিতে মাত্র ১২ জনকে জীবিত উদ্ধার করা হয়েছে, বাকিরা নিখোঁজ এবং মৃত বলে ধরে নেওয়া হয়েছে।
বিপুল সংখ্যক মৃত ও নিখোঁজ অভিবাসীর কারণে আবিয়ান নিরাপত্তা অধিদপ্তর বড় ধরনের অনুসন্ধান ও উদ্ধার অভিযান পরিচালনা করছে। তাদের বিবৃতিতে বলা হয়েছে, উপকূলের বিস্তৃত এলাকা জুড়ে অনেক মরদেহ ছড়িয়ে ছিটিয়ে পাওয়া গেছে।
২০১৪ সাল থেকে ইয়েমেনে গৃহযুদ্ধ চলা সত্ত্বেও, পূর্ব আফ্রিকা এবং হর্ন অব আফ্রিকা থেকে আসা অভিবাসন প্রত্যাশীদের উপসাগরীয় আরব দেশগুলোতে পৌছাঁনোর জন্য ইয়েমেনে একটি প্রধান রুট। অভিবাসন প্রত্যাশীরা প্রায়ই বিপজ্জনক, অতিরিক্ত ভিড়যুক্ত নৌকায় করে লোহিত সাগর বা আদেন উপসাগর পাড়ি দেওয়ার চেষ্টা করে।
সাম্প্রতিক মাসগুলোতে ইয়েমেনের উপকূলে নৌকাডুবিতে শত শত মানুষ মারা গেছে অথবা নিখোঁজ হয়েছে, যার মধ্যে মার্চ মাসে ইয়েমেন এবং জিবুতিতে চারটি নৌকা ডুবে দুই অভিবাসী মারা গেছে এবং আরো ১৮৬ জন নিখোঁজ রয়েছে, আইওএম অনুসারে।
মার্চ মাসে আইওএমের এক প্রতিবেদন অনুসারে, ২০২৪ সালে ৬০,০০০ এরও বেশি বেশি অভিবাসী ইয়েমেনে পৌঁছেছিল, যা ২০২৩ সালে ৯৭,২০০ থেকে কম। সম্ভবত সমুদ্র সীমায় কড়া টহলদারির কারণেই এই সংখ্যা কমেছে।
ঢাকা/ফিরোজ
.উৎস: Risingbd
কীওয়ার্ড: চ কর চ কর উপক ল মরদ হ
এছাড়াও পড়ুন:
ভূমধ্যসাগরে নৌযানে অগ্নিকাণ্ড, ৫০ শরণার্থীর মৃত্যু
লিবিয়ার উপকূলে সুদানি শরণার্থী বহনকারী একটি নৌযানে অগ্নিকাণ্ডে অন্তত ৫০ জনের মৃত্যু হয়েছে।
আন্তর্জাতিক অভিবাসন সংস্থা (আইওএম) জানায়, রবিবারের এ ঘটনায় নৌযানে মোট ৭৫ জন ছিলেন। বেঁচে যাওয়া ২৪ জনকে চিকিৎসা সহায়তা দেওয়া হয়েছে। খবর আলজাজিরার।
আরো পড়ুন:
৫০ শয্যার থানচি হাসপাতাল চলছে একজন চিকিৎসকে
শিবচরে হত্যা মামলার আসামিকে প্রকাশ্যে কুপিয়ে হত্যা
মঙ্গলবার এক বিবৃতিতে আইওএম জানায়, সমুদ্রে এ ধরনের মর্মান্তিক দুর্ঘটনা এড়াতে জরুরি পদক্ষেপ গ্রহণ করা প্রয়োজন।
এর আগে গত মাসে ইয়েমেন উপকূলে নৌকা ডুবে অন্তত ৬৮ শরণার্থী ও অভিবাসী মারা যান এবং অনেকে নিখোঁজ হন।
আইওএমের তথ্য অনুযায়ী, শুধু গত বছরই ভূমধ্যসাগরে অন্তত ২ হাজার ৪৫২ জন অভিবাসী ও শরণার্থী মারা গেছেন বা নিখোঁজ হয়েছেন। এ পথটি অভিবাসীদের জন্য বিশ্বের অন্যতম প্রাণঘাতী রুট।
২০১১ সালে গাদ্দাফির পতনের পর থেকে লিবিয়া ইউরোপগামী অভিবাসীদের প্রধান ট্রানজিট রুটে পরিণত হয়েছে। বর্তমানে দেশটিতে প্রায় ৮ লাখ ৬৭ হাজারের বেশি অভিবাসী বসবাস করছেন।
সাম্প্রতিক বছরগুলোতে ইউরোপীয় ইউনিয়ন অবৈধ অভিবাসন ঠেকাতে লিবিয়ার কোস্টগার্ডকে অর্থ ও সরঞ্জাম সহায়তা দিয়ে আসছে। তবে ওই কোস্টগার্ডকে স্থানীয় মিলিশিয়ার সঙ্গে সম্পৃক্ত এবং তাদের বিরুদ্ধে নির্যাতনের নানা অভিযোগ রয়েছে।
মানবাধিকার সংগঠনগুলো বলছে, রাষ্ট্রীয় উদ্ধার তৎপরতা বন্ধ হয়ে যাওয়ায় ভূমধ্যসাগরে পাড়ি দেওয়া আরো ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে উঠেছে। পাশাপাশি উদ্ধার কাজে নিয়োজিত দাতব্য সংস্থাগুলোর বিরুদ্ধেও বিভিন্ন রাষ্ট্র শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নিচ্ছে।
এর ফলে যুদ্ধ ও নিপীড়ন থেকে পালানো বহু মানুষ লিবিয়ায় আটকা পড়ছে। তাদের অনেককে আটক করে অমানবিক পরিবেশে রাখা হচ্ছে বলে অভিযোগ রয়েছে।
ঢাকা/ইভা